কিছু নাগরিক ও গণতান্ত্রতিক সচেতন মানুষের পোস্ট দেখছিলাম। যারা গণতন্ত্র চর্চাতে উন্মত্ত। তাদের ভাষ্যমতে, এ সরকার তাদের মত প্রকাশের সুযোগ দেয় নি (যদিও তারা কিছু দিন ধরে ক্রমাগত সরকার বিরোধীই পোস্ট করে চলছেন)।
আচ্ছা, মেনে নিলাম এ সরকার আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয় নি।
আপনাদের কথা মত গণতন্ত্র চর্চা করে আমরা ২০১৯ সালের ভোটাধিকার সম্পন্ন করলাম। ধরে নিলাম, আপনাদের ভাষ্যমতে মহাজোট সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় আসন অর্জন করতে পারেনি। ঐক্যফ্রন্ট সরকার গঠন করবে। এখন দেশের ভবিষ্যত কি? ভাবছের ড. কামালকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে? :/
প্রথম কথা এ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টকে আমার কাছে মনে হলো ইমোশনাল ফুল। কারণ তারা মানুষকে ইমোশনালি অ্যাটাক করার চেষ্টা করছে। এই ব্যপারটা স্পষ্ট হয় যখন মির্জা ফখরুলের ভিডিওগুলো দেখি তিনি বাংলাদেশের পক্ষে ভোট চাইছেন। আহা! প্রকৃতপক্ষেই এ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের একমাত্র সম্বল জনগণের আবেগ। তা যাই হোক, আমরা একটু ভবিষ্যত কল্পনা করার চেষ্টা করি।
নির্বাচিত হওয়ার পরমূহুর্তেই লন্ডন থেকে একটি বিমান বাংলাদেশের দিকে রওনা হবে। খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। কিছুদিন পর জামাতকে বৈধভাবে রাজনীতি করার সুযোগ দিবে। আচ্ছা তাতে সমস্যা কি?
নাহ, সমস্যা নেই কোন। তবে এখানেই সমস্যা। ড. কামাল তার গুটি কয়েক আসন নিয়ে কি করবে তা বলতে পারছি না। তবে তিনি যে মূর্তির ন্যায় ভূমিকা পালন করবে তা গতকাল দেওয়া সাক্ষাতকার শুনলেই বোঝা যায়। কিন্তু দেশের তাতে কি?
আপনাকে ১০ বছর অন্ধকারে রাখা হয়েছে (স্বীকার্য)। এরপর হঠাৎ একদিন আপনাকে আলোর জগতে নিয়ে আসা হলে কি আপনি এই পরিবেশ স্বাভাবিক মনে করবেন? তখন সচরাচর উন্মত্ত ভাব চলে আসবে। বিএনপি-জামাত সমর্থকদেরও একই অবস্থা হবে। দেশে তারা একরকমের নৈরাজ্যের সৃষ্টি করবে। নিশ্চিত।
খালেদা জিয়ার ভূমিকা? ও বাবা! সেবার তার বাড়ির সামনে বালুর ট্রাক রাখাতেই যেরকম গোপালী আচরণ করেছিল, এবার না জানি কি হয়? এত মাস জেলে থাকার পর কি যে তিনি করবেন বোঝা মুশকিল।
তারেক রহমানের কথা তো আমরা জানিই। এ আর নতুন কি?
হ্যাঁ, আওয়ামী লীগ ভালো করেনি অনেক ক্ষেত্রেই। তবে বিএনপি থেকে তো ভালো করেছে। এটা আমরা মেনে নিতে পারিনি। আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে অনেক সময়ই ভোট দিয়ে থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১