somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্প - যদি নিমিষে হারালে জীবনের পরিপাটি

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(১)
“ পাখিকে কে খুঁজে পাচ্ছিনা কেন , যাকে আমি ভালবাসিনা ...বরং ঘৃণা করি ? “

রায়হান , জানি আকুল হয়ে তুমি আমাকেই খুঁজছ । প্রতিটি মানুষের ই দুই ধরনের মানুষকে দেখার জন্য থাকে উদগ্রীব । এক যাকে খুব ভালবাসে আর যাকে ঘৃণা করে ।কপাল দোষে আমি তোমার ভালবাসা পাইনি কিন্তু ঘৃনা যেহেতু পেয়েছি , তাই আমি না বরং তুমিই মরেছ । তুমি আর আমাকে ভুলতে পারবেনা ।
তোমার সব প্রোগ্রামে আমার জন্য অজান্তে ঘৃণাভরে একটা চেয়ার বরাদ্ধ রাখবে আর আমাকে খুঁজবে । রায়হান , তুমি অনেক কিছুই জাননা । তাই আমাকে ভালবাসতে চেয়েছিলে আর আমার শীতলতায় এখন ঘৃনাও কর ।

আজ তোমাকে অনেক কথা বলবো । প্রথমেই তোমাকে জামিলের কথা বলি ,শুন । জামিল হল সেই মানুষ , যার কন্ঠ আমার রক্তে জোয়ারের ঢেউ আছড়ে পড়ে । মাথাও একটু ঝিম ঝিম করতে থাকে । আমি তাকে খুব ভালবাসি । ও নিজেও কেয়ারিং টাইপের । আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রায় সব মেয়েরা ওর জন্য পাগল । কিভাবে যেন ওর সাথে আমারই এফেয়ার হয়ে গেলো । তাও বেশিদিন হয়নি আমাদের রিলেশনের , মাস খানিক হবে ।
আহ , আমার ফোন টা বেজেই যাচ্ছে । জামিল করেছে আমি জানি । আমি ফোন রিসিভ করে আসি ।
>হ্যালো জামিল
> পাখি , আমার জান , কি কর তুমি ? চলনা বেরিয়ে পড়ি
> কোথায় ?
> যেদিকে দুচোখ যায়
> চল ।
>আই লাভ ইউ পাখি ।
> কিন্তু আমার ম্যাথ পরীক্ষা টার কি হবে ?
> আমার সংগে চল , তোমাকে ডেমো দিয়ে দেব । আরে এই ম্যাথ দিয়েতো আমিও পাশ করেছি নাকি ?
আমরা ঘন্টা দুয়েকের জন্য আশুলিয়ায় নৌকা ভাড়া করেছি । বর্ষার অথৈ জল , জামিলের কবিতা ।আমার খোপায় লাগানো কদম । কি বলব , সব কিছু কি রকম পারফেক্ট ম্যাচিং । এই অথৈ পানির মধ্যে হাউজিং কোম্পানীর বড় সাইনবোর্ড লাগানো ।
>আচ্ছা , জামিল এই জায়গাগুলো যদি ভরাট করে ফেলে হাউজিং কোম্পানী তাহলে বর্ষার এত্ত পানি কোথায় যাবে ?

> অন্য এলাকা ডুবে যাবে তখন । পাখি ত দূরে বসে আছ কেন ? আরেকটু কাছে এস ।

আমি একটু এগিয়ে আসতে গিয়েই নৌকার মধ্যে রাখা একটা কিছু দেখে অবাক হয়ে গেলাম ।
> এটা কি কনডম ? এখানে কেন ? এখানে তাহলে এই হয় ? নৌকার ছৈ এ রাখাছিল বস্তুটি ।
> দেখ দূরে যতগুলি নৌকা বাঁধা । ওখানে সব কাপল রা আছে । আজকাল ননভেজ প্রেম কি আজকাল আছে ? এস আমরা এটাকে কাজে লাগাই ।



আমি চুপ করে জামিলের কাহিনী দেখছি । ধুর কি থেকে কি হয়ে গেলো । এই প্যাকেটটাই যত নষ্টের গোড়া । আমার গাঁইগুঁই দেখে জামিল বলল ,
> পাখি তুমি কি আমাকে ভালবাসনা ? দেখ আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে নেব না হয় । আল্লাহ খুব দয়ালু । আমাদের মাফ করে দিবেন । প্লিজ আমাকে আদর করতে দাও । তোমাকে এত সুন্দর লাগছে । নীল জলরাশির মধ্যে নীল জলদেবী । এত সুন্দরের পূজা যদি না করি সেটাই আমার আজকের সবচেয়ে বড় পাপ হবে ।
আচ্ছা গতকাল ও আমরা রিকশায় যা করেছি অতটুকুই করবো এর বেশিনা প্রমিস ।

