এই যে আপনি
হুম, জ্বি.. জ্বি..
আপনাকেই বলছি- কোরবানী দিয়েছেন?
সত্যিই দিয়েছেন তো?
রাগ করবেন না জনাব-
ভাগা নিয়ে ভাগাভাগি দেখলুম তো!
তাই আর কি?
ভাবছি-ত্যাগ করা জিনিষে- নিজের ভাগ হয় নাকি?
একি একি- রাগছেন যে বড়ো!
একটু থামুন দয়া করে-
আপনিতো হাজী সাহেব!
হে হে- এইতো মূখের চওড়া হাসিই বলে দিচ্ছে!
তা, হজ্বে কোরবানী দিয়েছিলেন?
না না, বোকা নই।কারণ আছে বলেই বলছি।
বলুন। তা -ক’ কেজি গোশত এনেছিলেন আরব থেকে??
জ্বি- এক কিলোও নয়! তবেই বুঝূন।
কারণ ত্যাগ করা বস্তুতে
কোন অধিকার থাকে না, রাখতে নেই-
স্বত্ত্ব ত্যাগ আর স্বার্থ ত্যাগে: তবেই পূর্ণতা আসে
তখনই তা দান হয়; হয় দুর্লভ উৎসর্গ -কোরবানী।
আপন মনে হাটে কবি, অর্ন্তদৃষ্টিতে ভাসে
স্বার্থবাদ, অহম, দূর্নীতি, অবৈধ অর্থে
প্রতিযোগীতার পশুহত্যা কি কোরবানী?
সম্প্রদান কারকে ভাগাভাগি! বানায় নতুন ব্যাকরণ!
ঠা ঠা করে হাসে কবি পিলে চমকানো হাসি
হঠাৎ খুলে যায় বোধের দরোজা-
পশুরাও যেতে যেতে ‘জিভ কেটে’ যায়:
লোক দেখানো কোরবানকে ‘উপহাস’ করে।।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা
