১. ইনফেক্ট, আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও স্বীকার করে যে, বিএনপি-তে আওয়ামী লীগের মত মারদাঙ্গা, ডাই হার্ড ক্যাডার নেই। থাকলে, খালেদা জিয়ার বাড়ি থেকে বের করার পরও তেমন আন্দোলন করতে পারেনি তারা। ২০১৪ আর ২০১৮ তে প্রতারণা করে নির্বাচন করার পরও আন্দোলন করতে পারেনি। অথচ একই বিষয় চিন্তা করে দেখুন তো! শেখ হাসিনাকে সুধাসদন থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে, পরপর ৩ বার খালেদা জিয়ার অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দিত আওয়ামী লীগ?
২. ১৯৯৬ সালে বিএনপি ১৫-ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচন করে টিকেছিল মাত্র কয়েকদিন। বিএনপি পন্থী রাষ্ট্রপতি কাম তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ইয়াজ উদ্দিন ২০০৭ সালে ২২শে জানুয়ারির নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়েও পারেনি। আওয়ামী লীগের লগি বৈঠার ভয়াবহ আন্দোলনে কে এম হাসান তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হওয়া থেকে সরে যান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ ছুটিতে চলে যান। তবুও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে যায়নি। কারণ, তারা নিশ্চিত ছিল তারা জিতবে না, অন্য কথায় তারা বিএনপি-কে বিশ্বাস করেনি...
৩. আজকে এত বছর পরও তারা বিএনপি-কে একই ভাবে তাদেরই অধীনে নির্বাচনে আসতে বলে, যা বিএনপি অস্বীকার করে এখন আন্দোলনে আছে। যদিও এসব আন্দোলন সাধারণ জনগণের ভোগান্তি ঘটায়, তাই ব্যক্তিগত ভাবে এসব হরতাল, অবরোধ সমর্থন করি না...
৪. এবার আসি, ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে। এই মুহূর্তে যদি নিরপেক্ষ জরিপ করা হয়, কয়জন বিশ্বাস করে ট্রেনে নাশকতা বিএনপি করেছে, আমার মনে হয় সাধারণ জনগণ তো বটেই, আওয়ামী লীগাররাও মনে মনে বলবে এসব কাজ বিএনপি-র মত ভীতু কর্মীদের দ্বারা হবে না। যারা আজকে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী শাসনকে প্রকারান্তরে স্বীকৃতিই দিয়ে যাচ্ছে...
৫. গুহা থেকে রিজভী হরতাল, অবরোধের ডাক দেয় কিন্তু কেউ মানেনা (মানা উচিতও নয়, আমার নিজেরও চাকুরি করতে হয়)। কোন বড় নেতার কোন তৎপরতা নেই জেলে যাওয়ার ভয়ে। জেলায় জেলায় দাপুটে নেতাদের কোন খবর নেই। মোট কথা, নেতাবিহীন একটা দল হয়ে গিয়েছে তারা। এই সময় ধরা পড়লে কে তাদের মু্ক্তি করাবে? কার এত ঠ্যাকা পড়ছে যে, ট্রেন লাইন খুলে ফেলবে, ট্রেনে আগুন দিবে?
পুঃনশ্চ - যে কোন মৃত্যুই মর্মান্তিক। সুস্থ মানুষ আন্দোলনের নামে বাস, ট্রেন জ্বালাতে পারে না। যদি তারপরও প্রমাণিত হয় ট্রেনে নাশকতা বিএনপি কর্মীরাই করেছিল, তাহলে আমি অগ্রীম ক্ষমা চাইছি ও পোস্ট সরিয়ে ফেলব...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০