somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানো সবুজ চোখের সেই আফগান মেয়ে

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বিপন্নতা, অসহায়ত্ব, উদ্বেগ—কী ছিল না ওই চোখ দুটিতে। জ্বলজ্বলে সবুজ চোখে যেন সারা দুনিয়ার মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলছিল ওই কিশোরী। আলোকচিত্রী স্টিভ ম্যাককারির তোলা ওই আফগান কিশোরীর ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সাময়িকীর প্রচ্ছদ হয় ১৯৮৫ সালে। সাময়িকীটির সবচেয়ে আলোচিত প্রচ্ছদ তো বটেই, দুনিয়ার আলোকচিত্রের ইতিহাসেও অমর হয়ে যায় ছবিটি। কিন্তু শরণার্থী শিবিরে থাকা শরবত গুলা নামের ১২ বছরের সেই কিশোরীর ভাগ্যে কী ঘটেছিল? গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, নাম-পরিচয় পাল্টে এখন পাকিস্তানে বসবাস করছেন তিন কন্যার জননী শরবত গুলা। খবর এএফপির।

১৯৮৫ সালে রাশিয়ার সামরিক দখলদারির বিরুদ্ধে আফগান মুজাহিদদের লড়াইয়ের সময় দেশটির এক শরণার্থী শিবিরে শরবত গুলা নামের ওই কিশোরীর ছবি তুলেছিলেন স্টিভ ম্যাককারি। ‘সবুজ চোখের আফগান মেয়ে’ হিসেবে দুনিয়ার মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে শরবত গুলার ছবির কথা। ছবিটির বিপুল খ্যাতির পর থেকেই ওই কিশোরীকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন ম্যাককারি। শরবত গুলাকে আবার খুঁজে পেতে ১৭ বছর লেগেছিল তাঁর। ২০০২ সালে আফগানিস্তানের এক প্রত্যন্ত গ্রামে পাওয়া যায় তাঁকে। শরবত গুলা তত দিনে এক বেকারিশ্রমিককে বিয়ে করেছেন। তিন মেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে ওই গ্রামেই থাকতেন তিনি।

কিন্তু রুশদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত আফগান মুজাহিদিনদের লড়াই শেষ হয়েছে আরও আগেই। ২০০১ সালে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার পর তত দিনে আফগানিস্তানে শুরু হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে তালেবানের লড়াই। আগের যুদ্ধের সময় কিশোরী শরবত গুলা আশ্রয় নিয়েছিল এক শরণার্থী শিবিরে। এবার কি শরবত গুলা পাড়ি জমান প্রতিবেশী পাকিস্তানে?

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে পেশোয়ারে ‘শরবত বিবি’ নাম নিয়ে পাকিস্তানি নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করা নারীই হয়তো ‘সবুজ চোখের আফগান কিশোরী’ শরবত গুলা। পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটির মুখপাত্র ফাইক আলী চাচার বলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ‘শরবত বিবি’র পরিচয়পত্র জালের ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। তিনি বলেন, ‘শরবত বিবির ঘটনাটি হয়তো এমন বহু পরিচয়পত্র জালের একটি। গত ১২ বছরে প্রায় ২৩ হাজার আফগান শরণার্থীর এমন পরিচয়পত্র জালের ঘটনা ধরা পড়েছে এবং রহিত করা হয়েছে।’

পাকিস্তানি পরিচয়পত্রের জন্য আবেদনে ‘শরবত বিবি’ লিখেছেন তাঁর জন্ম ১৯৬৯ সালে পেশোয়ারে। কিন্তু আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ছবিতেও জ্বলজ্বলে সবুজ চোখের সঙ্গে খোদাই করা মুখের আফগান কিশোরীর হুবহু মিল পাওয়া যায়। এএফপির এক প্রতিবেদক পরিচয়পত্রের আবেদনে লেখা ঠিকানায় গিয়ে খোঁজ করে জানতে পারেন, অনেক দিন ধরে স্বামীকে নিয়ে সেখানে বসবাস করলেও মাস খানেক আগেই এলাকাটি ছেড়ে যান শরবত বিবি।

পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, শরবত বিবি এবং রউফ খান ও ওয়ালি খান নামে তাঁর দুই ছেলেকে একই দিনে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল। আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া ওই তিনজনের সব কাগজপত্রই জাল বলে ধরা পড়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্ভবত ওই দুই ছেলেও আসলে তাঁর সন্তান নন।

সূত্রঃ প্রথম আলো
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারা এমন মেধাবী এদেশে দরকার নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৩২



২০০১ সালে দেলাম ঘরে আগুন দেওয়া ও মন্দীরে হামলার জঘণ্য কাজ। ২০০৪ আবার দেখলাম ঘরে আগুন, মন্দীরে হামলা, মাজার ভাঙ্গা, পিটিয়ে মানুষ মারার জঘণ্যতম ঘটনা।জাতি এদেরকে মেধাবী মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিক্ষাঙ্গনে অপ্রীতিকর ঘটনার মুল দায় কুৎসিত দলীয় লেজুরভিত্তিক রাজনীতির

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫

সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে সবাই কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবি সাজতে চায়। কিন্ত কেউ কোন দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে রাজী নয়। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোমলমতিদের নিয়ে আমি কি বলেছিলাম?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪



আমি বলেছিলাম যে, এরা ভয়ংকর, এরা জাতিকে ধ্বংস করে দেবে।

ড: ইউনুসের সরকারকে, বিশেষ করে ড: ইউনুসকে এখন খুবই দরকার; উনাকে টিকিয়ে রাখতে হলে, কোমলমতিদের থামাতে হবে; কিভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিটিয়ে মানুষ মারার জাস্টিফিকেশন!

লিখেছেন সন্ধ্যা প্রদীপ, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩

এদেশে অনেক কিছুই সম্ভব।বর্তমান এলোমেলো সয়য়ে যা সম্ভব না বলে মনে করতাম তাও সম্ভব হতে দেখেছি।তবে মানুষকে কয়েক ঘন্টা ধরে পিটিয়ে মারাকে ইনিয়েবিনিয়ে জাস্টিফাই করা যায় এটা ভাবিনি।তাও মেরেছে কারা?
একদল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আহা তোফাজ্জল

লিখেছেন সামিয়া, ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৪




মৃত্যু এখন এমনি সহজ
ভিডিও করতে করতে;
কথা বলতে বলতে
ভাত খেতে দিতে দিতে;
কনফিউজড করতে করতে
মেরে ফেলা যায়।

যার এই দুনিয়ায় কেউ অবশিষ্ট নাই
এমন একজনরে!
যে মানসিক ভারসাম্যহীন
এমন একজনরে!
যে ভবঘুরে দিক শূণ্য
এমন একজনরে!
যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×