কুমিল্লায় বিজিবি সদস্যকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার তারাপুকুর সীমান্তে পতাকা বৈঠক চলছে।
স্থানীয়রা বলছে, ভারতীয় চোরাকারবারি শাহ আলম মাদকসহ অন্যান্য চোরাইপণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় বিজিবির ৩ সদস্য তাকে আটক করে। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ভারতীয় অপর চোরাকারবারিরা দা, ছেনি নিয়ে বিজিবি সদস্যদের ঘেরাও করে।
এ সময় বিজিবির ২ সদস্য পালিয়ে আসেন। অপর সদস্য হাবিলদার লূৎফুর রহমান ভারতীয় চোরাকারবারি শাহ আলমের ওপর গুলি করলে তিনি নিহত হন। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাবিলদার লূৎফুর রহমানকে আটক করে ভারতে নিয়ে যায় বিএসএফ।
বাংলাদেশের কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার দলকুইয়া এবং ভারতের ত্রিপুরার তারাপুকুর সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
বিএসএফ-এর বাড়াবাড়ি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছে। বাংলাদেশী কেউ সীমান্ত মাড়ালেই যা খুশি তাই করবে। আর তাদের চোরাকারবারী ধরা খেলেই পতাকা বৈঠক। হাবিলদার লূৎফরের কিছু হলেই এবার যুদ্ধ হবে।
বিজিবি সদস্যদের মোটেই কাপুরুষ মনে করি না। দুই সদস্য পালিয়ে আসার কারণ এখনও জানা যায়নি। সরকারের কাছে তীব্র দাবি জানাচ্ছি যেন বিজিবিকে অক্ষম পঙ্গু করে সীমান্তে বসিয়ে রাখা না হয়। বিএসএফ-এর বর্বরতা যে পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে, সেখানে বিজিবিকে আরো শক্তিশালী করা দরকার। বিশেষ করে বিডিআর বিদ্রোহের পর বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবিকে যেভাবে অস্ত্রশূণ্য রাখা হয়েছিল, সে অবস্থার এখনও ইতি ঘটেনি। সরকারকে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০০