মূল : মুহাম্মাদ যাফযাফ
অনুবাদ: ফায়সাল বিন খালিদ
সম্ভবত ঘটনাটা ১৯৫০ কিংবা ৫১ কিংবা ৫২ সালের। তারিখটা আমার ঠিক মনে নেই। শুধু মনে পড়ে ওখানে ছিল দূরে দূরে ছড়িয়ে থাকা ছোট ছোট কতগুলো খুপড়ির একটা বস্তি এবং উটের পশমের কিছু তাবু। তাবুগুলোও এক সাথে ছিল না, ছিল দূরে দূরে এবং সেগুলো ছিল বস্তির ঘরগুলো থেকে বেশী প্রশস্ত। মিনা মাহদীর দিকে যে পথটা চলে গেছে, বস্তিটা ছিল তার বাম পাশে। কিন্তু উটের পশমের তাবুগুলো ছিল ডান পাশের নিম্নভূমিতে, তারপর ছিল ছোটখাটো একটা বিল। আমরা প্রায় ওই এলাকায় যেতাম, বিলপারে খেলতাম কিংবা বিলে সাতার কাটতাম কিংবা দেখতে পেতাম একদল মেয়েমানুষ খালি পায়ে কোন জানাযার পিছনে উলু ধ্বনী দিতে দিতে যাচ্ছে। এবং আমি জানতে পারিনি পথের ওপারের উজানে এবং প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও উটের পশমের তাবুগুলোর নিচে কেন এত বেশী বেশী মানুষ মরে। অথচ আমাদের বস্তির খুপড়ি ঘরগুলোতে মারা যেত শুধু বৃদ্ধ বা শিশুরা বা সেই সব বেদেনীদের কেউ কেউ যারা পুরুষ মহিলা এবং শিশুদের জাদু করত। যে যত বেশী জাদু করত সে ছিল তত বেশী মৃত্যুর কাছাকাছি। সেই সময় কত জাদুকারিনী যে মারা গেল !! কারণ তারা বেশী বেশী জাদু করত, এমনকি যে সব পুরুষ মহিলা এবং শিশুদের তারা কোনদিন দেখেনি তারা তাদেরও জাদু করত। সম্ভবত পথের ওপারের সেই উজানের, উটের পশমের তাবুর নিচের মহিলারাও এই কাজটা করত। এই কারণেই তাদের মানুষগুলো বেশী বেশী মারা যেত। তবে যারা বেঁচে আছে তারাও কিছু দিনের মধ্যেই মারা যাবে। হয়ত আমারাও মারা যাব জাদুতে কিংবা অন্য কোন কারণে। কারণ জাদু ছাড়াও মানুষের মৃত্যুর আরো অনেক কারণ আছে। উদাহরণত: মহামারী এবং সেই জিনিসটা যার নাম ছিল কলেরা। মানুষ তার কথা খুব বলাবালি করত। ৫০ এবং ৫১ এবং ৫২ সালের সেই দিনগুলোতে আমরা প্রায় শুনতাম মহিলারা তাদের সন্তানদের বলছে, ‘যাহ, খোদা তোকে মহামারীতে ফেলবে।’ দেখেশুনে মনে হয় মহামারীটা হচ্ছে কঠিন কোন রোগবালা যার কারণে মানুষ ও গরুছাগল মারা যায়। সেই উজান ভূমিতে, বিলের পারে খালি পায়ের মহিলারা উলু ধ্বনী দিতে দিতে যাদের লাশের পিছনে যেত, সন্দেহ নেই তারাও মারা গেয়েছিল জাদুতে বা মহামারীতে বা সেই রোগে পড়ে যার নাম কলেরা। দৃশ্যটা দেখে আমরা খুব ভয় পেয়ে যেতাম : লাশের পিছনে পিছনে হাটছে এক দল মেয়েমানুষ, খালী পায়, প্রায় নগ্ন দেহে, মুখ-উরু চাপড়াতে চাপড়াতে, বরং অনেকে মাতম করতে করতে গায়ের