অনেক সময়ই কাউরে না কাউরে শায়েস্তা করতে মন চায়। চাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। । মাঝে মাঝে আমারো মনটায় কয় লাথি দিয়া কাউরে না কাউরে উড়ায় ফালাই। যাই হোক,লাথি দিয়া উড়াইতে পারি নাহ। তাই অন্য ভাবে পাপিষ্ঠ গুলান রে শায়েস্তা করা লাগে। আপনারাও এপ্লাই করতে পারেন ।
শায়েস্তা করার জন্য আপনার যা যা লাগবেঃ
১।টাকা
২।টাকা
৩।টাকা
যদি এই তিনটি জিনিস আপনার সাথে থাকে তাহলে দুনিয়ার তাবত বদমাইশ কে শায়েস্তা করা কোন ব্যাপারই নাহ।
প্রথম কথাঃমেক আ ডিসিশান
শায়েস্তা কি মানসিক ভাবে করবেন নাকি শারীরিক ভাবে করবেন তা আগে ঠিক করুন ।
শারীরিক ভাবে শায়েস্তা করার চিন্তা না করাই ভাল।কারণ দেহের ব্যাথা সাময়িক । তারপরেও যদি শায়েস্তা করতে চান আমার আপত্তি নাই ।
এর জন্য যা যা দরকারঃ
১।একটি ব্যাগঃ কেমন ব্যাগ লাগবে তার একটী ছবি দেখুনঃ
এই ব্যাগ পাবেন নাহ । কাজেই আপনার জন্যে অল্টারনেটিভ ব্যবস্থা,
২. শায়েস্তা করার মুড।
৩। সাহস ।
৪।তাকে বাসায় দাওয়াত দেবার মত কলিজা।
৫। একটী লাইটার ।
৬।কিছু কোমল পানীয়।
যাই হোক প্রক্রিয়ায় আসি ।
ভিকটীমকে কোন ভাবেই বুঝতে দেয়া যাবে না আপনি কি চান।
তার সাথে যতটা সম্ভব মধুর ব্যবহার করুন । পরিস্থিতি অনুকূলে এনে তাকে দাওয়াত দিন আপনার বাসায়। বাসায় দাওয়াত দিয়ে ভাল মন্দ খাওয়ান । খাওয়ানোর পর তাকে কোমল পানীয় সরবরাহ করুন । নিজে খাবার ভান করুন । অন্তত কম পান করুন । মনে রাখবেন ঠান্ডা মাথাটাই আসল। কোন মতেই উত্তেজিত হওয়া যাবে নাহ। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন ।
তারপর তাকে টাল বানিয়ে ফেলুন ।নিশ্চয়ই সে বেসিনে যাবে বমি করতে। যেতে দিন। তারপর মাথার পিছন থেকে আপনার বিখ্যাত ব্যাগটা উপুর করে লাগিয়ে গিট্টা টান দিন। গলায় শক্ত ভাবে বসেছে কিনা খেয়াল করুন। ইতিমধ্যেই সে শাস্তি পাওয়া শুরু করছে। কারণ সে যে বমি গুলো করছে তার কিছু নিশ্চয়ই তার ব্যাগে পড়ছে । যাই হোক ।ব্যাগ ভরার পর প্রথম যে কাজটা করবেন তা হল তার গা থেকে কাপড় চোপড় সব খুলে ফেলুন। সূতাও রাখা যাবে নাহ। তার পর লাইটারের আগুনে সেগুলো দাউ দাউ করে পুড়িয়ে দিন । কিভাবে পুড়াবেন তা আপনার বিবেচনা। মনে রাখবেন এমন সময় কোন মতেই নিজের মনকে দূর্বল করা যাবে না। প্রশ্রয়ই দিবেন না। বারবার তার পাপের কথা ভাবুন ।
তারপর তাকে আগা টু গোড়া ইচ্ছা মত পিটূন। গোপন অঙ্গে চাইলে আগুন ধরিয়ে দিতেন পারেন। মনে রাখবেন এভ্রিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার। তার পর তাকে তার বাসার সামনের রাস্তায় ফেলে দিয়ে আসুন। অল ক্লিয়ার।
মানসিক ভাবে শায়েস্তা করার ব্যাপারটা ইনশাল্লাহ পরে আলোচনা করব।