তোমার আমার ছাড়াছাড়ি হওয়ার সময় বলেছিলাম, তোমাকে যদি আমার কপালে লিখে থাকেন স্রষ্টা তো তুমি আমার হবা!
তুমি বলেছিলে ওকে, দেখা যাবে সেসময়! আগে তুমি ক্যারিয়ারে ফোকাস করো, নিজের ভবিষ্যত ঠিক করো, পাগলামী বন্ধ করো।
এরপর ভালো থেকো, বিদায় বলে সত্যি সত্যি বিদায় নিলে।
অনকে দিন পর তোমার আমার আবার দেখা! কোন এক আত্নীয়ের রিসিপশানের প্রোগ্রামে! আমি ব্ল্যাক স্যুট পরে ছিলাম গলায় বো টাই পরা। সবার সাথে কথা বলছি, মজা করছি, উপভোগ করছিলাম। হঠাৎ তোমার উপর আমার চোখ পড়লো! পিংক টাইপের একটা শাড়ি পরেছো। তোমার তুলনায় শাড়ি টাকে বড় ই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তোমাকে কি সুন্দর যে লাগছিল বলে বুঝানো যাবে না!!
বেশিক্ষন তাকিয়ে থাকতে পারলাম না। চোখ ঘুরিয়ে নিলাম। অনুষ্ঠান ছেড়ে বেরিয়ে গেলাম আমি। হল ছেড়ে রাস্তার পাশে এসে দাঁড়ালাম। ভাবছি তোমার আমার কথা। কতদিন কেটে গেলো। কত স্মৃতি আমাদের। কত সময় একসাথে কাটিয়েছি আমরা। সেগুলা ভেবে নষ্টালজিক হয়ে পড়লাম। অনেক্ষন কেটে গেলো ভাবতে ভাবতে।
হঠাৎ লক্ষ করলাম তুমি দৌড়াচ্ছ, আমার দিকেই দৌড়ে আসছো। এবার নড়েচড়ে দাঁড়ালাম। সামনে এসেই হাঁপাতে শুরু করলে। উল্টাপাল্টা দৌড়ানোয় তোমার শাড়ির কুঁচি অগোছালো হয়ে খুলে আসছে। যা তা অবস্থা। কিন্তু তোমার চোখে মুখে খুঁশি খুঁশি একটা ভাব।
কি হয়েছে জিজ্ঞেস করে বসলাম।
আমার দিকে তাকিয়ে দুষ্টামি ভরা একটা হাসি দিয়ে বললে কাহিনি ঘটে গেছে!
কেমন যেনো একটা অনুভূতি খেলে গেলো আমার ভিতর। কি হয়েছে, কি ঘটনা ঘটলো আবার??
তুমি এবার বলতে শুরু করলে, তোমার বাবা মা আমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলেছেন। দু পক্ষই রাজী!!
এবার আমাকে আর পায় কে, খুঁশিতে হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলাম না। তুমি আমাকে বললে, শাড়ি ধরো, নাহলে উষ্টা খেয়ে পড়বো, আমি তোমার শাড়ির একটা পাশ ধরে তোমার পেছনে পেছনে তোমাকে অনুস্মরণ করছি, তোমার উপর থেকে চোখ সরাতে পারছিনা, বিশ্বাস করতে পারছিনা আমার ভাগ্যকে!!