somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লিনাক্স ফাইল স্ট্রাকচার কেমন, কিভাবে থাকে এর ফাইল,ড্রাইভ গুলো??

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন আমরা অনেকেই লিনাক্স ব্যবহার করি, লিনাক্স নিয়ে এখন চলছে নানা উদ্দমতা। আমরা সাধারনত উইন্ডোজ এর ফাইল সিস্টেম এর সাথে পরিচিত। কিন্তু লিনাক্স এ সিস্টেম একটু অন্যরকম। আসুন দেখি কিরকম।B-)




লিনাক্সের ফাইলসিস্টেমে ড্রাইভ বলতে কিছু নেই। এখানে ফোল্ডার, ফাইল, ডিভাইস সবকিছু একটা ট্রি-র নিচে থাকে।



সেই গাছের গোড়া হচ্ছে / (slash)। এখান থেকেই বিভিন্ন ফোল্ডার, ফাইল, ডিভাইস, পার্টিশন প্রভৃতি মাউন্ট হয়। মাউন্ট মানে সোজা বাংলায় যুক্তকরণ। আর সোজা ইংরেজীতে এটাচ। এখান থেকে বিভিন্ন ফোল্ডার সাজানো থাকে। তার মধ্যে জানা প্রয়োজন কয়েকটা বিশেষ ফোল্ডার। সেগুলো হচ্ছে:

/bin এবং /sbin
এগুলোতে লিনাক্সের মূল কমান্ডগুলো থাকে। যেগুলো সকল লিনাক্স ডিস্ট্রোতে তো একই, বরং অন্যান্য POSIX ওএসেও (যেমন: সোলারিস, বিএসডি, প্রভৃতি) একই।

/boot
এখানে থাকে কম্পিউটার কীভাবে লিনাক্সকে বুট করবে সে সম্পর্কিত ফাইল/ফোল্ডার।

/dev
এখানে থাকে ডিভাইস ফাইলসমূহ। মানে এটাকে হার্ডওয়্যার ড্রাইভার গুদামও বলা যায়।

/etc
এখানে থাকে বিভিন্ন এপ্লিকেশনের কনফিগারেশন ফাইলসমূহ। এটাকে উইন্ডোজ রেজিস্ট্রির সাথে তুলনা করা যায়।

/home
এটাই হচ্ছে ইউজারদের নিজস্ব এলাকা। প্রত্যেক ইউজারের আলাদা ফোল্ডার থাকবে এখানে সেই ইউজারের নামে। যখনই কোন ইউজার লগইন করে মেশিনে, শুধু এখানেই তার যা কিছু করার অধিকার থাকে। এর বাইরে কিছু করতে হলে হয় এডমিন হতে হবে, নয়তো এডমিনের পারমিশন লাগবে।

/lib
এখানে থাকে সফটওয়্যার চালানোর জন্য বিভিন্ন লাইব্রেরি। এটাকে উইন্ডোজের ডিএলএল ফাইলের ভাণ্ডার বলা যেতে পারে।

/media
উবুন্তুতে এক্সটার্নাল সকল ডিভাইস এই ফোল্ডারে মাউন্ট হয়। তবে হার্ডডিস্কে একাধিক পার্টিশন থাকলে সেগুলোও এখানে মাউন্ট হয়। সাধারণত ইনস্টলের সময় যদি পার্টিশনগুলো থাকে উবুন্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলো এখানে মাউন্ট করে এবং Places ও ডেস্কটপে শর্টকাট আইকনও তৈরী করে। অন্যান্য প্লাগ এন প্লে ডিভাইস অটোমাউন্ট হয় এবং যথারীতি আইকন দেখায়।

/mnt
এটা আগে /media র কাজ করত। অন্যান্য লিনাক্সে এখনও করে। তবে উবুন্তু এখানে কিছু করে না। /mnt -র চাইতে /media টা বেশি ভালো শোনা, তাই না?

/proc
এখানে কিছু ডাইন্যামিক ফাইল থাকে। যা হার্ডওয়্যার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে। প্রোগ্রামারদের জীবন সহজ করার জন্য এখানে বেশ সহজ কিছু ফাইল পাওয়া যায়। যা পড়তে গেলে ডাইন্যামিক্যালি হার্ডওয়্যার ডাটা দেখায়। যেমন - cat
/proc/cpuinfo কমান্ডটা প্রসেসরের ইনফরমেশন দেখাবে।

/root
লিনাক্সে একজন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ইউজার থাকে। এই মহামান্য ইউজারের নাম root। এই ইউজার এই কম্পিউটারের যেকোন রকম পরিবর্তন করতে সক্ষম। অর্থাৎ এই কম্পিউটার ধ্বংস করার ক্ষমতাও তার হাতে। সুতরাং উবুন্তুতে এই ইউজারকে
অক্ষম করে রাখা হয়েছে। আর এই ফোল্ডারটা তার হোম ফোল্ডার, ঠিক যেমনটা অন্যান্য ইউজারদের জন্য /home/USERNAME

/sys
নামেই বোঝা যাচ্ছে এটা সিস্টেম ফোল্ডার।

/tmp
এখানে সকল প্রকার টেম্পোরারী ফাইল বা ক্যাশ থাকে।

/usr
এখানে সকল এপ্লিকেশন থাকে। অনেকটা উইন্ডোজের প্রোগ্রাম ফাইলস ফোল্ডারের মত। তবে এখানে আরও অনেক কিছুই থাকে, যেমন প্রোগ্রামারদের জন্য সহায়তাকারী ফাইল, লাইব্রেরী প্রভৃতি। মজার ব্যাপার হলো লিনাক্সের সোর্স কোডও এই ডিরেক্টরিতে পাওয়া যাবে src ফোল্ডারের ভেতর। উইন্ডোজে এই সোর্স ফোল্ডারটা পাবেন মাইক্রোসফটের কোন অফিসের সিন্দুকের ভেতর।

/var
এটাও অনেকটা ক্যাশের মত কাজ করে। তবে এখানে সার্ভারের পাবলিক ফোল্ডারও পাওয়া যায় www তে।

অতএব দেখাই যাচ্ছে, সাধারণ ব্যবহারের জন্য সব ফোল্ডার জানার কোনই প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক ব্যবহারকারী তার নিজের হোম ফোল্ডার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেই চলবে। অন্য কোথাও নাক গলানোর প্রয়োজন নেই

---------------------------------------------------------------------



প্রথমে এই পোস্ট এর জন্য ধন্যবাদ দিব ম. নাসিমুল হক ভাইকে। আমি যখন এই বিষয় নিয়ে অনেকের আগ্রহ দেখলাম জানার তখন পোস্ট দেয়ার জন্য পড়াশুনা করতে গিয়ে দেখি নাসিম ভাই আগেই দিয়েছে। তাই আপনাদের সাথে তাঁর পোস্টটি সরাসরি এইখানে দিয়ে দিলাম।
মুল লিখাটি পাবেন লিচের লিঙ্ক এ
লিনাক্স ফাইল স্ট্রাকচার

এছারা আরও জানতে হলে এই লিঙ্কও দেখতে পারেন।
Linux File System Structure

Click This Link



সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×