imdb rating: 8.2; Rotten tomato rating: 91%
যদিও এটি সর্বশেষ দেখা মুভী তারপরও এটি নিয়েই লিখতে ইচ্ছে করছে সবার আগে। সত্যি বলতে কি আমার এই পোষ্ট লিখার মুল উদ্দেশ্য হিন্দি এই সিনেমাটির ব্যাপারে কিছু বলা। নতুন পরিচালক নীরাজ পান্ডের পরিচালিত (তার প্রথম পরিচালিত এবং ষ্টোরি রাইটারও তিনিই) এই মুভী টি অনেকদিন আগে কোন এক টেলিভিশন চ্যানেলে প্রথম ৫-১০ মিনিট দেখেছিলাম। কিন্তু হিন্দি মুভীর ব্যাপারে আগ্রহ কম বলে আর এগুইনি। গত ৬-৭ মাস আগে সামুর ই কোন এক ব্লগারের পোষ্টে জানতে পারি মুভীটি নাকি খুবি সুন্দর। তখন গুগলিং করে জানতে পারলাম এটি ভারতের জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কারে নমিনেশন পাওয়া এবং সেরা পরিচালক পুরষ্কার জেতা মুভী। বেশ আগ্রহের সাথে ডাউনলোড করি, কিন্তু আবারো, সেই হিন্দি সিনেমা বলেই পরে থাকে হার্ডডিস্কে। অবশেষে হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করার নিমিত্তে দেখতে থাকি জমে থাকা অনেক মুভী। এরমধ্যে গতকাল দেখি নাসির উদ্দিন শাহ্, অনুপম ক্ষের, জিমি শেরগিল অভিনীত ব্যাবসায়িক ভাবে মোটামুটি সফল, অত্যন্ত লো-বাজেটের এই ছবিটি। ১ ঘন্টা ৪৩ মিনিটের, নাচ-গান-প্রেম-ভালোবাসা বিহীন হিন্দি ছবিটি আমাকে পুরোটা সময় জমিয়ে রাখে এর অসাধারন সুন্দর গল্প, প্রাণবন্ত অভিনয়, নিজের মনের মধ্যে জমে থাকা ডায়লগ আর দারুন সব টুইষ্ট। এমনিতেই ড্রামা, মিষ্টিরি, থ্রিলার, ক্রাইম সিনেমাগুলো আমাকে বরাবরি টানে তার উপর যদি থাকে ব্যাপক কোন থিম তাহলে তো কোন কথাই নেই।
ছবির শুরু হয় নাম না জানা খুবি সাধারন গোছের এক ব্যাক্তিকে দেখিয়ে যে কোন এক বুধবার মুম্বাই শহরের এক পুলিশ ষ্টেশনে জিডি লিখানোর নাম করে টয়লেটে রেখে আসে বোমা। এরপর সে নির্মানাধীন একটি বিল্ডিং এর ছাদে গিয়ে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত মোবাইল (যাতে তার লোকেশন ট্রেস করা কঠিন হয়) থেকে কল করেন পুলিশ কমিশনার কে। ফোনে তাকে জানানো হয় যে মুম্বাই এর পাঁচটি ভিন্ন জায়গায় সে বোমা রেখেছে যা আজ বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে ফেটে যাবে এবং হতাহত হবে অগুনিত মানুষ, তবে তার দাবী মেনে নিলে সে বোমা গুলোর লোকেশন বলে দিবে। তার দাবী নির্দিষ্ট ৪ জন মৌলবাদী সন্ত্রাসীকে তার হাতে ছেড়ে দিতে হবে যারা আল-কায়েদা এবং লষ্কর এর সাথে জড়িত। পুলিশ কমিশনার প্রথমে তার কথাকে খুব একটা পাত্তা দেয়না কিন্তু তার কথা মতো পুলিশ ষ্টেশনে রাখা বোমার খোজ পেলে সবার টনক নড়ে। সি.এম, গোয়েন্দা বাহিনী সহ পুরা পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বিপদে পরে যায়, হাজার হাজার মানুষের জীবন বাঁচাবে নাকি চার সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিবে। জমতে থাকে কাহিনী।
অসধারন টুইষ্ট, দারুন ফিনিশিং আর ডায়লগ মাতিয়ে রাখবে পুরোটা সময়। ভালো লাগবে এই গ্যারেন্টি দিতে পারি। উল্লেখ্য এই সিনেমার কাহিনীর উপর ভিত্তি করে এ বছর আসছে অস্কার জয়ী অভিনেতা বেন কিংসলে অভিনীত A Common Man.
