ছাগু সামুর ইতিহাসের কতটা ঐতিহাসিক শব্দ সেদিকে গেলাম না।জামায়াত শিবিরের গুষ্টি উদ্ধারের মোক্ষম হাতিয়ার।সেই সাথে আছে মগবাজারের পেয়েমেন্টের কঠিন কোপ।সেসবে শিবির জামায়াতের তড়পানি দেখে খুব মজা লাগত।
সাধারন ব্লগারের কাছেও ছাগু এর মতো খারাপ গাল ব্লগে আছে কিনা জানি না।সবাই ভয় পায় এই শব্দটাকে।অন্তত আমি মারাত্মক ভাবে ভয় পেতাম।
ছাগু শব্দটার প্রতি সবার ভয়/ঘৃণা থেকেই একটা বিশেষ মহল ধাপ্পাবাজি শুরু করল।নিজেদের সমমনা না হলেই ব্লগে ছাগু বলে গালান শুরু করল।নিজেদের কথার অপজিট হলেই ট্যাগিং করা শুরু করল।সাধারন ব্লগার রাও ট্যাগিং এর শিকার হল। ফলাফলে সাধারন ব্লগাররা বিতর্কিত আলোচনাতে কম যায়।সাহিত্য নিয়ে পড়ে থাকে।
কারা এই ধাপ্পাবাজি করতেছে?
গ্রুপিং : ব্লগে মারাত্মক কিছু গ্রপিং আছে।একটা গ্রুপের সাথে আর একটা গ্রুপের কামড়াকামড়ি শুরু হলেই গ্রুপ ধরে ছাগু বলে সুবিধা আদায় করে।
নাস্তিকরাঃ ধর্ম নিয়ে কোন কথা বলবেন তাহলে আপনাকে জামায়াত শিবিরের দলে ফেলা হবে।আপনাকে ছাগু বলা হবে।ছাগু বলে চিহ্নিত করে নাস্তিকরা অন্যদের চুপ করিয়া রাখার চেষ্টা করে সুবিধা নেয়।
ছাত্রলীগ/আওয়ামীলীগঃ আপনি কি ছাত্রলীগ অথবা আউয়ামিলিগ এর বিপক্ষে কিছু বলতে যাবেন?তর্ক করবেন?পারবেন না।তাহলেই আপনি হয়ে যাবেন ছাগু।ছাত্রলীগ আওউয়ামিলিগ যা করবে টাই মেনে নিতে হবে।
এভাবে ছাগু এর ব্যবহার করতে করতে এমন অবস্থা যে সব কিছুতেই ছাগু বলে সবাই।গুরুত্ব ই হারিয়ে যাচ্ছে।কয়েকটি জায়গায় দেখলাম চুশিলছাগু, ভাদাছাগু,ছুপাভাছাগু।
প্রকৃত ছাগু তাড়ানোর এই মোক্ষম অস্ত্রটি হয়ত একষময় আর কারো গায়ে তেমন লাগবে না।যেভাবে জাকে তাকে যখন তখন ছাগু বলা হচ্ছে, সে হিসেবে নাস্তিক আর আওউয়ামিলিগ ছাড়া সবাইকে ঐ দলে ফেলা হচ্ছে,ওদের বিপক্ষে বললেই ছাগু দলে ফেলা হচ্ছে।এটা অবশ্যই অপব্যবহার হচ্ছে।
কি আজব!!!
এই পোস্টে ও কিছু ছাগল এসে তড়পাবে , আমাকে ছাগু বলবে কিন্তু প্রমান করতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



