somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘৃনিত জামায়াত শিবির: আর্দশের ফুটো বেলুন নিয়ে উর্ধ্বে যাত্রা

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জামায়াত শিবির
ঘৃনিত ঘাতক অক্টোপাস আর এক পাল ধুর্ত শিয়ালের নাম। পৃথিবীতে কোন জাতি পাওয়া যাবে না যারা স্বজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। র্নিলিপ্ত গনহত্যা নারী নির্যাতন পৃথিবীর ইতিহাসকে হার মানবে।
এই ঘৃনিত জামায়াতের ছাত্র সংগঠন হল ছাত্র শিবির। পাকিস্তান আমলে এই সংগঠনটির নাম ছিল ছাত্র সংঘ। রাজাকার, আলবদর আর আল শামস
বাহিনীর রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে এই সংগঠনটি নাম পাল্টিয়ে ছাত্র শিবির নাম রাখে।
ধর্মীয় অনুভূতি সংগঠনটি প্রধান পুঁজি। আমি এক সময় শুধু নামাজী হওয়ার কারনে এই সংগঠনের প্রতি আকৃষ্ট হই। কিন্তু এর ভিতরে ডুকে আমি অবাক হয়ে যাই। এর দুর্নীতির চিত্র দেখে। ৭১ এর ১৩ বছর পর আমার জন্ম। আমি মুক্তিযুদ্ধ দিখিনি। তবে এটা সত্য বেঁচে থাকা মুক্তি যোদ্ধাদের কষ্ট দুর্দশা আমি দেখেছি।
একজন যুদ্ধাহত মুক্তি যোদ্ধা দুই বেলা খেতে পায় নি। অর্ধাহারে বিনা চিকিৎসায় আমি তাদের মরতে দেখেছি।
আর দেশের স্বার্থবিরোধী (নিষিদ্ধ হওয়া উচিত) সংগঠনটি চলছে দাপটে।
মানুষের সাথে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নিয়ে হাস্যরস করেও এরা পার পায়।
আমার পরিবার জাতীয় পার্টির রাজনীতি সাথে জড়িত ছিল। তাই রাজনীতির প্রতি আমার আগ্রহ ও আবার বিরূপ ধারনাও ছিল। তবে আমরা ধর্মানুবর্তী ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে এসে একটি রাজনৈতিক মেসে উঠি না জেনে।
পরে জানতে পারি এটা ছাত্র শিবিরের গোপন মেস। দলীয় প্রগামে আমাকে ডাকত। প্রথমে ভয়ে ভয়ে যেতাম। তারপর শিবিরের গোপন সভাপতি আমাকে এটা সেটা গিফট দিত। আমার চেয়ে সে উপরের ক্লাসে পড়ত। বাধ্য হয়ে তাকে সমীহ করে চলতে হতো। আমাকে অনেক বড় বড় প্রলোভন দেখাত। টিউশনি দিবে। কোচিং সেন্টারে ক্লাস নেয়ার সুযোগ করে দিবে।
ছাত্র বয়সে কিছু আয় করার মানসিকতা আমাকে পেয়ে বসল। এভাবেই জড়িয়ে গেলাম ওদের জালের মধ্যে। আমাকে মওদূদরি বই পড়তে দিত। প্রথমে না বলতাম। প্লিজ! আমাকে এগুলো দিবেন না। এক সময় মওদূদীর নামাজ রোজার হাকিকত বইটা পড়লাম। তারপর আরো আস্তে আস্তে করে মওদূদীবাদের প্রতি জোঁকলাম।
এরপর ওরা যা দিত তাই পড়তাম। এক সময় শুনলাম আমার নাকি সিলেবাস শেষ হয়ে গেছে। আমার আচরন কথা বার্তা সব কিছু নাকি তাদের মত । একদিন আমাকে তাদের এক সভাপতির কাছে নিয়ে যায়।
আমাকে বলে বায়াত হতে। বায়তবব্ধ জীবন ছাড়া মারা গেলে নাকি জাহিলিয়াতের মৃত্য হবে। আমি বললাম, আমি রাজনীতি করব না। আমি তো আপনাদের সব কাজ করি তবে কেন আপনারা আমাকে রাজনীতিতে জরাচ্ছনে। আমি হল থাকি । মিছিল মিটিং করি। এটা কি যথেষ্ট নয়। এরপর আমাকে নানা ধরনের কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্ট করা হলো।
কখনও স্কেচিং, কখনও পোষ্টার লিখন, কখনও শিবিরে লাইব্রেরী পরিচালনা। বিনিময়ে আমি সরকারী হলে ভর্তি হয়ে শিবিরের অনুগ্রহে থাকতে সুযোগ পাই।
এক সময় লক্ষ করলাম ওরা সততা ও আর্দশ প্রচার করলও নিজেরা দুর্নীতি ও অনিয়মে আকন্ঠ নিমজ্জিত। কেউ এর বিরোধীতা করলে তাকে লাঞ্চিত হতে হয়। উপর থেকে নির্দেশ, বিদ্রোহ দমন করতে হবে কঠোর ভাবে।
ওদের ভিতরে একবার ডুকে গেলে আর বের হওয়া যাবে না। বের হলে তাকে গোপনে হাত পা ভেঙ্গে দেয়। আমি বুঝলাম, আমার প্রতিভাই আমার জন্য বিপদ। আমার পিছু ওরা ছাড়বে না। তাই একদিন রাজশাহী ছেড়ে ঢাকা পালালাম। এম বি এ করছি প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে।
আজোও সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে ঘৃনায় গাটা গিন গিন করে উঠে।
অফিস থেকে বাসার ফেরা পথে ভাবছি.....দীর্ঘ দিনের বদলা আজ নিব ভোটের মাধ্যম। ঘৃনীত জামায়াত শিবির আর্দশের ফুটো বেলুন নিয়ে উর্ব্ধে যাক মর্তোলোক ওদের জন্য নয়।

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×