আমার রেটিং : ৭.৫/১০
আই,এম,ডি,বি লিঙ্ক
ট্রেলারঃ
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ সিড, লিচের অবস্থা ভালো থাকতে থাকতে ডাউনলোড করে নিন ৫৫১ মেগাবাইটের টরেন্টটি।
২. Timecrimes (Los Cronocrimenes) [2007]
imdb rating: 7.2; Rotten tomato rating: 87%
মাত্র ৮৮ মিনিটের এই লো-বাজেটের, সাইন্স ফিকশান/থ্রিলার/মিষ্ট্রি ঘরানার স্পেনিশ মুভিটি আমার বেশ উপভোগ্য লেগেছে। জাফর ইকবাল স্যারের ফিকশান ফ্যানরা এই মুভী দেখে বেশি মজা পাবে।
ঘটনার শুরু হেক্টর নামের এক মধ্যবয়সী লোক যে তার স্ত্রী সহ স্পেনের কোন এক গ্রামের বাসায় নতুন উঠে। বিকেল বেলা সে উঠানে বসে বাইনোকুলার দিয়ে কাছেই এক জঙ্গলের দিকে তাকায় এবং লক্ষ্য করে সেখানে এক তরুনী তার পরনে কাপড় খুলে উলঙ্গ হচ্ছে। তখনই তার স্ত্রী কিছু কেনাকাটার জন্য শহরের দিকে গেলে হেক্টর আগ্রহী হয়ে সেই জঙ্গলের দিকে যায় ব্যাপারটি বুঝতে। জঙ্গলে গিয়ে সে আবিষ্কার করে মেয়েটি পুরো উলঙ্গ অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। এমন সময় হঠাৎ পিঙ্ক কালারের বেন্ডেজে সারা মুখ ঢাকা এক লোক তার উপর আক্রমন করে। এতে সে আহত হয়ে এদিক সেদিক ছুটতে ছুটতে একটি বাসার ভিতরে ঢুকে। সেখানে সে একটি ওয়াকিটকি পায় এবং অন্য আরেক লোকের সাথে যোগাযোগ করে। ওই লোক বলে যে মুখে ব্যান্ডেজ লাগানো লোকটি ওইদিকেই আসছে, তার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে এক্ষনি আরেক বিল্ডিং এ চলে যেতে বলে যেখানে সে নিজেই আছে। সেখানে গেলে ওই লোক (যিনি একজন বিজ্ঞানী) তাকে একটি যন্ত্রের ভিতরে লুকাতে বলে। হেক্টর তার কথা মতো সেখানে লুকায়। যন্ত্রের ভেতর থেকে যখন সে বের হয় তখন আবিষ্কার করে যে সে কিছু সময় (প্রায় ১ ঘন্টা) অতীতে চলে গেছে। সে বাইনোকুলার দিয়ে তার বাসার দিকে চোখ রাখলে দেখতে পায় সে নিজেই অর্থাৎ আরেক হেক্টর সেখানে ঠিক একি কাজ করছে যা সে নিজেই করে এসেছে কিছুক্ষন আগে !!!! জমতে থাকে ব্যাপক এক ঘটনা ! পরে যায় এক ভয়ঙ্কর সময়ের লুপের মধ্যে। শেষ না দেখে উঠতে পারলে কে,এফ,সি তে চিকেন ফ্রাই খাওয়াবো......!
