ব্ল্যাক।
ভেবে শিহরিত হই। এরা এদের গানে জেন দর্শন প্রচার করেছিল। যখন চারপাশে বাজছিল অজস্র চটুল ও শস্তা গান।
২০০০ সালের দিকে আমি জেন দর্শন নিয়ে উৎসাহিত হয়ে উঠি। ধ্যান শব্দটাকেই জাপানে বলে জেন। উদ্দেশ্য- ধ্যানের মাধ্যমে বিশ্বপ্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়া। আমার এক স্বভাব এই-কিছু পড়লে সেটা সম্বন্ধে লিখে রাখা। সম্ভব হলে কাব্যের মতন করে।
কাজেই জেন নিয়ে লিখলাম-
তোমার উত্তাপ মিলিয়ে যাচ্ছে দ্রুত (এই তুমি হচ্ছে বস্তু জগৎ)
আমি ক্রমশ আঁধারে আলো (আমার ধ্যানের সুখ হচ্ছে)
অথবা বিপরীত দৃশ্যটাও সত্য। (ধ্যানে নানা রকম অভিজ্ঞতা হতে পারে।)
হঠাৎ আলোর উৎসে শব্দ শুনে
ঝুঁকে দেখি সময় তোমাকে টানছে। (ধ্যানভঙ্গ হতে পারে ...)
বিমূর্ত জগৎ থেকে আলোতে ফিরে
দেখি আঁধারে অন্য আমি
তীব্র আলোর অপেক্ষায় বসে আছে । (এই তীব্র আলো মানে অন্য আমি)
হঠাৎ আলোর উৎসে শব্দ শুনে
ঝুঁকে দেখি সময় তোমাকে টানছে। (কোরাসে তাহসানের ভয়েসটা কেমন অলীক শোনায়।)
জন।
জন এল। কবিতাটা দেখালাম। পড়ল। গিটার টেনে নিল।
তারপর?
তারপর ইতিহাস।
বিমূর্ত জগৎ থেকে আলোতে ফিরে
দেখি আঁধারে অন্য আমি
তীব্র আলোর অপেক্ষায় বসে আছে ।
এমন একটা আপাতজটিল কথা জন উপেক্ষ করেনি। বরং প্রশংসাই করেছে। সুর করেছে।
আমি সে জন্য ওর কাছে আজও কৃতজ্ঞ।
গানটার নাম "!"। মানে বিস্ময়বোধক চিহ্ন। জেন দিইনি নানা কারণে।
গানটা শুনতে চাইলে-
http://www.mediafire.com/?ewi0rkttzfg
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৪০