সেদিন গ্রামীনফোনের ডাক্তারের কাছে ফোন করে পরামর্শ চাওয়ার একটা ঘটনা শুনছিলাম। ১২ বছরের এক কিশোরী ফোন করে ডাক্তারকে বলছে তার তলপেটে ব্যথা, কারন জানতে নানা প্রশ্নের উত্তরে জানা গেল সে তার বয় ফ্রেন্ডের সাথে সেক্স করেছে। যেন পশ্চিমা দেশের কোন ঘটনা শুনছি।
কিছুদিন আগে আইসিডিডিআরবির যৌন আচরন নিয়ে এক গবেষনার রিপোর্ট পড়লাম পত্রিকায়। দেশের কিশোরদের মধ্যে বহুগামীতার হার মারাত্মক। প্রস্টিটিউটদের কাছে যাওয়াসহ গ্রুপ সেক্সের মতো কর্মকান্ডে এখন এরা ভালভাবেই জড়িত। গবেষণাটি মূলত: এইডসের ঝুকির উপর করা। কিন্তু এই সব তথ্যে চমকে উঠতে হয়। কোথায় যাচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম?
কিছুকাল আগে বিভিন্ন বাস এবং অভিজাত এলাকার দেয়ালগুলোতে স্প্রে করে লেখা কিছু গ্রুপের নাম দেখা যেত, ব্যাড বয়েজ, ক্রেজি এইজাতীয়। আইনশৃংখলা বাহিনীর তদন্তে দেখা গেল অভিজাত এলাকার বিভিন্ন কিশোরদের কাজ এগুলো।
বলতে দ্বিধা নেই সমাজের নৈতিকতাবোধ অনেক আগে থেকে নি:শেষের পথে। বড়দের সম্মান করার চলটা উঠে গেছে প্রায়, বিজাতীয় পোশক পরা উদ্ভট লেবাসের কিশোর কিশোরীরা ড্যাম কেয়ার ভাব নিয়ে চলছে, অনেকেই নানা ধরনের নেশায় আক্রান্ত, সামাজিক মূল্যবোধ বলে যে কিছু আছে সেই জ্ঞানটা তাদের দেয়ার কেউ নেই।
পশ্চিমা ধাঁচের সমাজ ব্যবস্থার দিকে ধাবিত এই প্রজন্মের কাছ থেকে ভবিয্যতে কি আশা করে সমাজ? এদের পিতা মাতাই বা কি ভাবে?পশ্চিমাদের ওল্ড হোম টা যখন এদের পিতামাতাদের দিব্যোচোখে ভাসার কথা?
এই মুল্যবোধহীন প্রজন্ম মূলত তৈরী করে চলছি আমরাই। পিতামাতাদের সময়ের অভাবে, অতিরিক্ত প্রশ্রয়ে, আধুনিক দেখানোর মানসিকতায় আর সমাজ ব্যবস্থা এবং পরিবার থেকে উঠে যাওয়া নৈতিকতার শিক্ষার অভাবটাই দায়ী এর জন্য।
দু:খ লাগে যে পশ্চিমারা যে কারনে আমাদের থেকে এগিয়ে সেই প্রযুক্তি উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়ে , তাদের শিক্ষা, বিজ্ঞান চর্চাকে অনুসরন না করে আমরা তাদের সামাজের অন্ধকার দিকটা অনুসরন করছি, যার কারনে তাদের সন্তানদের পিতার পরিচয় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে, যার কারনে এক সন্তান বহু পিতা মাতার দর্শন পায় বা বেড়ে ওঠে চাইল্ড কেয়ারে, বৃদ্ধরা চলে যায় ওল্ড হোমে।
এখনও সময় আছে। নিজেদের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, ধর্মীয় শিক্ষা চালু করতে হবে এখনই। দ্র্রত পচন থেকে বাঁচাতে হবে এই ডিজুস প্রজন্মকে। নইলে ভুগতে হবে নিজেদেরই।