প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তার চেলে সজিব ওয়াজেদ জয় নিজে এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন,যুক্তরাষ্ট্রে জয়কে হত্যা ও অপহরন করার ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।যার বিচার ওই দেশের আদালতে হয়েছিলো এবং সিজার নামে এক ব্যক্তির সাজা হয়েছিলো।এর সাথে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান জড়িত আছে।
কিন্তু ওই রায়ের কপি যা ওয়েবসাইটে আছে,তা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়,এটা হত্যা ও ষড়যন্ত্র নয়,তথ্য ঘুষ দিয়ে নেয়ার অভিযোগে সাজা হয়েছে।এই কথাগুলোই বিবেকবান মানুষেরা বলার চেষ্টা করছিলো।কিন্তু এক শ্রেনীর সাংবাদিক এবং টকশোওয়ালাদের হাম্বার মত ডাকে হারিয়ে যায়।
অতপর গতকাল রাতে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা ও তার চেলে সজিব ওয়াজেদ জয় নিজের ফেসবুকে স্বীকার করে নিলেন,তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে শাস্তি হয়েছিলো,হত্যা ও ষড়যন্ত্রের কারনে নয়।এখন আমরা জানতে চাই,কি ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে চেয়েছিলেন সিজার।
নি চে তার ষ্টাটাস দেয়া হলো।
বিএনপি এবং আমাদের “সুশীল সমাজ” এর একটি অংশ শফিক রেহমানের সাফাই গাইতে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই, আমি এ বিষয়ে কিছু নিরেট বাস্তবতা তুলে ধরছি:
যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রেকর্ড অনুযায়ী, অভিযুক্ত এফবিআই এজেন্ট রবার্ট লাস্টিক টেক্সট ম্যাসেজে লিখেছে যে রিজভী আহমেদ সিজার আমাকে 'অফ' করতে চায়। মেরে ফেলার অর্থে স্ল্যাং হিসাবে আমেরিকায় এই শব্দটা ব্যবহার করা হয়। তাই, আহমেদ তার ষড়যন্ত্রের সহযোগীকে বলেছে, সে আমাকে হত্যা করতে চায়, আর সেটা সে গ্রেফতার হওয়ার অনেক আগেই।
গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে জেরার দায়িত্বে থাকা এজেন্টদেরও সে একই কথা জানিয়েছে। ট্রায়ালের মাধ্যমে আহমেদ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। সে অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে দোষী বলে নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে, যা গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে অপরাধীরা মামলা হেরে যাওয়া ও দীর্ঘ কারাবাস এড়াতে করে থাকে। হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার দীর্ঘ সময় জেল খাটার সম্ভাবনা থাকলেও সেই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সে কারাবাসের মেয়াদ কমিয়েছে।
লাস্টিকের সঙ্গে শফিক রেহমানের সরাসরি যোগাযোগ ছিলো। যদি তথ্য যোগাড় করার জন্য কোনো সাংবাদিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নেয়, সেক্ষেত্রে সেটা অপরাধ। এটা যুক্তরাষ্ট্রে ফৌজদারি অপরাধ তাই যুক্তরাষ্ট্রেও শফিক রেহমানের বিচার হতে পারে।
সবশেষে জানাতে চাই, শফিক রেহমান মার্কিন নাগরিক না হয়েও ঘুষের মাধ্যমে এফবিআই এর গোপন নথি কিনেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে এটা গুপ্তচরবৃত্তি এবং এর শাস্তি কোনো দুর্ভেদ্য যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলে আজীবন কারাবাস
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১