প্রমিস কথাটার মর্যাদা জামিল রাখতে পারছেনা । আমি বাঁধা দিয়ে বললাম , জামিল আমরাতো বিয়ে করিনি এখনো ।
> আচ্ছা , বিয়ে মানে কি ?গুছিয়ে রাখার মত একটা বাড়তি কাগজ । আচ্ছা তোমার কাছে কি একটা কাগজের মূল্য এতই বড় হয়ে গেলো । সেই একটাকা দেন মোহরের একটা কাগজ । তার জন্য এই সময় টাকে বৃথা যেতে দিওনা । ভালবাসা হবে উদার , নিঃস্বার্থ , নিঃশর্ত ।

আসলে , আমাকে পাবার জন্য ওর মধ্যকার এগ্রেসিভ ভাবটা আমার খুব ভাল লেগেছে । আমি আমাকে উপহার দিলাম । আর ও জানে কিভাবে কদর করতে হয় ।কিভাবে সেবা করতে হয় । কিভাবে আদর করে ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হয় । ও একটা শিল্পী ।


দিনে দিনে ওকে কাছে পাওয়ার জন্য ব্যকুলতায় আমি মরে যাচ্ছি । আমি আসলে ওর ছোঁয়াগুলো , আদরগুলোর জন্য হেবিচুয়াল হয়ে গেছি ।মন যেখানে হারিয়ে গেছে শরীর আর কি । ওর কথা আমার সমস্ত স্বত্বা জুড়ে । ঘোরের মত দিন গুলো যাচ্ছে । সত্যি কথা বলতে কি ফিজিকেল রিলেশন হবার আগ পর্যন্ত ও এমন লাগত না । প্রথম দিন একটু বেশি জড়তার কারনে আমি আসলে সব কিছু বুঝে উঠতে পারিনি । এরপর একটু একটু করে ও আবার শরীর মনের দখল নিয়েছে । জামিল সবসময় বলে , “ বুঝছ পাখি শরীরের কোন পাপ নাই । পাপ পূণ্য সব মনের ব্যপার । “

আমরা একটা ফ্ল্যাটে উঠলাম । ফ্ল্যাট সাব্বির ভাই নামের ওর বিসনেস পার্টনারের

জামিল একদিন আমাকে বলল , সামনেই রোজা , তুমি কি রোজা রাখবে ? তাহলে তোমার সামনে সিগারেট খাব না ।আমি ও রোজা রাখতাম কিন্তু অন্তর থেকে ধর্ম ব্যাপারটায় সাড়া পাইনা , বুঝছ? আমি তিন দিন একনাগাড়ে না খেয়ে থাকতে পারি কিন্তু এই রোজা অসহ্য লাগে ।

আচ্ছা ধর্মে বিয়ের ব্যাপারটা ধর । এই যে মোহরানা ব্যাপারটা । তোমার কি মনে হয় না মোহরানা একধরেনের প্রস্টিটুটের মত একটা ব্যপার । আমি টাকা দিয়ে কিনে নিলাম এমন একটা ঘৃণ্যব্যাপার চলে আসে কিন্তু ।

জামিলের কথাটাতে কিন্তু বেশ যুক্তি আছে ।

এরই মধ্যে সাব্বির ভাই একদিন আমাদের ফ্ল্যাটে এলেন । জামিল বলল , “ সাব্বির ভাই তোমার সাথে একটু পরিচিত হতে চায় । ওনার বউ আছে , কিন্তু খ্যাত টাইপের । ওনার কথা বলার মানুষটাও নাই । এই তোমার সাথে কথা টথা বলবে ।এর বেশি না । বেচারা অসহায় কিন্তু ভাল লোক । আমাদেরকে এই ফ্ল্যাটে থাকতে দিচ্ছে । টাকা দিয়েও হেলপ করতে চায় আমাদের । মাঝে মাঝে এসে তোমার সাথে একটু ক্লোজ হয়ে গল্প টল্প করে যাবে । এ যুগে এরকম মানুষ হয়না । আমার ব্যবসাটা দাঁড়িয়ে গেলেই আমরা এখান থেকে চলে যাব ।

(২)
আমি এবরশন করিয়ে আসলাম । সাত সপ্তহের বাচ্চা । আসলে বাচ্চাটা কার আমি জানিনা । এটা কি জামিলের নাকি সাব্বিরের নাকি প্রণবের ? এর আমি জানিনা । আমি হোস্টেলে থাকবো রেস্টে এই কটা দিন । প্রচন্ড গতিতে ছুটে চলা আমি যেন একটু থেমেছি । হঠাত করে বিশ্রাম পেয়ে আমি ভাববার মত সময় পেয়েছি । আমি আমার বাচ্চা নষ্ট করে এলাম । আহা একটা বাচ্চার জন্য কত স্বপ্ন ছিল । এবরশনের পরে আমি ডিপ্রেশনে ডুবে যাচ্ছি ।
আমি ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম , বাচ্চাটা ছেলে না মেয়ে বুঝা যাচ্ছে ? একটা পিতৃপরিচয়হীন বাচ্চা পৃথিবীতে থাকবেনা এটাই ত বাস্তবতা । কিন্তু বাচ্চাটাত আমার ও ছিল । জামিল কি বাচ্চাটার দায়িত্ব নিয়ে আমার পাশে থাকতে পারতোনা ?

