somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুর্কুমা বাটো মেন্দি বাটো ----- ১

১০ ই জুন, ২০০৯ রাত ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিছু কিছু মানুষের সাথে পরিচয় হয়ে মনে হয় একে অনেক আগের থেকেই চিনি । আবার এর উল্টাটাও হয় , অবাক হয়ে চিন্তা করি আরে! এরকম লোকের সাথে আগে কখনোই পরিচয় হয় নাই ।
কিন্তু এই দুই ধরনের অনুভূতি একই ব্যাক্তির ব্যপারে কখনো টের পাই নাই লীনার সাথে পরিচয় হওয়ার আগে ।

দু'মাস আগে আমার ইউনিভার্সিটির প্রফেসরদের সাথে আগডুম বাগডুম আলাপ করছিলাম , প্রফেসর আমার খুব পরিচিত সে একটা পেপার বের করে বললো - এই ক্লাসটার বিষয়ে কিছু জানো ?
দেখি লেখা - 'ক্রিয়েটিভ এক্টিভিটি'
আমি আগ্রহ নিয়ে বল্লাম - না তো ! এই বিষয়ে শুনিই নাই কখনো কিছু !
- খুবই ইন্টারেস্টিং , সময় পাইলে টিচারের সাথে যোগাযোগ কইরা একটা ক্লাস করে দেখতে পারো ।

নিজের ব্যস্ততায় সেই ক্লাসের টিচারের সাথে আর যোগাযোগ করতে পারি নাই । গত মাসের ১৬ তারিখ একটা ক্লাস ছিলো আমার, ইউনিতে গিয়া দেখি ক্লাস ক্যান্সেল । ক্যাফেটেরিয়ায় বসে কম্পু গুতাচ্ছিলাম আর কফির মগে চুমুক দিচ্ছিলাম , তখন কানে আসলো কিছু পুলাপান 'ক্রিয়েটিভ এক্টিভিটি'র ক্লাস নিয়া আলাপ করছে । জানতে চাইলাম ওরা কি সেই ক্লাসটা করে কিনা । বললো পনের মিনিট পরেই তাদের ক্লাস শুরু হবে। আমি তখন ঠিক করলাম গিয়া দেখি কাহিনীটা কি !

ক্লাসে ঢুকে দেখি ক্লাস ভর্তি ছেলেমেয়ে । ৩২/৩৩ বছর বয়সী এক মহিলা ক্লাস নিচ্ছেন । আমাকে দেখে জানতে চাইলো আমি এই ক্লাসের ছাত্র কিনা । বল্লাম - না .. শখে আসছি একটা ক্লাস করতে ।

কোনার এক চেয়ারে গিয়ে বসলাম । মহিলা সবার হাতে 'এ থ্রি' সাইজের একটা করে শক্ত পেপার দিয়ে 'হাত' বিষয়ক কি সব লেকচার দিলো কিছু বুঝলাম বেশির ভাগই বুঝলাম না (ক্লাস টা পোলীশ ভাষায় হচ্ছিলো )। কাছে ডেকে বিনয়ের সাথে বল্লাম আমি তোমার কথা কিছুই বুঝি নাই, তুমি কি আমাকে একটু আলাদা ভাবে বুঝায় দিবা ?
বেচারী মুখ কালো করে নিজ ভাষায় বললো - তুমি কি কিছুই বোঝ না !
আমি আমার বিখ্যাত বিনয়ের হাসি দেখিয়ে বল্লাম -
- বুঝি । কিন্তু অল্প সল্প।
- আমি তো ইংরেজী তেমন পারি না। আচ্ছা দেখি তোমার জন্য কি করা যায়।
বলেই নিজ ছাত্র/ছাত্রিদের উদ্দেশ্যে জানতে চাইলো ভালো ইংরেজী জানে কে ? এই ছেলেটাকে কে সাহায্য করবে ।
পাঁচ ছয়টা হাত উপরে উঠলো এর মধ্যে আমার সবচেয়ে কাছের মেয়েটাকে টিচার অনুরোধ করলো আমাকে সাহায্য করার জন্য ।

নাদুস নুদুস শরীরের ২৪/২৫ বছর বয়সের একটা মেয়ে ১৪/১৫ বছর বয়সী কিশোরের ক্ষিপ্রতায় চেয়ার টেবিল কাটিয়ে আমার পাশে এসে বসে হাসি মুখে বললো-
- হ্যাল্লো ! কিছু চিন্তা কইরো না আমি সব বুঝায়া দিবোনে তোমাকে । প্রথমে আমরা হাত দিয়ে যে কোন একটা সাইন দেখাবো , সেটা শান্তির প্রতিক হতে পারে শয়তানের চিহ্ন হতে পারে যে কোন কিছু ... সেইটা আমরা কাগজে এঁকে ফেলবো ছাপ দিয়ে, তারপর আমরা কাগজ বদলাবদলি করবো এবং তোমার হাতের ছবি দেখে আমার কি মনে হচ্ছে সেটা আমি একই কাগজে আঁকবো আর তুমি আমার কাগজটাতে আঁকবে । এরপর আবার আমরা যার যার কাগজ নিয়ে আমি নিজে কি ভেবে এই হাতের সাইন দিলাম সেটা সেই কাগজেই এঁকে বোঝানোর চেষ্টা করবো । বিষয়টা একটু ছেলেমানুষী .. কিন্তু আমি নিশ্চিত তুমি মজা পাবে । ওহ .. ভালো কথা ..আমাকে আমার বন্ধুরা লীনা ডাকে । তুমিও আমাকে লীনা ডাকতে পারো । তোমার নাম কি ?
সারা ক্লাসেই লীনার সাথে টুকটাক আলাপ হচ্ছিলো .... প্রচন্ড প্রানবন্ত একটা মেয়ে, নিজের নাদুস নুদুস শরীর নিয়ে নিজেই ভয়ংকর ভয়ংকর টাইপ রসিকতা করতে দ্বীধা করে না। দারুন ছবি আঁকতে পারে। নিজের ছবি আঁকার খাতা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো- দেখ। সেই খাতায় মার্শাল আর্ট বিষয়ক ছবি দেখে জানতে চাইলাম এগিলিও পারো নাকি !!
বললো - তার ব্লাক বেল্ট আছে ।

ক্লাসের শেষের দিকে এসে লীনা তার হাত বাড়িয়ে বললো -
- তোমার আমার খুব পছন্দ হয়েছে । আমার সামনের মাসে ৬ তারিখে বিয়ে (অবাক হয়ে খেয়াল করলাম কথাটা বলার সময় লীনার গালদুটো রং বদলালো) তোমাকে আমি আমন্ত্রন পত্র দিতে চাই , তুমি কিন্তু অবশ্যই আসবে ।


----- চলবে
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০০৯ রাত ১২:০২
৪৬টি মন্তব্য ৪০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×