কাপড় ছিড়ে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে যেত, অনেকে পথের মাটিতে বা বিলের কাদায় গড়াগড়ি খেত। তাদের কান্না ছিল বাঘের গর্জনের মত। বাঘের কথা ওঠায় মনে পড়ল, সেই সময় ওই অঞ্চলে আমি কখনো কোন বাঘ দেখিনি। কিন্তু বড় হওয়ার পর আমি একবার বাঘের মাংস খেয়েছিলাম। এক শিকারী বন থেকে বাঘ শিকার করে আনলে আমরা পুড়িয়ে বাঘের মাংস খেয়েছিলাম। লোকে যেমন বলে বাঘের মাংসে তেমন কোন দুর্ঘন্ধ নেই। বরং সেই মাংস ছিল খুবই সুস্বাদু।| আমার বিশ্বাস বাঘের মাংস খেতে শিখলে সেই মানুষগুলো মারা যেত না। সম্ভবত তাদের মৃত্যুর আরেকটা কারণ ছিল ক্ষুধা। উদাহরণত : আমাদের বাড়িতে আমরা খেতাম শুধু জবের রুটি আর চা এবং সম্ভব হলে কখনো কখনো নিরামিষ তরকারী। পথের ওপারের উজানে, বিলের পারে খুব কমই ভেরা চড়তে দেখা যেত। যদি বা কখনো দেখা যেত তবে নিশ্চিত সেই পশুর পিছনে বা সামনে কিংবা আশেপাশে কোথাও একজন মানুষ তার পাহারায় থাকত। কারণ কোন পশুর পক্ষে মানুষ ছাড়া একাকী চড়া সম্ভব নয়। তাহলে অন্য কোন মানুষ এসে তা চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে দিবে কিংবা জবাই করে ফেলবে। মানুষ যদি নিজে উপস্থিত থেকে তার পশু না চড়ায় তাহলে অন্য কোন মানুষ এসে তা চুরি করে নিয়ে যায়। একই কথা খাটে মেয়ে মানুষের বেলাতেও। যদি তুমি তোমার মেয়েমানুষকে পাহারা দিয়ে না রাখ, নিজে উপস্থিত থেকে পশুর মত না চড়াও তাহলে অন্য কোন পুরুষমানুষ এসে তাকে নিয়ে যাবে। তাই পুরুষের দায়িত্ব তার মেয়ে মানুষের সামনে বা পিছনে কিংবা তার আশেপাশে কোথাও থাকা। প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব তার মানুষ ও পশুকে পাহারা দেওয়া, চড়ানো। বড় হয়ে যখন লেখাপড়া শিখলাম তখন এই হাদিসটি পড়ে আমি খুবই অবাক হয়ে ছিলাম ‘প্রতিটি মানুষই রাখাল এবং তাকেই নিতে হবে তার পশুর দায়িত্ব’। নবী সা. যেহেতু নিজে রাখাল ছিলেন তাই এই বিষয়টি তার খুব ভালভাবেই জানা ছিল।
পথের ওপারের উজানের লোকেরা সম্ভবত পশু চাড়ানোয় খুব পারদর্শী ছিল। কিন্তু পথের বাম পাশে দূরে দূরে ছড়িয়ে থাকা খুপড়ির বস্তিতে ছিল শুধু একটি মরাধরা গরু এবং...। আমরা সবাই তার মালিক ছিলাম না। তা ছিল বনি হাসানের এক পাগল লোকের। ও সম্ভবত মানসিক রোগী ছিল। ও কারো সাথে কথা বলত না। কেউ জানত না সে কোত্থেকে আসছে। সবাই শুধু শুনতে পেত কুকুরের ঘেউ ঘেউ, বেঙ্গের ডাক, মাছির ভনভনানি এবং সেই পাগল লোকের গরুটার ..., সে তার গরুটা নিয়ে মাঠে ঘুড়ত এবং