আসো তোমায় শেখাই আমি কেমন করে শ্বাস নিতে হয়।
আসো তোমায় দেখাই আমি বন্দি ঘরে হারিয়ে যাওয়ার নেই কোন ভয়।
পাশে বসো দেখাই তোমায় কেমন করে আঁকলে পরে স্বপ্নগুলো নীল রঙা হয়।
হাতটা বাড়াও দেই ছুঁয়ে দেই আমার মত একটু তোমায়।
সামনে এসো দেখাই তোমায় চোখের কোনের নিশান আধার।
চুপটি করে একটুখানি দাও ছুঁয়ে দেও মনের ভিতর ব্যাথার পাহাড়।
দেখবে তুমি কতো নদি এই মোহনায়, সাগর জলে আছড়ে পরে।
বলছি শোন এই আকাশে বিনা মেঘেই অঝোর ধারায় শ্রাবন ঝড়ে।
ভিজবে তুমি আমার মত একটুখানি আমার এই লোনা জলে?
এদিক ফিরো তাকিয়ে দেখ আয়নাতে কার মুখ দেখা যায়?
ধরবে বুঝি? হাত বাড়ালে মৃণ্ময়ী ওই বিষাধ কালো।
কাছে এসো, তাকিয়ে দেখি কপালে ওই হারিয়ে ফেলার ভাজ দেখা যায়।
হাতটা ধর, দেখাই তোমায় কেমন করে বাঁধতে যে হয়।
শক্ত করে ধরলে বুঝি আশার জমিন পোক্ত কি হয়?
আসো শেখাই হারিয়ে হাজার, কেমন করে সুখ পেতে হয়।
শুনবে নাকি? কানটা পাতো বুকের মাঝে, ওই যে শোন লাল লহূরা গান গেয়ে যায়।
দেখবে নাকি? ফুসফুসে ওই গুলগুলিরা কেমন করে বাষ্প ফোটায়।
নিউরনেরা পেলে খবর শিরায় শিরায় অগ্নি ঝড়ায়।
দেখবে নাকি ?আমার ভেতর কেমন করে তোমায় রাখি?
ভয় পেয়ো না তোমায় দেখে তোমার চেয়েও আমার ভিতর।
দেখবে চলো আমার ভেতর আমার চেয়েও তোমার শিকড়।
বসবে নাকি? এই উঠোনে নিজ বৃক্ষের ছায়া তলে?
পা ভেজাবে? দেব তুলে শিশির নরম অশ্রু জলে
দেখবে নাকি কেমন করে আলতো করে খোঁপায় রাখি?
রোজ বুননে খাস যতনে , চুপটি করে আঁচলে ঢাকি।
বেশতো এবার দিব্যি করে দাও বলে দাও,
তোমার ভেতর তুমি বলে আর কিছু কি রইলো বাকী?
আমি ছাড়া তোমার ভেতর নেই কিছু নেই, মিথ্যে মায়া ভীষণ ফাকি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৫ ভোর ৬:৩২