মাঝখানে বেশ কিছুদিনের শান্ত অবস্থার পর আবারো সরগরম বুয়েট। বুয়েটের এই সাম্প্রতিক গরম হাওয়ার মূলে হচ্ছে শিবির-হিযবুত বিরোধী অভিযান। জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে শিবিরের আগাসী ভূমিকার জেরেই মূলত এই ঘটনার শুরু।
মালিবাগ-মৌচাক এলাকায় শিবিরের হয়ে পুলিশের উপর আক্রমণকালে আটক হন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ৩য়বর্ষের ছাত্র শফিকুল ইসলাম। সে সেবা-বুয়েট নামে একটি ক্লাবের সভাপতি, বুয়েট আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং মহানবীর মানহানিকর ভিডিও এর প্রতিবাদে আহবানকৃত মানববন্ধনের আয়োজক ছিল বলে জানা যায়। তার গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, প্রশাসন এবং আইনরক্ষাকারী বাহিনী তার রুমে অভিযান চালাতে যায় এবং বিপুল পরিমাণ তথ্যের সন্ধান পায়। যার সূত্র ধরে এখন আরো অনেকের নামই উঠে আসছে।
অন্যদিকে আহসানউল্লাহ হলের ১০৮ নম্বর কক্ষের আমিন বিন খলিল নামে ৪র্থবর্ষের ছাত্রের রুম থেকে উদ্ধার হয় বিস্ফোরক দ্রব্য, ধারালো অস্ত্র এবং মওদুদী বই সহ নানান সামগ্রী। বিভিন্ন জনের শিবির কানেকশনের হদিসও মেলে উদ্ধারকৃত নোটবুক থেকে।
এই দুইজনের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত তথ্যের ভাণ্ডারে এখন ফেসবুক ব্লগ সয়লাব। অন্যদিকে একে ঘিরেই নতুন করে জেগে উঠেছে বুয়েটের আন্দোলনের নিরপেক্ষতা সংক্রান্ত বিতর্ক। বিতর্কিত ভূমিকার কথা শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার নামেও।
সর্বশেষঃ বুয়েট শিবিরের সভাপতি ও সম্পাদক সহ ৮জন গ্রেফতার।
এমতাবস্থায় কি ভাবছেন সামহোয়ারইনের ব্লগাররা? আপানাদের চিন্তা-ভাবনার কথা শুনতে, আলোচনা করতে এবং ভবিষ্যতকরণীয়ের পরামর্শ পেতেই এই ব্লগ। বলুন আপনার কথা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

