১. যদি স্বাভাবিক ঘটনা হত তাহলে ২০১৪-তেই আর্জেন্টিনা জিতে যেত বিশ্বকাপ। তখনকার আর্জেন্টিনা ছিল এখনকার চেয়েও শক্তিশালী। কিন্তু না, তারা হেরে যায় এবং তারপর আরো ২ বার কোপা আমেরিকা ফাইনালে হেরে যায়। সবাই ধরেই নিয়েছিল মেসি আর আর্জেন্টিনার পক্ষে বিশ্বকাপ জেতার সম্ভাবনা নেই। তার উপর মেসির বয়স হয়ে গিয়েছিল ৩৫ বছর...
২. রূপকথাতে নায়ক প্রথমেই জিতে না। সব চড়াই, উতরাই পার হয়ে শেষে গিয়ে বিজয়ী হয়। এখানেও রূপকথার সব মশলাই ছিল। ঠিক যেভাবে লেকক চায় সেরকম। ১ম ম্যাচেই আর্জেন্টিনা হেরে গিয়ে রূপকথাকে আরো জমিয়ে দেয়। যে পেনাল্টিতে মেসির দুর্বলতা ছিল বেশী, সেই পেনাল্টিই নিতে হয় বেশী (৭ বারের মধ্যে ৬ বার সফল)। যেই টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনা ২ বার কোপা জিততে পারেনি, সেই টাইব্রেকারেও এবার ২ বারই সফল তারা...
৩. ফাইনালে আরো নাটকীয়তা। ৮০ মিনিট পর্যন্ত যে দল এগিয়ে ছিল ২-০ তে সেই দল ৩ মিনিটে ২ গোল খেয়ে বসে। অতিরিক্ত সময়ে আবার এগিয়ে যায়, কিন্তু ফ্রান্সও আবার গোল শোধ করে। যাকে বলে, চূড়ান্ত লেভেলের ক্লাইমেক্স। এমন কি শেষ সেকেন্ডের হার্ট এ্যাটাক ধরানোর মত মার্টিনেজের ঐ সেভ। রূপকথার মতই টাইব্রেকারে মার্টিনেজের বুদ্ধিতে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ান হয়...
৪. মেসি যত ভাল খেলোয়াড়ই হোক, তাকে সবাই(মেসি ফ্যানরা বাদে) ম্যারাডোনার নীচেই রাখত বিশ্বকাপ না জেতাতে। সেই সুযোগ আর নেই। মেসিই এখন সর্বকালের সেরা ফুটবলার...
৫. রাজনীতি নিয়ে আর তেমন আগ্রহ নেই। বিএনপি নিয়ে আশা নে্ই। ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি নেই। মেসি আর আর্জেন্টিনার জন্য ফুটবল নিয়ে আশা ছিল, এবার সেটাও মিটে গেল। বাকী জীবন মেসির বিশ্বকাপ প্রাপ্তির তৃপ্তি নিয়েই কাটিয়ে দেয়া যাবে...
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