somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবিত সমাধি

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মানুষ তো পৃথিবীতে আসে বেঁচে থাকার জন্য। কিন্তু কয়জনের ভাগ্যেজুটে ভালোভাবে বেঁচে থাকার সুযোগটুকু? সম্পদের মূল্যটুকু যেখানে মানুষের চেয়ে বড় হয়ে দাঁড়ায় সেইখানে মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসাটুকু যে নিঃশেষ হয়ে যাবে সেটাই গ্রহণযোগ্য ব্যপার! দিনকে দিন মানুষ যেখানে উন্নতির দিকে পা বাড়াচ্ছে সেখানে কিছু মানুষ এমনও আছে যারা দু’বেলা দু’মোটো ভাতও খেতে পারে না ঠিক মত। ফুটপাতে তারা বেড়ে ওঠে। কেউবা ঝরে পরে অকালে।
কে তাদের খুঁজ রাখে? রাখার সময়টুকু কার আছে?
একটি ঘটনা আমার মনোজগতে একদিন খুব ধাক্কা দিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২৩.৩.২০১১ তারিখে ।
ঘটনাটি হচ্ছে-
যখন আমি কলেজ থেকে ফিরছিলাম তখন দেখলাম রাস্তা পার হওয়ার সময় আমাদের কলেজের এক ছেলের সাইকেলের সাথে ধাক্কা খেয়ে একটি শিশু পরে যায়। কলেজের ছেলেটি ফিরেও তাকায়নি শিশুটির দিকে। সে তার পথে চলে যায়। সেই শিশুটির সাথের অন্য পথশিশুরা তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে যায়। আমিও তার কাছে গেলাম। ওর মুখ দিয়ে কলকল করে রক্ত বের হচ্ছিল আর তার সে কি কান্না। তাকে তাড়াতাড়ি পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে দেয় তার সাথের শিশুগুলো। তার কান্না কমে না। তাকে যখন বললাম কান্না থামানোর কথা সে আরও কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগল, ‘আমার খাবার পড়ে গেছে।এখন আমি কি খাব?’ তখন রাস্তায় আবার তাকিয়ে বুঝতে পারলাম সে তার পরে যাওয়া খাবারের জন্য এত কাদতেছে। অথচ ব্যথার কথা সে বলতেছে না। ওখানে বসে পরলাম আমি। নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হচ্ছিল তখন। চোখের কোণায় পানি ছলছল করছিল। তাকে তার মা এসে নিয়ে যাচ্ছিল। সে তার মার আঁচলে ধরে বার বার বলছিল আমার ভাতগুলো পরে গেছে মা,আমি কি খাব এখন..................।।
তার সাথের শিশুগুলো বলতেছিল, আজ অনেক দিন পর আমরা খাবার পেয়েছি। পাশের বাড়িতে বিয়ে হচ্ছিল। তাদের ফেলে দেওয়া খাবারগুলো আমাদের আজ ভাগ্যে জুটেছিল।
সেই ছোট ছেলেটি ব্যথার জন্য নয় বরং ভাতের জন্য কাঁদছিল। একমুঠো ভাতের জন্য কাউকে এর আগে আমার চোখের সামনে কাঁদতে দেখিনি।
বাকহারা হয়ে যেতে হয়েছিল সেদিন। এমন কত ঘটনা আমাদের আশেপাশে ঘটে যাচ্ছে। তারা যেন জীবিত থেকেও মৃত্যুর কাছাকাছি রয়েছে। বেঁচে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তাদেরকে জীবিত সমাধি দিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন :( :((
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×