মূলত ব্লগারদের আহবানে আন্দোলনের সূচনা ঘটলেও সময়ের সাথে সাথে এই আন্দোলনের যেমন বিস্তৃতি হয়েছে, তেমনি যোগ হয়েছে নানামতের মানুষ, নানান সংগঠন। এসেছে সাধারণ মানুষের মতামত, দাবি; এসেছে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর মতামত।
কিন্তু আন্দোলনের যতই দিন গড়িয়েছে, ততই এই প্রশ্ন ডানা মেলেছে যে, এই আন্দোলন কারা চালাচ্ছে? মাঠের রাজনীতির অভিজ্ঞতাহীন ব্লগাররা নাকি তাদের আশেপাশে ঘিরে থাকা ছাত্রলীগ আর বামসংগঠনগুলোর নেতারা। মূলত একটি দাবিকে সামনে নিয়ে আন্দোলনের শুরু হলেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দাবির সংযোজন এই প্রশ্নের পালে হাওয়া জুগিয়েছে। স্লোগানমঞ্চ থেকে দু-একটি দলীয় স্লোগানও উচ্চারিত হতে শোনা গেছে সময়ে সময়ে।
আবার একদিকে ক্ষমতাসীনদলের কয়েকজন নেতা সমাবেশস্থলে অপদস্থ হওয়া সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের ব্যাপারে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল আচরণ করেছে মহাজোট সরকার। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সচেষ্ট আছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী।
এমতাবস্থায়, সারা দেশের জনসমর্থন নিয়ে যেই আন্দোলন রূপ নিয়েছে বিশাল এক মহীরূহে, সেই আন্দোলন থেকে একের পর এক নখদন্তহীন আলটিমেটাম আর কর্মসূচি ঘোষণা হতাশ করছে মানুষকে। একদিকে একের পর এক সহযোদ্ধা মারা যাচ্ছে আর অন্যদিকে আন্দোলনের নীতিনির্ধারকেরা আন্দোলন পরিচালনা করছেন নিরাবেগ, নিষ্কম্প সন্ন্যাসীর মত। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, আবেগ থেকেই জন্ম এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের।
এদিকে সম্প্রতি নাস্তিকতার ইস্যুতে প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছে, সমাবেশের আহবানকারী ব্লগারদের উপস্থিতিকেই। সেই সাথে কৃতিত্বদখলের লড়াই তো চলছেই।
সার্বিকভাবে তাই প্রশ্ন উঠছে, শাহবাগের আন্দোলন কাদের - ব্লগার, সাধারণ মানুষ নাকি ছাত্রনেতাদের?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