মাঝে মাঝে তার সাথে কথা বলত। আরেকবার- যখন আমি বড় হয়েছি এবং লেখাপড়া শিখেছি- চেখভ নামের এক রাশিয়ান লেখকের একটি গল্প পড়েছিলাম, যাতে এক গাড়োয়ান তার ঘোড়ার সাথে কথা বলে। তবে সেই গাড়োয়ান মানসিক রোগী ছিল কি না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। কে জানে ! হতে পারে আমাদের সেই গরুওয়ালাও পাগল ছিল না। আমার ঠিক মনে নেই। সেটা ৫০ কিংবা ৫১ কিংবা ৫২ সালের কথা এবং গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গরুটা সেই সময় বেঁচে ছিল মিনা মাহদীর দিকে চলে যাওয়া সড়কের বাম পাশের বস্তিতে এবং তা আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে ... করে বেড়াত এবং সম্ভবত সেই ঘোড়াটাও রাশিয়ার সাদা বা কালো বরফের নিচে হ্রেষা ধ্বনি দিয়ে ঘুড়ত। যাইহোক ওখানে ছিল কয়েকটা খুপড়ি ঘর, উটের পশমের কতগুলো তাবু, মিনা মাহদীর দিকে চলে যাওয়া একটি সড়ক যা বস্তি দুটোকে আলাদা করে দিত এবং ছিল ছোটখাটো একটি বিল। ওখানে কিছু মানুষ মরে যেত, বেঁচে থাকত কিছু মানুষ এবং একদল মেয়েমানুষ খালি পায়ে, মুখ-উরু চাপড়ে, কাপড় ছেড়ে উলুধ্বনী দিতে দিতে শব যাত্রার পিছনে পিছনে চলত। তবে এই সবই এক দিন শেষ হয়ে যাবে যেমন শেষ হয়ে গেছে জীবনের অনেক কিছু, শুরু হয়েছে অন্য অনেক কিছু। উদাহরণত: যুদ্ধ শুরু হবে এবং একদিন থেমে যাবে, অত:পর অন্য আরেক যুদ্ধ শুরু হবে এবং একদিন তাও থেমে যাবে, অনেক মানুষ জন্ম নিবে, মারা যাবে অন্য অনেক মানুষ এবং যেমন বাছুর বিয়ানোর পর তুমি গরুটাকে জবে করে ফেলবে, তারপর আসবে অন্য আরেকজন মানুষ, যে জবে করবে পরের গরুটাকে, তার খাল ছাড়াবে এবং মাংস রান্না করে খাবে। যদি সে দানশীল ভালমানুষ হয় তাহলে হয়ত পাড়াপরশীদের কিছু মাংস দিবে। আমি জানি এখানে সেটা খুবই বিরল ব্যাপার, তবে কখনো সখনো তাও কি ঘটে না ! উদাহণত: সেই শিকারী তো সবাইকে বাঘের মাংস দিয়েছিল কিন্তু অনেকেই তা খায় নি। কিন্তু আমি পশ্চিম থেকে এই অঞ্চলে আসা আমার মা-চাচীদের কাছে, কোনো এক সময় ঘটে যাওয়া অনেক জবের গল্প শুনেছি। তারা ক্ষুধার কথাও বলতেন এবং সেই সব পুরুষমানুষদের গল্প করতেন যারা ফরাসী সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল, যাদের কেউ কেউ ফিরে এসেছে পঙ্গু হয়ে, মারা গেছে অনেকে এবং তাদের স্ত্রীরা এখনো ফরাসী দেশের কাছ থেকে তাদের স্বামীর মৃত্যুর বিনিময় পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। তবে ওখানে, অন্তত মাহদী