বেড়ে চলছে ধর্মীয় সহিংসতা, অতিক্রমের পথে সীমা, সূচনার দাড়ে স্নায়ুযুদ্ধ।
পাশাপাশি হিন্দু-মুসলমানের বসবাস, সামাজিক কাজে উভয়ের অংশগ্রহণ, রাষ্ট্র গঠনে একসাথে কাজ করা ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি সোনার বাংলায়। এমন কি হিন্দু পল্লীতে (শাখারী বাজারের পাশে) থাকার সুবাদে এখনও দেখছি। কিন্তু অতি সম্প্রতি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটি পরিকল্পিত পায়তারা চলছে। অহরহ হচ্ছে ধর্মীয় চেতনার অবমাননা, আইনের লঙ্গন, এবং একে কেন্দ্র করে রাজনীতি।
কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জে হিন্দু স্কুল শিক্ষককে প্রকাশ্যে অপমান করা হয় ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করার কারণে। ধর্মে অবমাননা করলে বিচার করবে রাষ্ট্র, কোন ব্যক্তি নয়। দুঃখজনক বিষয়, যারা অাপমান করেছে বা শাস্তি প্রয়োগ করেছে তাদের এ অাধিকার অাছে কিনা এ ব্যপারে বাম সংগঠনগুলো এবং মিডিয়াগুলো কথা বলছে না। বরং তারা সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অানিত অভিযোগকে গুজব বলে প্রচার করছে। যা ফুসিয়ে তুলছে হিন্দু সম্প্রদায়কে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ ফুসে উঠা নষ্ট করবে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিরাজমান সম্প্রীতির। আর এর সুযোগ নিবে প্রগতি ও বিজ্ঞানের অবসংজ্ঞায়নকারী একদল ধর্মহীন প্রাণী। তাই বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাজায়ে রাখার জন্য অনতিবিলম্বে "ব্লাসফেমি" আইন জরুরী। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ- খ্রিষ্টান যে যেই ধর্মকে অবমাননা করুক না কেন তার কঠোর ও উদাহরণময়ী বিচার করবে রাষ্ট্র, কোন ব্যক্তি বা সংগঠন নয়।
পুনশ্চ, যদি ব্লাসফেমি অাইন অারো অাগে তৈরি করা হতো এবং প্রচলিত যে অাইন অাছে("পেনাল কোড ১৮৬০" এবং "তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অাইন ২০০৬") এর যথাযথ ব্যবহার করে থাবা বাবা, অভিজিৎ রায়, নাজিমউদ্দীন সহ সমজাতীয় যারা ছিল এদের বিচার করা হতো, তাহলে রাষ্ট্রে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকান্ডসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বন্ধ হয়ে যেত।
পুনর্বার পুনশ্চ, যদি প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করলে বা অবমাননা করলে বিজ্ঞান মনস্কতা না হয়, যদি বঙ্গবন্ধুকে (শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মহামানব নয়) কটূক্তি করলে মুক্তমনের চর্চা না হয়, যদি কোন পর্ণস্টারের সমালোচনা করলে প্রগতিশীলতা না হয়, তবে কেন আল্লাহ-রাসূল-ইসলাম-ঈশ্বর-ভগবানে গালি দিলে বিজ্ঞানমনস্কতা হবে ???????
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৫৬