somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডোম

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটু আগেই আমার বড় আপা মেডিকেল থেকে এসে আমারে তার মোবাইলের একটা ভিডিও দেখাইল । পোস্ট মর্টেমের ভিডিও।দেখলাম একজন ডোম কিভাবে একটা লাশেরে কাঁটা ছেড়া করতেসে ।ঠিক মত বুঝা যাচ্ছিল না কারণ একটু দূর থেকে ভিডিও টা করা ।তারপরেও বাকিটা কল্পনা করে নিচ্ছিলাম।দেহটা কাটছে,হার্ট লাংস বের করতেসে ।মাথার চামড়া ছিলে ফেলতেসে ।তারপর হাতুড়ি দিয়ে খটাশ খটাশ বাড়ি মেরে মাথাটা ফাটায় ফেলতেসে । কি আশ্চর্যই না একটা মানুষের জীবন । একটু আগেই হয়ত রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। জীবন নিয়ে কতই না স্বপ্ন দেখতেসিলো ।তারপরই হঠাৎ করেই হয়ত বা কোন বাস বা দ্রুত যান এসে মেরে দিয়ে গেল । শুধু তাকে তো মারল না,মেরে গেল তার সব স্বপ্ন আকাঙ্খাকে। মেরে গেল তার পুরা পরিবারটাকে ।কি অদ্ভুত!

খুব খারাপ লাগে এসব মৃত্যুর খবর শুনতে । কি আশ্চর্য মানুষের জীবন ।এসব দেখে কিছুক্ষণ হয়ত দুঃখ টুক্ষ করি। তারপর আমরা আবার আগের মত হয়ে যাই ।

কখনো কখনো চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পত্রিকায় অগ্নিদগ্ধ মানুষের খবর পড়ি । কখনো বা সোফায় গা হেলিয়ে টিভির চ্যানেল ঘুরাতে ঘুরাতে লাশের খবর দেখি ।হিসেব কষতে থাকি,রানা প্লাজায় দেড় হাজার,নীমতলিতে দেড়শ ,বিডি আর ট্র্যাজেডি তে ১৪৯ ইত্যাদি ইত্যাদি ।তারপর প্রস্তুতি নেই সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সিনেমা দেখে আসার।

পৃথিবীটাই তো এমন ।খবর দেখতে দেখতে কোন সময় নিজেই যে খবরের পাতায় চলে আসব না তার গ্যারান্টি কি?তারপরেও আমরা খাই দাই ঘুমাই। খবর দেখি ।

এর মাঝখানেই তৈরি হয়ে যায় আরো কত কত খবর। কত কত ডোম আরো কত কত লাশ কাটাছেড়া করে ।

সেই ডোমের কোন মা নেই বাবা নেই ভাই নেই । কেউ নেই। লাশকাটা ঘরে সে একা। তারপাশে যারা আছে তারা না পারে কথা বলতে না পারে তার হাতের বিড়িটা মুখে নিয়ে দুটো টান দিতে।এ ত সেই ডোম যে না পারে কারো সাথে থাকতে,না কেউ পারে তার সাথে থাকতে।

এসব লিখতে লিখতেই নিজেকে ডোমের মতই মনে হয়। আশে পাশে লাশ দেখে দুর্গন্ধে নাক চাপা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করে না সেই ডোম ।যার পাশের সবকিছুকেই প্রাণহীন মনে হয়,সেই ডোম।

ক্লান্ত হয়ে গেলাম,সত্যই ক্লান্ত।


সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×