মিনা সড়কের বাম পাশের আমাদের বস্তিতে কোন যুদ্ধাহত ছিল না। হতে পারে পথের ওই পারের উজানে উটের পশমের তাবুর নিচে অনেক যুদ্ধাহত ছিল। তবে তা ছিল আমাদের বস্তি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এবং ওখানে ছিল একজন ফরাসী সেনা অফিসারের কবর। তামার শেকল ঘেরা পাকা কবর। আমরা শেকল ডিঙ্গিয়ে কবররের উপর গিয়ে বসতাম, তার উপর খেলা করতাম। আমরা কেউ জানতাম না সেই ফরাসী অফিসারকে কেন সেখানে, সমুদ্র পারে একাকী কবর দেওয়া হয়েছিল। অথচ খৃষ্টানদের গোরস্তান সেখান থেকে খুব বেশী দূরে ছিল না, মাত্র দশ কিলোমিটার এবং আসলেই খৃষ্টান গোরস্তানটা ছিল খুব সুন্দর। প্রতিটি কবরের উপর এবং আশেপাশে থাকত নানা রঙ্গের ফুল গাছ। সেই গোরাস্তানের লোহার গেইটের কাছে বসে একজন মরোক্কিয়ান ওই মৃত খৃষ্টানদের পাহারা দিত। আমরা শিশুরা সেই সুন্দর গোরস্তানে ঢুকতে চাইলে সেই দাড়োওয়ান মোটা একটি লাঠি উঁচিয়ে আমাদের তাড়া করত। ও ছিল খুব চতুর এবং সজাগ এমনকি ও যখন তার জুব্বার ভেতর গুটিশুটি মেরে ঘুমিয়ে থাকত তখনও আমরা জানতাম ও জেগে আছে। ব্যাপারটি খুবই সুন্দর যে, একজন জীবিত মরোক্কীয়ান মৃত কিছু খৃষ্টানকে পাহারা দিচ্ছে। পরে আমি জানতে পারি ইসলাম হচ্ছে উদারতার ধর্ম, কিন্তু খৃষ্টানরা আমাদের স্পেন থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, আমাদের মেরেছে এবং ওখানে এমন একজন খৃষ্টানও নেই যে, মুসলমানদের কবর পাহারা দিতে পারে, বরং বই পড়ে আমি জেনেছি তারা এমন কি কবর খুড়ে মুসলামনদের লাশগুলোও বের করে ফেলেছিল। তবে আমরা সেই ফরাসী অফিসারের কবর খুড়ি নি। বরং আমরা তার উপর খেলা করতাম এবং মাঝে মাঝে তার আশেপাশে খালী মদের বোতল পেতাম। একাকী নি:সঙ্গ একটা কবর। নিকটে একটি উঁচু বৃক্ষ, তার পিছনে সমুদ্র। এই লোকটি কিভাবে মারা গিয়েছিল ? কেউ বলতে পারে না। মোটকথা হচ্ছে সে মারা গিয়েছিল, যেমন আমরা সবাই মারা যাব এবং কেউ তার কবরের স্থান নির্বাচন করতে পারে না। সেটা নির্ধারণ করে জীবিতরাই, এমনকি মৃত ব্যাক্তি যদি ওছিয়তও করে যায়। পথের ওপারের তাবুর ভেতর যারা মারা গিয়েছিল সন্দেহ নেই তারা কোন ওছিয়ত করে যায় নাই, তবে তারা রেখে গেছে ডজন ডজন সন্তানসন্তুতি, একদিন যাদের দাফন করা হবে বিভিন্ন স্থানে, ওছিয়ত অনুসারে কিংবা কোন ওছিয়ত ছাড়া।
