ভাষার মাসে ভাষার প্রিয়তম সন্তান চলে গেলো, কিন্তু কবিকে নেয়া হয়নি শহীদ মিনারে কবির শেষ ইচ্ছে ছিলো তাঁকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করবে, সেখানে না দিলে তাঁকে শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে দাফন করতে কিন্তু কবির ও তাঁর পরিবারের ইচ্ছে পূরণ করেনি দখলদার শ্রেণি।
কারণ কবি তাদের অন্যায় অবিচার ও জুলুমবাজী দেখার পরও অন্যদের মতো সেই শ্রেণির গোলামী করেনি, কবি ছিলেন স্বাধীন স্বতন্ত্র নীরব কলম সৈনিক, তিনি একের পর এক মহাকাব্য রচনা করে গেছেন, যুগ যুগ ধরে কবির কাব্যে তিনি বেঁচে থাকবেন অগণিত সাহিত্যপ্রেমিদের হৃদয়ে।
আজ কবির প্রতি যা হলো, এটাই স্বাভাবিক, দেশে কোন গণমানুষের সরকার নেই, এখানে প্রকৃত কোনো গুণি সম্মান পাবে তা আশাকরা বোকামী।
এই কবি তাদের ছামছামি করেনি তাই বলে কবিকে তাঁরা কতো রকম অপবাদ দিয়েছে, যা করেছিলো ব্রিটিশ শাসক আমাদের জাতীয় কবির কাজী নজরুলের প্রতি । তাতে বিদ্রোহী কবির কোন অসম্মান হয়নি, বরং যারা ক্ষমতার লোভে কলমকে সম্মান করতে পারে না, তারা জ্ঞানপাপী অন্ধ। এই কবি পেয়েছেন জাতীয় একাডেমী পুরস্কার, একুশে পদক সহ শতাধিক পুরস্কার । তারপরও তার মৃত্যুতে রাষ্ট্র দখলকারীরা কোন প্রকার কোন শোক প্রকাশ করেছে কেউ দেখেছেন কি ?
এমন অসভ্যতা পৃথিবীর কোথায় পাবেন না। এই দেশে পাবেন, তাদের বিপক্ষে গেলে ফেরেস্তাও খারাপ হয়ে যায় ! তা বহুবার দেখিছি, মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানিয়ে দিতে পারে বিপক্ষে গেলে আর পক্ষে থাকলে কুখ্যাত রাজাকারও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হয়ে যায় এসব নতুন নয় ।
আজ নিখিল বাংলা শোক করুক। ভাষার প্রিয়তম সন্তানের জন্য, কবিতার সন্তপুরুষের জন্য শোক করুক।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১১