somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারী নির্যাতন নিয়ে যতই বয়ান দেন, ক্ষমতাধরদের কখনও শাস্তি হয় না!

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি জানিনা কাশ্মীরের মেয়েটাকে লাঞ্ছনাকারী উত্তরার শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ওই ছাত্রদের ব্যাক-আপ অনেক বড় কিনা। তাদের ছয়জনকে ১-৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি চারজন সাহায্যকারীর সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এইসব সাময়িক বহিষ্কার কোন শাস্তির পর্যায়ে পড়েনা। ছয়মাস পরে দেখা যাবে তারা ক্লাস শুরু করবে। কেউ কিছু মনে রাখবেনা, পাত্তাও দিবেনা। আর মেডিক্যালে এইসব এক-দুই বছর লস যাওয়া কোন ব্যাপারই না। অনেকের এমনিই যায়।
সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হল, এই কলুষিত নরকের কীটগুলো একটা সময় পাশ করে ডাক্তার হবে। তাদের নোংরা হাত দিয়ে আমাদের মেয়েদের স্পর্শ করবে। ভাবতেও আমার গা ঘিনঘিন করে উঠছে!
তারা যে অপরাধ করেছে সেটার জন্য তাদের কী শাস্তি দেয়া উচিত সেটা আলাদা বিষয়। আমার কথা হল তাদের ডাক্তারি পড়তে দেওয়া উচিত না। ডাক্তারি সার্টিফিকেট আক্ষরিক অর্থেই লাইসেন্স টু কিল, লাইসেন্স টু টাচ। অযোগ্যদের হাতে সেই লাইসেন্স চলে গেলে আমাদের জীবন ও সম্মানের নিরাপত্তা থাকবেনা।

কার্টেসিঃ Click This Link

লেখাটা পড়ে খুব খারাপ লাগল। কিছুদিন আগে কাশ্মীরের একটি মেয়েকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যায় সেই মেডিকেল কলেজের বড়ভাই খ্যাত কয়েকজন। তুলে নিয়ে যাবার কয়েক ঘন্টা পর মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে ফেরত আসে। এই নিয়ে মেয়েটি বিচার চাইতে গেলে তাকে কৌশলে হেনস্থা করা হয়। শেষে মেয়েটি তার নিজের দেশ কাশ্মীরে ফেরত যায়। বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে পড়াশোনা করতে আসা একটি মেয়েকে আমরা এভাবে নিরাপত্তা দিলাম? আমাদের দেশের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী বিদেশে পড়তে যায়। যারা মেয়েটির সাথে খারাপ আচরণ করল, তাদের কি কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত না? নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করুন। আর আমার অবাক লাগে মিডিয়ায় এই সংবাদটি তেমন কোন গুরুত্ব দিয়ে আসল না। এত কিসের ক্ষমতা তাদের? কিভাবে তারা পার পেয়ে গেল? অত্যন্ত হতাশ হয়ে ব্লগে লিখলাম। ব্লগের অনেকের তো বড় বড় লিঙ্ক আছে, তারা কেউ কিছু করতে পারেন কিনা দেখেন। এত বড় একটা অন্যায় করে এভাবে পার পেয়ে যেতে দেয়া যায় না।

সূত্রঃ প্রথম আলো।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×