মোটকথা অনেক মানুষ জন্ম গ্রহণ করবে এবং মারা যাবে অনেকে, যেমন মারা গেছে সেই ফরাসী অফিসার এবং এটা খুবই সম্ভব ছিল যে, এই কবরের পরিবর্তে কোন স্থানে তার একটা ভাষ্কর্য নির্মাণ করা হত, যার বুকে ঝুলে আছে এক গুচ্ছ পদক। যাইহোক সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। অন্য একসময় ওখানে ছিল কয়েকট খুপড়ি ঘর, কিছু উটের পশমের তাবু তেমনি ছিল মিনা মাহদীর দিকে চলে যাওয়া একটি সড়ক। পথটি ছিল খুব দীর্ঘ এবং মাঝে মাঝে তার উপড় দিয়ে চলে যেত এক পাল গাধা। কোথায় যেত ? কেউ বলতে পারে না। কেউ যাত্রা করে এবং আটলান্টিক সাগরের পারে গিয়ে বস্তি গড়ে, অনেকে যাত্রা করে এবং পথের ওপারে গিয়ে উটের পশমের তাবু ফেলে বসত শুরু করে, কেউ কেউ যাত্রা করে বেদেশ ভূমিতে একাকী নি:সঙ্গ মারা যায়, শিশুরা খেলা করে তার কবরের উপর, কবরের আশপাশ থেকে কুড়িয়ে আনে মদের খালী বোতল। কিন্তু এক সকালে দেখলাম যাত্রা করে এল একদল নতুন লোক, তাদের অনেকে মরোক্কী, অনেকে বিদেশী। তারা সেই খুপড়ির বস্তিতে কি জানি খোঁজাখুজি করছে, কি সব বলছে, আঙ্গুল তুলে ইশারা করছে। তবে তারা উটের পশমের তাবুগুলোর দিকে কোন ইশারা করে নি। দুপুরে দেখলাম মেয়েছেলেরা মুখ-উরু চাপড়ে বিলাপ করছে, কয়েকজন লোক জায়তুন গাছের নিচে বসে কথা বলছে। কি বলছিল তারা? কেউ বলতে পারে না। পরের দিন সকাল কয়েকটা ট্রাক ও লরী এসে আমাদের শহরতলীতে নিয়ে গেল। বড় হয়ে লেখাপড়া শেখার পর আমি জানতে পারি, সেদিন তারা সেখানে একটি ফরাসি সমুদ্র ঘাটি স্থাপন করতে চেয়েছিল এবং তারা তা করেও ছিল। কিন্তু তারা বুঝতে পারে নি তারা কি করছে। সেই খুপড়ি ঘরের বস্তি বা উটের পশমের তাবুর বস্তিতে কোন স্কুল ছিল না। তবে শহরতলিতে একটা স্কুল ছিল। আমরা সেখানেই পড়িছিলাম। সেই সকালে তারা যদি না আসত, আঙ্গুল উঁচিয়ে কথা না বলত, ফরাসী সমুদ্র ঘাঁটি স্থাপন না করত তাহলে আমরা সেই এলাকা ছেড়ে আসতাম না এবং আমাদের লেখাপড়া শেখা হত না। আল্লাহ যার তকদীরে যে স্থানের কথা লেখে রেখেছেন যাত্রা করে তাকে সে স্থানেই যেতে হয়।
অনেকে যাত্রা করেছে কবরের অভিমুখে, অনেকে পায়ে হাটা পথে যাত্রা করে হজ্বের উদ্দেশ্যে। কিন্তু আমি যাত্রা করলাম অন্য পথে, যখন তারা আমাদেরকে আমাদের বস্তি থেকে তাড়িয়ে দিল। আমি বড় হলাম, লেখাপড়া শিখলাম এবং একদিন এই সব গালগল্প লিখতে শুরু করলাম। যাত্রা কর... সবাই যাত্রা কর, কারণ পথ অনেক দীর্ঘ এবং গাধার পাল ... ইত্যাদি ইত্যাদি...
১০/৫/২০০৮ ইং
ফায়সাল বিন খালেদ
প্রথম বর্ষ, ত্রিপলী ইসলামিক ইউনিভার্সিটি (ত্রিপলি, লিবিয়া)
আলোচিত ব্লগ
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন