somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরো একটি পুলিশি বীভৎস নির্যাতনের সংবাদঃ এবারের শিকার ঢা.বি ছাত্র; এড়িয়ে গেছে মিডিয়া !!

২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৯:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ণ ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র হয়েও তথাকথিত জনগণের রক্ষক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পাশবিক নির্যাতন ও প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আজ কারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আব্দুল কাদের। প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের এই মেধাবী ছাত্রটি গত ১৫ই জুলাই রোজ শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১ টার দিকে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়। সেদিন তার মমতাময়ী মা ইস্কাটনে অবস্থিত আত্মীয়ের বাসায় কাদেরের একমাত্র ছোট বোনকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। তার এই ছোট বোনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ-তে অধ্যয়নরত। সম্প্রতি সে ইন্দিরা গান্ধী বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। বোনের এই অসামান্য সাফল্যের আনন্দকে ভাগাভাগি করে সে ইস্কাটন থেকে ফজলুল হক মুসলিম হলের দিকে ফিরছিল, কিন্তূ পথে বাধ সাধে পুলিশ, তারপর সৃষ্টি হয় আর একজন অভাগা ‘লিমন’-এর।
খিলগাঁও থানা পুলিশের ভাষ্যমতে, খিলগাঁও ফ্লাই ওভারব্রিজের নিচে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদেরকে পুলিশ ধাওয়া করলে, পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা ককটেল নিক্ষেপ করে এবং পালিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের পিছু নেয়। এমতাবস্থায় পুলিশ সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে।এর মধ্যে একজন হলো আমাদের বিভাগের আব্দুল কাদের।
গভীর রাতে যানবাহন না থাকার কারনে সে হেঁটেই ইস্কাটন থেকে ফজলুল হক মুসলিম হলের দিকে ফিরছিল, কিন্তু সে তখনও জানতো না পথিমধ্যে কতবড় বিপদ তার জন্য অপেক্ষা করছে। পুলিশের মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হবে, তাও সে জানতো না।
পুলিশের গাড়ি ধাওয়া করছিল ছিনতাইকারীদের গাড়ীকে। ছিনতাইকারীরা যখন গাড়ী থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল তাদের একজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে এবং তাকে প্রহার করলে সে কাদেরকে দেখিয়ে তাদের সহকারী বলে দাবী করে। তখন তারা ওই ছিনতাইকারীর বক্তব্যের ভিত্তিতে কাদের কে আটক করে। কাদের তখন তাদের বলে, “আমি যদি তার সহকারী হই, তাহলে তাকে আমার নাম বলতে বলেন।” এর উত্তর ওই ছিনতাইকারী দিতে পারেনি। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয় দেয়ার পর সে আরো রোষানলের স্বীকার হয়। তাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়। সকালে খবর পেয়ে তার রুমমেট তাকে দেখতে গেলে তাকেও শাসানো হয়। সে গিয়ে দেখতে পায় যে কাদের-এর গায়ে মারধরের আলামত ছিল কিন্তু বাম পায়ে কোনো জখমের চিহ্ন ছিল না। সন্ধ্যায় তাকে পুলিশি হেফাযতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে তার বন্ধুরা তাকে দেখতে যায় এবং তারা কাদের-এর বাম পায়ে জখমের চিহ্ন এবং রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরই মধ্যে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কাদের তার বন্ধুদের জানায় পুলিশ চাপাতি দিয়ে তার বাম পায়ে এই জখম করেছে।

ঘটনার পরদিন সকালে সহপাঠিদের বিক্ষোভের মুখে বিভাগের শিক্ষকগন বিশেষত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মামুন রশিদ স্যার ও অধ্যাপক ড.আনোয়ার হোসেন স্যার এর উদ্যোগে আপাতত কাদের জামিনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
রিমান্ডের আদেশ ছাড়াই শুধুমাত্র সন্দেহের বশবর্তী হয়ে আব্দুল কাদের এর উপর এহেন অমানবিক, বর্বোরচিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
আমরা আব্দুল কাদের-এর বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা অভিযোগ ও মামলার আশু প্রত্যাহার দাবী করছি এবং তার এই নির্যাতনের জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবী করছি ।

কাদেরের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আগামিকাল দুপুর ১২.০ টায় মানববন্ধন। স্থানঃ অপরাজেয় বাংলা চত্ত্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:২০
৪২টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×