আমার রেটিং : ৭.৫/১০
আই,এম,ডি,বি লিঙ্ক
ট্রেলারঃ
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ সিড, লিচের অবস্থা ভালো থাকতে থাকতে ডাউনলোড করে নিন ৭৮৮ মেগাবাইটের টরেন্টটি।
৩. Chronicle [2012] :
imdb rating: 7.2; Rotten tomato rating: 85%
সাইন্সফিকশন/ সুপার পাওয়ার ঘরানার এই মুভীটি মজা লেগেছে মূলত হঠাৎ করে পাওয়া সুপার পাওয়ার নিয়ে তিন জন তরুন বয়সী ছেলের কর্মকান্ড যা অন্যান্য সুপার পাওয়ার ছবির চেয়ে অনেকটা ব্যাতিক্রম।
সিয়াটল শহরের এক তরুন, এন্ড্রু ডেটমার, যে খুবি অজনপ্রীয় ও দূর্বল, একটি ভিডিও ক্যামেরা কিনে সবকিছু টেপিং করা শুরু করে। একদিন তার এক কাজিন, ম্যাট, তাকে একটি পার্টিতে নিয়ে যায়। ওখানে ম্যাটের আরেক বন্ধু ষ্টিভ তাকে একটি অদ্ভুত জিনিস টেপ করতে একটি গর্তের ভিতরে নিয়ে যায় যেখানে গিয়ে তারা তিনজনই এক অদ্ভুত ক্ষমতা অর্জন করে। এমনি এক ক্ষমতা যা দিয়ে আসলে তারা সব কিছুই করতে পারে। তারা ধীরে ধীরে আবিষ্কার করতে থাকে একের পর এক ক্ষমতা এবং তারা খেলার মতো করে ক্ষমতা গুলোকে আয়ত্তে আনতে থাকে এবং নিজেদের মধ্যেই গোপন রাখে। একদিন দুষ্টামি করতে করতে হঠাৎ এন্ড্রু একটি গাড়িকে চলন্ত অবস্থায় পাশের জলাশয়ে ফেলে দেয় যার ভিতরে থাকা চালক প্রায় মরতে বসে। এমতাবস্থায় ম্যাট বাকি ২ জনকে সাবধান করে দেয় এবং কিছু রুল তৈরি করে। কিন্তু মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন এন্ড্রু এসব রুল মানতে নারায। আচমকা একদিন সে তার মৃত্যু পথযাত্রী মায়ের ওষুধের জন্য টাকা যোগার করতে নেমে পরে রাস্তায় আর ঘটাতে থাকে অস্বাভাবিক কর্মকান্ড।
মোটামুটি ভালোই লাগবে বলে আশা করি।
আমার রেটিং : ৬.৫/১০
আই,এম,ডি,বি লিঙ্ক
ট্রেলারঃ
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ
সাইজ ৭০০ মেগাবাইট।
৪. Man on a Ledge [2012]
imdb rating: 6.6; Rotten tomato rating: 32%
আকর্ষনীয় ট্রেলার আর কাষ্ট-ক্রিউ দের লিষ্ট দেখে মুভীটি দেখার আগ্রহ জমেছিলো চরম তবে আই,এম,ডি,বি আর রোটেন টমেটোর রেটিং দেখে হতাশ হয়েছিলাম। তবুও স্যাম ওয়ারদিংটন, এলিজাবেথ ব্যাঙ্কস, এন্থনি মেকি আর এড হেরিসদের অভিনয় কি মিস করা যায় !
নিক ক্যাসিডি নামক এক ব্যাক্তি জেল থেকে পালিয়ে এসে ছদ্মনামে হোটেল রুজভেল্ট এর ২১ তলায় একটি রুমে এসে উঠে। এরপর সে ওই রুমের জানালা দিয়ে বাইরের রেলিং এ এসে দাঁড়ায়। রাস্তা থেকে লোকজন ওই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে যায়। নিক ভান করতে থাকে যে সে ওখান থেকে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করবে। এ সময় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার তার সাথে কথা বলতে গেলে সে জানিয়ে দেয় সে শুধুমাত্র ইন্সপেক্টর লিডিয়া মারসার এর সাথে কথা বলবে। লিডিয়া এসে তার সাথে কথা বলে এবং সিগারেট খাওয়ানোর নাম করে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে। ইনফরমেশনে জানা যায় নিক একজন পূলিশ অফিসার ছিলেন। ডেভিড ইংল্যান্ডার নামক এক ধনকুবেরের ৪০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের একটি হীরা চুরির দায়ে সে জেলে যায়। এখন নিক তাকে নির্দোষ দাবি করছে। এদিকে এই ঘটনার পিছনে ঘটে যাচ্ছে আরেকটি ঘটনা। খুব আহামরি না হলেও টাইম-পাস মুভী হিসাবে খারাপ না।
আমার রেটিং : ৬/১০
আই,এম,ডি,বি লিঙ্ক
ট্রেলারঃ
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ সাইজ ৭০৪ মেগাবাইট।
৫. The Debt [2011]
imdb rating: 6.9; Rotten tomato rating: 76%
মূল ঘটনা ফ্ল্যাশ বেকে ঘটে। ১৯৬৫ সালে মোসাদ এজেন্ট রেচেল সিঙ্গার রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ইষ্ট-বার্লিণে যায়। সেখানে মিলিত হয় আরো ২ জন এজেন্ট ডেভিড পেরেয এবং ষ্টিফেন গোল্ড এর সাথে। তাদের মিশন সেখানে উপস্থিত নাৎসি ক্রিমিনাল সার্জন দিয়েটার ভোগ্ল কে ধরা যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অনেক ইহুদীদের উপর ভয়ঙ্কর মেডিকেল এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিলো ভোগ্ল কে ধরে ইসরায়েলে নিয়ে বিচারের মুখোমুখি করা। রেচেল এবং পেরেয নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়। পেরেয রুগী হিসেবে ওই ডঃ ভোগ্লের কাছে চিকিৎসা নিতে যায়। এভাবে একদিন পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণ করে তাদের টার্গেট কে। কিন্তু বন্দীকে হস্তান্তর করতে গিয়ে বিপদ হয় এবং ব্যার্থ হয়। পরবর্তি পরিকল্পনা এবং হায়ার অথরিটির নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। কিন্তু সে দিন আর আসেনা। এ নিয়ে বিপদ বাড়তে থাকে আর জমে উঠে কাহিনী। শেষ পর্যন্ত ওরা বিরাট এক ভূল করে বসে !
এটিও খুব আহামরি না হলেও টাইম-পাস মুভী হিসাবে উপভোগ্য।
আমার রেটিং : ৬/১০
আই,এম,ডি,বি লিঙ্ক
ট্রেলারঃ
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ সাইজ ৭০০ মেগাবাইট।
৬. Unbreakable [2000]
imdb rating: 7.2; Rotten tomato rating: 68%
ব্রুস উইলিস, স্যামুয়েল এল জ্যাকসন অভিনীত এই সুপার হিরো/ফ্যান্টাসি/থ্রিলার মুভীটিকে আপনি কখনই গতানুগতিক সুপার হিরো মুভীর সাথে মিলাতে পারবেন না। বেশ পুরোনো এই মুভীটি অনেকদিন পরে ছিলো হার্ড-ডিস্কে। অবশেষে দেখা হল ইন্টারেষ্টিং টাইপ সুপার হিরো মুভী। মূল আকর্ষন হল এর পরিচালক হচ্ছেন The sixth Sense খ্যাত পরিচালক M. Night Shyamalan।
মূল কাহিনী শুরু হয় নিউইয়র্ক থেকে জব ইন্টারভিউ দিয়ে বাড়ির পথে ফেরা সিকিউরিটি গার্ড ডেভিড ডান কে দিয়ে। সে যেই ট্রেনে করে ফিরছিলো তা এক ভয়ানক এক্সিডেন্টের সম্মুখীন হয়। এতে মারা যায় সব যাত্রী। কেবল মাত্র বেচে থাকে ডেভিড ডান। শুধু তাই না তার শরীরে এতটুকু ক্ষতিও হয়নি। এই ঘটনার কিছুদিন পর সে একটি চিরকুট পায় যেখানে জানতে চাওয়া হয় শেষ কবে সে অসুস্থ হয়েছিলো। ডেভিড অনেক চেষ্টা করেও মনে করতে পারেনা কবে সে অসুস্থ হয়েছিলো। তার অফিসেও সে খোজ নিয়ে দেখে সে কখনোই অসুস্থতার জন্য ছুটি নেয়নি। এরপর সে চিরকুট পাঠানো ব্যাক্তির সাথে দেখা করতে যায় এবং জানতে পারে ওই ব্যাক্তি এক ধরনের বিশেষ ধরনের রোগে আক্রান্ত যার ফলে তার হাড় খুব সহজেই ভেঙ্গে যায়। এজন্য ওই লোকের ধারনা নিশ্চয়ই পৃথিবীতে এমনো ব্যাক্তি আছে যে তার ঠিক বিপরীত ধর্মী অর্থাৎ যার হাড় সহজে ভাঙবেনা। তার ধারনা ডেভিড সেই রকম ক্ষমতাধর ব্যাক্তি। ডেভিড কিছুতেই তা বিশ্বাস করে না। কিন্তু কিছু ঘটনার মাধ্যমে ডেভিড তা আবিষ্কার করতে থাকে।
আমার রেটিং : ৬.৫/১০
আই,এম,ডি,বি লিঙ্ক
ট্রেলারঃ
টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্কঃ সাইজ ৮১০ মেগাবাইট।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১২ রাত ৯:৪৯