গোয়েন্দা গল্প অপুদা এর চাবি রহস্য সমাধান চতুর্থ পর্ব
হাসপাতালে গিয়ে দেখি কেবিন নং ২০ তে ডি দাস বেডে শুয়ে আছেন।তাদের বাড়ির সদস্য দের ঘড়ি আর মোবাইল ফেরত দিয়ে অপুদা বলল, ডাক্তার কি বলেছে?ডি দাস এর ছোট ছেলে বলল একটা সক পেয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছে।আমরা তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে হোটেলে চলে এলাম।পরের দিন সকালে দশটার সময় আমরা রেডি হলাম সদর হাসপাতালে ডি দাসকে দেখতে যাব বলে।কিন্তু হোটেল থেকে বেরতেই ডি দাস এর ছোট ছেলে তপেস দাস এর ফোন এল,
অপুদা:হ্যালো কে?
তপেস দাস: হ্যা অপু, আমি তপেস বলছি।
অপুদা:হ্যা বলুন।
তপেস দাস:বাবা সকাল ৯টার দিকে মারা গেছেন,তোমরা কি একবার আসতে পারবে?
অপুদা:হ্যা আমরা আসছিলাম এই পথেই।
এই বলে ফোনটি কেটে দিল।তারপর আমাকে বলল ডি দাস মারা গেছে তাড়াতাড়ি চল।আমরা হাসপাতালে পৌছেই দেখি সবাই কাঁদছে, তার মধ্যে তপেস দাস এর স্ত্রী বলল, ডি দাস মারা যাবার সময় বলে গেছেন"ছো ছো ছো তারপর বলল কি তারপর ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল উচু করে নাড়ালেন তারপর আর কিছু বললেন না।বড় ছেলের দিকে হাত তুলে চলে গেলেন।
ছোট ছেলে নাছোড় বাধা বাবা শেষে কি বলে যেতে চেয়েছেন তা সে জানতে চায় এবং এর জন্য সে গোয়েন্দা লাগাতে চায়।আমরা সবাই শ্বসানে গেলাম,। সারা দিন সেখানে কেটে গেল।কিন্তু আমি মনে মনে ভাবছিলাম গোয়েন্দার কাজটি যদি অপুদা নেয় তাহলে খুব ভাল হবে।তার প্রথম কেস হবে তাও আবার আমি সাথে থেকে সমাধান করবে, বেস মজা হবে।কিন্তু হোটেলে গিয়ে শুনি অপুদা কেসটি নেবে না। শুনে আমার মন বেস খারাপ হয়ে গেল।কিন্তু পরক্ষনে আবার হাসি ফিরে এল কারন ও বলল ও কেস না নিলেও সে গোপনে তা সমাধানের চেষ্টা করবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২