নীলাকাশের নিচে বসে যখন বিশাল ভাবনার জগতে নিজেকে হারিয়ে ফেললাম,
তখন পাশে এক ছায়ামূর্তির আবির্ভাব ঘটল।
কেমন যেন ঘোর লেগে আছে। এত সুন্দর পৃথিবীর সব কিছু কেমন যেন ঘোরের সৃষ্টি করেছে আমার মাঝে।
ছায়ামূর্তিটি আমার পাশে বসে পরল হুট করে।
বসে বলতে লাগল, " সত্যিকার অর্থে মানুষ দুঃখী হয় তখনই যখন সে জীবনে কিছু পেতে চাই যা তার সামর্থ্যের বাহিরে আর তা না পাওয়ার কারণে কষ্টে ভোগতে থাকে। সব কিছু পেলে হয়ত জীবনের মানেই পাল্টে যেত। না পাওয়া জিনিসটার প্রতি মানুষের আগ্রহ থাকে তীব্র । আর জিনিসটা হাতছাড়া হয়ে গেলে মানুষ নিজেকে সব চেয়ে বেশি দুঃখী ভাবে।
এক সময় সে নিজেকে খুঁজে পায় অন্ধকার গহ্বরে। আস্তে আস্তে একাকিত্তের বোধটা তাকে গ্রাস করে। যে কোনো ছোট বিষয়ে তার দু'চোখ অশ্রুশীতল হয়ে পরে।
তখন মনের সুক্ষকোণে ব্যথার আহাকার বেজে উঠে। সেই ব্যথাগুলো এক সময় তার সঙ্গী হয়ে রয়ে যায়।''
আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম। কি যেন হারিয়ে গেছে জীবন থেকে আর তা খুঁজে পাওয়ার তীব্র চাওয়াটা হাজার ব্যথার সৃষ্টি করছে আমার মাঝে।
হঠাৎ আসা ছায়ামূর্তিটি আবার হঠাৎ করেই চলে গেল।
কিছুক্ষণ পরে মনে হল যা ঘটল তা হয়ত সত্যি নয়। ছায়ামূর্তিটি আমার মনেরই তৈরি কোন কল্পনা হয়ত !!
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১