সে বলেছে , পাখি আমাদের টাকার দরকার । প্রেগনেন্ট মহিলার সংগে কি কেউ সময় কাটাবে বল ? প্রমিস , আমরা আরেকটু গুছিয়ে নিয়েই নিজেদের বাচ্চা নেব । আই লাভ ইউ জান ।

আমার রুমমেটের টেবিলে পুরাতন খবরের কাগজ ।আমি চমকেউঠলাম , কলেজ ভার্সিটির মেয়েরা যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে । আচ্ছা আমার নাম নাই তো আবার ? আমি আর জামিল এই ব্যবসাই তো করছি এখন , একথা ভেবে আমি লজ্জায় ডুবে গেলাম ।

আমি পিছন ফিরে তাকাতেও ভয় পাচ্ছি । আমি আসলে কোথায় ? মানব সমাজের কোন স্তরে আমি এখন বাস করছি । আমার গর্বিত পদচারণা আমার স্কুলে । আমার প্রধান শিক্ষক , যিনি মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেছিলেন , আমি গ্রামের নাম উজ্জ্বল করবো । আমার বাবা , মা কোথায় ?আজ আমার নিজের কোন আত্মবিশ্বাস নাই । আমি হেরে যাওয়া কলের পুতুল । আমি হারিয়ে ফেলছি নিজের আত্মসম্মান । সোজা কথায় বলতে গেলে আমি ত এক প্রস্টিটিউট হয়ে গেছি । ও আল্লাহ !! আমি কি করব ? সুইসাইড ? নাকি আরেকবার বাচার চেষ্টা করবো । আমি আব্বুকে ফোন করবো আব্বুকে কি বলব ঠিক করে ফেলেছি ।

আব্বু , আমার এক্সাম শেষ । তুমি আমাকে বাড়ি নিয়ে চল । এই ইট কাঠ পাথরের শহর আমার ভাল লাগছেনা । আমার দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । আমি কি মরার আগে আরেকবার বেঁচে উঠার চেষ্টা করা উচিত তো আমার । আব্বু , আমার জীবণ চলার পথে পা পিছলে গেছি । আমি তলিয়ে যাচ্ছি চোরাবালিতে ।

আব্বুকে সবকিছু গুছিয়ে বলেছিলাম , নাকি কি বলেছিলাম আজ আমার ঠিক মনে নেই ।নাহ , সব বলতে পারিনি । আমি আব্বুকে কষ্ট দিতে পারিনি । আর আব্বুর চোখে আমার জন্য করুণা তাও দেখার মত শক্তি আমার নাই ।


আমি যা কিছু পছন্দ করতাম না , তা কিভাবে করে ফেললাম । ঝড়ের মত যে এফেয়ার এ আমি জড়িয়েছিলাম তা ঝড়ের মতই মন থেকে শরীর থেকে হারিয়ে গেল কিন্তু আমার সবই তো হারিয়ে গেল । এখন আমি নিজের কাছেই এক অচেনা আমি , কিভাবে আমার সব কিছু আমি হারিয়েছি ।

রায়হান , আমি জানি এর পর তুমি আর আমাকে ভালবাসবেনা , আবার ঘৃণাও করতে পারবেনা । ভালবাসা আর ঘৃনা করূণা দিয়ে রিপ্লেস হয়ে যাবে । তুমি আমাকে করুণা করবে । তবু ও তুমি জানবেনা আমি তোমাকে একা একা এক তরফা ভালবাসার হাত থেকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছি । তুমি আমাকে করুণা করলে , আবার ও সেই আমি না তুমিই বেঁচে যাবে । কারণ এক তরফা ভালবাসা আর মরে যাওয়া সেই একই ।

তবুও জানো ,মাঝে মাঝে কি ইচ্ছে করে ? মাঝে মাঝে স্বপ্নে বসবাস করতে ইচ্ছে করে অথবা এই নীল আকাশ টার থোকা থোকা মেঘে !!! হয়না , কে যেন সাথে সাথে মনে করিয়ে দেয় সবাই কে সব কিছু মানায় না ।
আমি জানিনা , আমি প্রায়শ্চিত্ব কি পৃথিবীতেই শেষ হবে ? রক্তে এইডস ধরা পড়েছে আমার ।










সমাপ্ত








উতসর্গ -
ব্লগের অন্যতম সুন্দর মনের মানুষ
ব্লগার সায়েদা সোহেলী আপুকে


সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩২
১৩টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×