যে সকল কারনে একজন মুসলিম শাসককে কাফির বলা যায় তা হল:-
1)আল্লাহর প্রেরিত বিধান আল কুরানের বিপরিত বিধান দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করার কারনে।
2)ইসলামের নূন্যতম জ্ঞান নাই এই ধরনের ব্যক্তি দিয়ে দেশ ও জনগনের সেবা করার দ্বায়িত্ব দেয়ার কারনে।
৩)আল্লাহর বিধান কে উপহাস করার কারনে। যেমন তারা বলে থাকে যে,মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর আইন নাকি মধ্যযুগীয় আইন।
৪)সকল ইয়াহুদি নাসারা ও মুশরিকের সাথে আলওয়ালা ওয়াল বারা রক্ষা না করার কারনে।
সাধারন মানুষ সহ কিছু আলেম শ্রেনী বলে থাকে যে শাসকেরা তো ইসলামের ফরজ ইবাদত করতে বাধা দেয়না তাহলে কেন তারা কাফের।
কারন তারা আল্লাহর আইন, আল ওয়ালা ওয়ালবারা,বা কাফের দের বন্ধুরুপে গ্রহন ও আল্লাহর আইনের সাথে অন্য আইন রচনা করে নিজেকে ফেরাউন এর স্তানে বসিয়ে কেমন জানি আল্লাহ দাবি করেছে (নাউজুবিল্লাহ).
আর তারা ইসলামের দিক দিয়ে অজ্ঞ মুর্খ লোক দিয়ে দেশ শাসন ও দেশে কুফরি গনতন্ত্র দিয়ে
মানুষকে নির্যাতন নিপিড়ন করছে।
তারা নিজেকে কখনো দেশের সেবক ভাবেনা ভাবে দেশের মালিক।
বর্তমানে বাংলাদেশের শাসকের মাঝে যে সকল কুফরি বিধ্যমান তা হল :-১/আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত আব্রাহমের পোপ তন্ত্রে দেশ শাসন।
২/আল্লাহর আইনকে বর্বর ও মধ্যযুগীয় আইন বলে উপহাস করে।
৩/আল্লাহ মদ, জুয়া,লটারি জিনা ব্যবিচার সুদ কে হারাম করেছে তারা সেগুলাকে লাইসেন্স দিয়ে লীগেল করে দিয়েছে।
৪/তারা সকল ক্ষমতার উৎস মনে করে জনগন মহাপরাক্রমশালী আল্লাহকে বাদ দিয়ে।
৫/বিধর্মীদের বন্ধু রুপে গ্রহণ করে হক্বপন্থি আলেমদের অত্যাচার নিপীড়ন জেলে পুরে।
৬/তাদের সাপোর্ট করে যারা তারা দেশপ্রেমিক আর বিরুধী যারা তারা দেশদ্রোহী।
৭/তারা মুনাফিকের আচরণ করে।
৮/দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনিকে
বিধর্মাদের আদলে গড়ে তুলেছে যা মুসলিমদের কোন কাজে আসেনা।
৯/আল ওয়ালা ওয়াল বারা না রক্ষার কারনে।
উপরোক্ত এ সকল সহ আরো তাদের বিভিন্ন চারিত্রিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বইশিষ্ট পুরাপুরি ইসলাম বহির্ভুত তাই তারা কাফির।
আল্লাহ সুবাহানাহু তা'আলা বলেছেন যারা আমার আইন দিয়ে বিচারফায়সালা করেনা তারা কাফির, তারা ফাসিক, তারা জালিম।
বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিল ইসলামি জ্ঞান না থাকার কারনে কুফরে লিপ্ত। কিছু ওলামায়ে ছু তাদের পদ ও দুনিয়াবি লোভে কুফরে লিপ্ত। কিছু বিদাত পন্থি আলেম কুফরেও শিরকে লিপ্ত।
তাদের আনতে হলে অবশ্যি আমাদের দাই ও আলেমদের লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর ব্যাখ্যা স্পষ্ট করতে হবে। পোপতন্ত্রের ব্যর্থতা ও আল্লাহর আইনের সাথে পুরাপুরি সাংগসিক তা ক্লিয়ার করে দিতে হবে। মানুষ কে ধর্মীয় বিধিবিধান মানার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে। হক্বপন্থি ইসলামি দলগুলার সমাজে বিভিন্ন আচার আচরণ ও সেবা যত্ন করে গ্রহণ যোগ্যতা বাড়াতে হবে।
ইসলামের আচরণ করতে হবে সমাজে।আর উলামায়ে ছু দের কে বুঝাতে হবে যে তারা ইসলামের বাইরে বেরিয়ে গেছে। হয়ত তাওবা কর না হয় যুদ্ধ কর। (পরিস্থিতি অনুযায়ী)