somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১০ মুহাররম,বিষাদভরা আশুরা ।।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ ১০ মুহাররম,
১৪৩৬ হিজরী ।
পৃথিবীর ইতিহাসে
সবচেয়েতাত্‍পর্যময়
দিনগুলির একটি ।
৬১ হিজরীর এই দিন
উমাইয়া রাজতন্ত্রের
প্রতিষ্ঠাতামুয়াবিয়ার
খ্রীস্টান উপপত্নীর ঘরে
জন্ম নেওয়া ইয়াজিদের
(আল্লাহর অভিশাপ
বর্ষিত হোক)
সৈন্যদের নির্মম ও পাশবিক
অত্যাচারে বিপ্লবী ইমাম
হোসাইন (আ)এর শিবিরে
পানির তীব্র অভাবদেখা
দেয়।।

ইয়াজিদের
সৈন্যদের দ্বারা ফুরাতের
তীরে অবরোধের কারণে
পানির অভাবে মুহম্মদ
(স)এর পরিবারের শেষ
প্রদীপেরা ছটফট করছিল,
নারীরা মাতম ও শিশুরা
চিত্‍কার করে কাঁদছিল ।
কূফায় পানির অভাবেনা
খেয়ে ধুঁকছিল
বিশ্বনবীর বংশধরেরা ।।

ইমাম হোসাইনের অস্থায়ী
তাঁবুর পুরুষেরা
আজ১০ মুহররম
সকালে
বিপ্লবের মাধ্যমে
ফুরাতেরপানি
অর্জনের শপথ নেয় ।
আর এদিকে মদ্যপ,
ব্যভিচারী,নরাধম ইয়াজিদের
নির্দেশে ওঁত্‍পেতে থাকা
নিষ্ঠুর শিমার,জিয়াদও
সাদ আবিওয়াক্বাস
নামক উমাইয়া জানোয়ারেরা
অপেক্ষায় ছিল মুহম্মদ(স)
এর রক্তধারা পৃথিবী থেকে
নিশ্চিহ্ন করে দিতে এবং
তারা তাতে অনেকটা
সফল হয় ।
ফলে পরবর্তী কয়েকশবছর
এইসব জঘন্য উমাইয়ারা
সুমহান ধর্মইসলামকে
বিকৃত করে ছিঁড়েভুঁড়ে
ফেলে
এবংঅজস্র মিথ্যা হাদিস
ছড়িয়ে উমাইয়াদের
কারবালার হত্যাযজ্ঞকে
বৈধতাদেওয়ার চেষ্টা করে,
করে যাচ্ছে
এখনো উমাইয়াদের
এযুগের প্রেতাত্মাগুলো।।

কাপুরুষের মত ইয়াজিদের
সৈন্যরা ১০ মহররম
কারবালারপ্রান্তরে ঝাঁপিয়ে
পড়ে ইমাম হোসাইনের
৭২ জন সঙ্গীর উপর।
সবাইকে হত্যা করে
লাশ বিকৃত করে
নরপশুরা ।
এমনকি জান্নাতে
যুবকদের নেতা ইমাম
হোসাইনের ধড় থেকে
মাথা বিচ্ছিন্ন করে
জবাই করে তাঁকে
শহীদ করে ইয়াজেদের
অনুসারী শিমার ।
তারপর ইমামের লাশে
রউপর ঘোড়া দিয়ে
তা ক্ষতবিক্ষত করে
এসব উমাইয়া
অজাত-কুজাত,অসভ্য
ও বর্বর।।

ইসলামে দুটি বড়
মতধারা হচ্ছে সুন্নী ও
শিয়া ।
সর্বপ্রথম মনে রাখতে
হবে এই শিয়া-সুন্নী
বিভেদের ইসলাম
মুহম্মদ(স)এর প্রচলিত
ইসলাম নয়,
এটি উমাইয়া জাহেলী
মতাদর্শ।।

হযরত আলী (রা)
এর সময় থেকে
মুসলিমদের একটি
অংশ তৈরি হয় যারা
আলী রা এর উপর
ধারাবাহিক অবমূল্যায়ন
দেখে তাঁর অনুগত হয় ।।

এই 'শিয়া' বা অনুসারীরা
আলী রা এর সঙ্গে
মুয়াবিয়ার বেঈমান ও
অমুসলিমসূচক আচরণ
দেখে প্রকাশ্যে আলী রা কে
সমর্থন দেয় ।।

