somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামের লেবাসধারী জামায়াত নেতাদের ব্লাসফেমীর অভিযোগে গ্রেফতার : লীগের সেকুলার লেবাস হারাতে হারাতে নেংটিও খুলতে বসেছে

৩০ শে জুন, ২০১০ রাত ১:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যে ভাবে এলো গ্রেফতারি পরওয়ানা ও যেভাবে জামায়াত নেতারা গ্রেফতার হলো :

> আবেদনকারী এদের বিরুদ্ধে ব্লাসফেমির অভিযোগ দায়ের করছে। >আঠাশে এপ্রিল হাজিরার দিন ছিল, তারা হাজির হয় নাই।
>মামলাকারি ফলে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারির আবেদন করেছিল। >আদালত সেই আবেদন নাকচ কইরা অভিযুক্তদের আবার সমন দিছে।
>সেই সমনের হাজিরার দিনে, মানে আজকেও এরা হাজির হয় নাই।
>ফলে আবেদনকারির আবেদন গ্রহন করে আদালত গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করছে।
>আদালতের একনিষ্ঠ বাধ্যগত বাংলাদেশ পুলিশ এদের গ্রেফতার করছে।
>গ্রেফতার করা হইছে ব্লাসফেমির মামলায় ।

----------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি টিকে থাকে জামায়াতের (বিক্রিযোগ্য মাল হইলো: স্বাধীনতা বিরোধি শক্তি, ধর্মান্ধতা, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ) 'বিরোধিতা' করে আর জামায়াতের রজানীতি টিকে থাকে আওয়ামী লীগের (বিক্রিযোগ্য মাল হইলো: ধর্মহীনতা, ভারতজুজু, সাম্রাজ্যবাদের দালারী, বাকশাল) 'বিরোধিতা' কইরা। লীগ আর জামায়াত দুই হরিহর আত্মা দোস্ত। দুইটার একটার নিজের কোনো রাজনীতি মানে দেশের জন্য রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক কর্মসূচী নাই। >>> এসবই জানি। কিন্তু তারপরও এইটা লিখতাছি। কেন ? কারন কেউ কেউ এই সাম্প্রতিক গ্রেফতার প্রসঙ্গে এই দুই দোস্ত দলের একটার মানে লীগের সাফাই গাইতে, মুখরক্ষার নামছেন।

----------------------------------------------------------------------

ফলে বিষয়টা পরিস্কার করা দরকার :

'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করনেওয়ালা সরকার' হচ্ছে 'সেকুলার' আওয়ামী লীগ : এই 'অপবাদ' থেইকা যারা আওয়ামীলীগের বাঁচাইতে আগ্রহী তারা বলতেছেন; জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করা হইছে 'আদালত অবমাননা'র কারনে। এই বক্তব্য একশত ভাগ মিথ্যা। জামায়াত নেতাদের গ্রেফতার করা হইছে ব্লাসফেমী'র মানে 'ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত' দেয়ার অভিযোগে।

মামলার কোশ্চেন অফ ফ্যাক্টস হইলো : আবেদনকারীও আদালত অবমাননার অভিযোগ করে নাই। আর আদালতও নিজে থেকে মানে সুয়োমটো মানে স্বতপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে পরে সেই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে নাই।

তাছাড়া: বিশ্বজনীন আইনের দর্শন হইলো: আদালতে হাজির না হইলেই সেটা 'আদালত অবমাননা' হয় না, যদি না আদালত 'আদালত অবমাননা' বলে ধার্য করেন।

সবচেয়ে বড়ো কথা : যেই আদালত গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করছেন, সেই আদালতের কোনো এখতিয়ারই নাই আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার। বাংলাদেশের দুর্ভাগা বিচার ব্যবস্থার ভাগ্য এক্ষেত্রে ভালো যে আদালত সে বিষয়ে সচেতন ছিলেন। তারাও সেই অভিযোগ আনেন নাই।
কারন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ি: অ্যাসিস্ট্যান্ট জাজ আাদলত, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা চিফ মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিরুদ্ধে কখনো 'আদালত অবমাননা' বা 'কনটেম্পট অফ কোর্ট' হয় না।
-----------------------------------------------------------------------

(মানে হলো কেউ যদি বলে, এরা 'আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেফতার' হইছে সেইটা যে পুরা মিছা। বলা যায় বড়জোর 'আদালতে উপস্থিত না থাকার কারনে গ্রেফতার' হইছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এর পরই যদি আবার কেউ লেখে 'ব্লাসফেমীর জন্য নয়', তবে তা পাগলের প্রলাপ হবে।

ব্লাসফেমীর মামলায় আদালতে হাজিরার দিনে উপস্থিত না থাকার কারনে পরওয়ানা জারির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার তাও আবার, 'ব্লাসফেমীর জন্য নয়' ! পাগলেও হাসবো এই লাইন পরলে। )

-----------------------------------------------------------------------
ইসলামের নাম করে জামায়াত একাত্তরে যে ভয়াবহ অপরাধে সহযোগিতা করেছে পাকিস্তানি সরকারকে, তখনই জামায়াতের শান্তির ধর্মের লেবাস উদাম হয়ে গেছে। আর স্বাধীনতার পর থেকেই আওয়ামী লীগের সেকুলার লেবাস উদাম হতে হতে এখন নেংটিও হারাতে বসেছে।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার দায়ে গ্রেফতার করে সেকুলার আওয়ামী লীগ ! যেই দল কিনা ইদানিং শেখমুজিব কে খলিফাতুল মুসলিমিন উপাধি দেয়া শুরু করছে।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩১
৪৮টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×