somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদায় অভিজিত রায়...

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চলোনা একটু চা খাই ৷ কতদিন টং দোকানের চা খাই না ৷

না না, আমার ভয় করে ৷ দেশের যে অবস্থা, এমনিতেই আমরা অনেক বেশি দু:সাহস দেখাচ্ছি ৷ এত রিস্ক নেয়া ঠিক হবে না ৷

ধুর, তুমি একটা ভীতুর ডিম ৷ অন্ধকার হয়ে গেছে, কে আমাদের খেয়াল করবে এত ভিড়ের মধ্যে ? তাছাড়া, চারপাশে দেখছ না কত পুলিশ... কিচ্ছু হবে না ৷ চলো তো...
আচ্ছা বাবা.... চলো....

এ দেশটাকে নিয়ে আমি খুব আশাবাদী ৷ যদিও এদেশের সমাজ- রাজনীতি এখনো ধর্মান্ধদের নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু একটা শ্রেণী, একটা জেনারেসন কিন্তু গড়ে উঠছে ঠিকই ৷ এরাই দেখবে একদিন সমাজটাকে বদলে দেবে ৷

কি জানি, হবে হয়ত....! কিন্তু ততো দিনে আরো কত মূল্য দিতে হবে কে জানে !

হঠাৎ মাথায় কিসের যেন আঘাত অনুভব করলো অভিজিত ৷ পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখে ২৫-২৬ বছরের দুই তরুণ কি দিয়ে যেন আঘাত করছে ৷ আত্মরক্ষার জন্য অভিজিত হাত বাড়ালো, কিন্তু লাভ হলো না ৷ ওরা আঘাত করেই যাচ্ছে ৷ মনে পড়ে গেল হুমায়ুন আজাদ স্যারের কথা ৷ আমারো তাহলে একই পরিনতি হচ্ছে ? একটা প্রশান্তি এসে বুকটা ভরে উঠলো অভিজিতের... তার মানে সমাজটা একদিন ঠিকই বদলাবে ৷ পরিবর্তনের হওয়া বইতে শুরু করেছে, এজন্যই ওরা আজ এত ভীত ৷
বন্যা ওদেরকে থামানোর চেষ্টা করছে ৷ অভিজিতের খুব বলতে ইচ্ছা করছে, বন্যা পালাও ৷ তোমাকে পাশে নিয়ে আরেকটা সূর্যোদয় দেখা হবে না, কিন্তু প্রতিটা সূর্যোদয়ে আমি তোমার পাশে থাকব ৷ ভোরের প্রথম আলো হয়ে তোমাকে স্পর্শ করব ৷ সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসছে ৷ শেষবারের মতো প্রিয় মাতৃভূমির বাতাসে বুকটা ভরে নেয়ার চেষ্টা করলো অভিজিত ৷ তারপর শুধুই নিস্তব্ধতা...

অভিজিত স্যারের শেষ সময়টা কি এরকম ছিল? কি ভাবছিলেন তিনি মৃত্যুর কলে ঢোলে পরার আগে! কি আর আসে যায় তাতে! সবইতো শেষ...! খুব ইচ্ছা ছিল একদিন অভিজিত স্যারের সাথে দেখা করব, কিছু সময় কাটাব, কিছু গল্প করব I কিন্তু হলো না !

অভিজিত স্যার, আমি জানিনা কতটা অভিমান আর হতাশা নিয়ে আপনি চলে গেছেন, কিন্তু আপনি আমাকে খুবই হতাশ এবং বঞ্চিত করলেন ৷ শুধু আমাকে বঞ্চিত করলেন বললে ভুল হবে ৷ আগামী অন্তত ১০০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে বাংলাভাষী অনেক মানুষই বঞ্চিত হবে ৷ এই ক্ষতি অপূরণীয় ৷ আপনি কেন গেলেন বই মেলায় ! যাবেনই যখন, প্রতিদিন যাওয়া লাগে...! একটু সতর্ক হলে কি এমন ক্ষতি হতো...!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার শিশুদের উদ্দেশ্যে - আমরা তোমাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


তোমরা এসেছিলে মাথার উপর বোমা পড়ার ভয়ার্ত গল্প নিয়ে। যে বোমা তোমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, লোকালয় ধ্বংস করেছে। আমরা কান বন্ধ করে উদাসীন হয়ে বসে ছিলাম। তোমরা এসেছিলে ছররা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবিতে গণতন্ত্রের নামে মবতন্ত্র

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০



তথাকথিত গণতন্ত্রকামীদের পীর আল্লামা পিনাকী এবং ছোট হুজুর ইলিয়াস মোল্লার উস্কানীতে দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মবতন্ত্র। আল্লামা পিংকুর যুক্তি হচ্ছে- যে বা যারাই তাদের (গণতন্ত্রকামীদের) সূরে কথা না... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×