এই হকপন্থীরা কারবালায়
ইমাম হোসাইনের
অনুসারীদের হত্যাযজ্ঞের
পর আরো সু-সংগঠিতহয় ।
এরা বিশ্বাস করতো,
খলিফা হওয়ার যোগ্য
কেবল নবী পরিবারের
সদস্যরা ।
এরা পরবর্তীতে
ইমাম হোসাইনের বিপ্লবে
অংশ না নেওয়ার হীনমন্যতা
প্রকাশ করে নানা অনুষ্ঠান
করে ।
এর মধ্যে তাজিয়া
মিছিল,মাতম,
স্মরণসভা ইত্যাদি ।।
অতএব শিয়া একটি
রাজনৈতিক সঙ্ঘাত এবং
মতধারা ।।

আজ যখন কিছু
গর্দভ শিয়া বলতেই
অমুসলিম
বলে এরা আসলে
রাজধৈতিকও ধর্মীয়
আদর্শের ব্যাপারে
অজ্ঞ অথবা সৌদি নব্য
উমাইয়া অপপ্রচারের
ধারক যারা ইয়াজিদকে
সম্মান করে খলিফা
বলে(ধ্বংস হোক ইয়াজিদও
এর স্তুতিকারীরা)।।

আশুরার সাওম রাখা

বেশ বড় ধরনের
ইবাদতগুলোর
একটি ।
এই সাওম রেখে
আপনি অনেক পূণ্যের
অধিকারী হতে পারেন ।
আবু হুরায়রা রা
বর্ণনা করেন ,
মুহম্মদ(স)বলেন,
রমজানেরপর আল্লাহর
মাস মুহররমের
সাওম সর্বশ্রেষ্ঠ ।
[তিরমিজি?১/১৫৭]
তবে একটি না রেখে
একাধিক রাখাই উত্তম।

১০ মুহররম অতি
তাত্‍পর্যময় একটি দিবস ।
এদিন আল্লাহ পৃথিবী ও
আকাশ সৃজন করেন ।
আদম আ কে তৈরি
করেন ।
এই দিন হযরত নূহ আ
এর কিস্তি পর্বতে
ঠেকেছিল ।
এই দিন মূসা র লাঠির
আঘাতে নীলনদ
খন্ডিত হয় ও তত্‍কালীন
ফিরাউন নিমজ্জিত হয় ।
১০ মুহররম আল্লাহ
তায়ালাহযরত ইবরাহীম
আ কে
অগ্নি থেকে মুক্ত করেন ।
এই দিন আল্লাহ পাক
ইহুদীদের চোখ ধূলা
দিয়ে ঈসা আ কে
আসমানে উঠিয়ে নেন।
ইত্যাদি ঘটনার পরে
তাত্‍পর্যময় হয়ে ওঠে
কারবালার করুন কাহিনী।
উমাইয়া বংশীয় নৃশংসতা
বিশ্বনবীর পরিবার ও
রক্তধারাকে এই পৃথিবী
থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন
করে দেয় ।
সেদিন যদি পিশাচ
ইয়াজিদ বাহিনী ঐ
হত্যাযজ্ঞ না চালাতো
তবে অবশ্যই ইসলামে
এতোটা বিভেদ সৃষ্টি
হতোনা ।
খেলাফত কখনোই
রাজতন্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপিত
হতোনা ।
নিজেদের মধ্যে শিয়,
সুন্নী,ওয়াহিবী,সালাফি,
হানাফী,হাম্বলী,মযহাবী,
লা মাযহাবী সৃষ্টি
হতোনা ।
তাই এই করুণতম
দিনটাতে ইমাম
হোসাইনের বিপ্লবের
ব্যর্থতার দুঃখে
যখন কেউ কাঁদে,
রক্তঝরায় তার মধ্যে
অতিরঞ্ঝন থাকে
হয়তো-
তবে তাঁর মধ্যে রয়েছে
ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ।।
এর কারণে তারা
কাফির হতে পারেনা ।।

এবং এই ১০ মুহররম
কোন এক শুক্রবারে
মহাবিশ্বধ্বংস করে দেবেন
আল্লাহ ।
সব মিলিয়ে এই
দিনটির গুরুত্ত্ব অপরিসীম ।।

আল্লাহ আমাদের
বিভেদ ও
প্রভেদ ভুলে আশুরার
মাহাত্য বোঝার
সামর্থ দিক।
ইমাম হোসেনের
মহাবিপ্লবের চেতনা
আমাদের অন্তরে
বদ্ধ হোক,সর্বযুগের
ইয়াজিদীয় অপশাসনের
বিরুদ্ধে হৃদয়ে
জাগুক যৌক্তিক ঘৃণা ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:১৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×