somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সোহানী
হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

এই বোকা মেয়েগুলো তোমাদেরকেই বলছি......

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইদানিং লক্ষ করেছি দেশের এড, পত্রিকার ছবি বা বিলবোর্ডের মেয়েগুলোর পোষাক আষাক সহ অঙ্গভঙ্গী অনেকটাই বদলে গেছে। অর্ধনগ্ন খোলা ছবিতে ভরে গেছে চারপাশ। কেমন যেন মনে হয় যত বেশি কাপড় খোলা দরকার তারচেয়েও বেশী খুলে ক্যামেরার সামনে দাড়াচ্ছে। আসলে আমরা যারা দেশে থাকি তারা বিদেশের বিভিন্ন এড, ছবি বা ক্যালেন্ডারে অর্ধ নগ্ন, সর্ট ড্রেস বা পায়ের উরু দেখানোকে ভাবি স্মার্টনেস। কোন স্মার্ট ছেলের কোমড়ে জড়িয়ে ধরে ছবি তোলাকে ভাবি আহ্ জীবনের সব প্রাপ্তিই মনে হয় ওরকম একটা ছবিতে। আসলে আমাদের মন মানসিকতা দিন দিন ছবি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে আর সে ছবি যেন তেন প্রকারের নয় ... প্রায় অর্ধনগ্ন হতে হবে। তবেই হবো আমরা দারুন স্মার্ট।

তার উপর আমাদের পত্র পত্রিকা, সিনোম, নাটক, টিভি চ্যানেল আমাদের মেয়েদেরকে বারবার বোঝানোর চেস্টা করে কাপড় খোল, কাপড় খোল, কাপড় খোল....। দর্শক তোমার কাপড়কে নয় তোমারে দেহ দেখতে চায়, তোমার উরু দেখতে চায়, তোমার বুকের অনেকটুকুই দেখতে চায়..... ৩৪/৩২/৩৪...... ওটাই সৈান্দর্য্য, ওটাই স্মার্টনেস।। তাই মেয়েগুলো প্রতিযোগীতা শুরু করেছে কতভাবে কিভাবে কাপড় খোলা যায় ।

সাবানের বিজ্ঞাপন! স্বল্পবসনা সুন্দরী
হাড়ি পাতিলের বিজ্ঞাপন! স্বল্পবসনা সুন্দরী
ছেলেদের সেভিং ব্লেডের বিজ্ঞাপন! স্বল্পবসনা সুন্দরী
টুথপেস্ট, লুঙ্গী, নুডলস!! স্বল্পবসনা সুন্দরী..........। চলছেই চলছে।


তারপর ওইসব ছোট ছোট বাচ্চামেয়েগুলোকে শেখানো হয় কাপড় খোলাটা স্মর্টনেস, অর্ধনগ্ন থাকাটা দারুন ব্যাপার, কারো সাথে শোয়ার নাম স্বাধীনতা কারন দেহ তোমার তা নিয়ে যা খুশি তুমি করতে পারো........ বাহ বাহ বাহ!!! এ সুযোগে ভোগ করো যত পারো। তারপর ছুড়ে ফেলো তাদের যখন তোমার প্রয়োজন শেষ হয়ে যায়।

আর বোকা মেয়েগুলো ঝাপিঁয়ে পড়ছে আরো স্মার্ট হবার আশায়। সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে, অমুক প্রতিযোগীতার নামে, তমুক প্রতিযোগীতার নামে এক একটা মেয়েগুলোকে বের করে আনছে ঘর থেকে। তারপর নারীলোভী হায়েনাগুলো একের পর এক ভোগ করে ছুড়েঁ ফেলছে তাদের।

আর বোকা মেয়েগুলো??? ততদিনে রেভলন বা ম্যাকের মেকআপ এ অভ্যস্থ হয়ে যায়, ভিক্টোরিয়া সিক্রেটের অন্তর্বাস ছাড়া রুচিতে বাধেঁ, শ্যানেলের পারফিউম ছাড়া ঘুম আসে না, ব্রান্ডের ড্রেস ছাড়া চলতেই নিজের প্রতি নিজের ঘৃনা ধরে। ...... ওদের ফিরে যাবার কোন উপায় থাকে না, স্বাভাবিক জীবন থেকে ওরা হয়ে পরে বিচ্ছিন্ন। তাদের জীবন হয়ে পরে ফেইসবুক কেন্দ্রিক, মধ্যরাতের ডিজে পার্টি কেন্দ্রিক কিংবা অন্ধকারের উন্মোত্ত রাত কেন্দ্রিক।

কেউ কি বলতে পারবে এই মেয়েগুলোর কতজন সাক্সেস হয় জীবনে এইসব লাক্স বা ভিট প্রতিযোগীতার পর? কতজন ঘরে ফিরে যায় ও স্বাভাবিক জীবন গড়ে তুলে? আর কতজন হারিয়ে যায় আধুনিক জীবনে আধুনিকতার ভীড়ে???

না কেউই বলতে পারবে না, কারন ওদের খবর কেউই রাখে না। যারা সাক্সেস তাদের খবর হয়তো জানি কিন্তু সেটাতো একজন বা দুইজন! আর #metoo আন্দোলনের পর ওইসব সাক্সেসদেরও খবর সবার সামনে অনেকটা। আর বাকিরা কোথায় কেউই জানে না।

না পারে না এ মেয়েগুলো, ফিরে যেতে পারে না আপন নীরে, আপন ভালোলাগায়। তাদের মধ্যবিত্ত ঘরের বাবা-মা বা স্বামীর হাজার টাকার লিপিস্টিক কেনার সামর্থ্য থাকে না আর নিজের যোগ্যতায় কাজ জুটালে তা দিয়ে ওই লিপিস্টিক এর পয়সা হয় না। তাই পারে না ফিরে যেতে কিংবা ফিরে গেলেও পারে না স্বাভাবিক জীবন পেতে। কারন ততদিনে তারা জানে না নিজের জন্য বাঁচতে, তারা বেচেঁ থাকে অন্যের জন্য....... অন্য কারো সেবাদাসী হবার জন্য।


এই বোকা মেয়েগুলো তোমাদেরকেই বলছি, যে ছবি তোমরা দেখো বিদেশী ফেইসবুকে, বিলবোর্ডে বা বিজ্ঞাপনে সেটা শুধুই একটা ক্লিক। ওর পিছনের নিষ্ঠুর নির্মমতা সত্যটা তোমরা জানো না। তোমরা ছবিটাই শুধু দেখো ছবির পিছনের অন্ধকারটুকু দেখো না যতক্ষন না সেখানে তোমার পা পড়ছে। কারন তোমাকে সেটা শোনানো হয় না, তোমাকে ইউজ করবে বলে বলা হয় না, তোমাকে ভোগ করবে বলে জানানো হয় না.......... তোমরা কি বুঝো না? এবার একটু চোখ মেলো, দেখো বাস্তবতা। অন্যের শয্যাসঙ্গী হবার জন্য বেচেঁ থাকবে নাকি নিজের জন্য বাচঁবে?? আবারো ভেবে দেখো।



আপনাদের চোখের শান্তির জন্য উপ্রের ছবিগুলা দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩৪
৭৮টি মন্তব্য ৭৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×