সন্ধ্যার বাকি আছে এখনো। বিকালের রোদ পড়ে এসেছে। আকাশের রঙে গোধূলীআভা। বকুলের বুকে দুরুদুরু ভয় এখনো। তার হাত জাপটে ধরে আছে শিমুল। রিকশাচালক মামা একমনে এগিয়ে চলছে। এধরনের কেস তার জন্য নতুন নয়। বকুল একবার ভেবেছিল নেমে যায়। কিন্তু টের পেল শিমুলের অন্য হাতটা ততক্ষণে অজগরের মতো ওর সাড়ে সাতাশের কোমর পেঁচিয়ে ধরেছে।
শহরের বুকে নেশাতুর সন্ধ্যা নামছে। বকুলের শীত শীত লাগে। ভেবেছিল সন্ধ্যের আগেই ফিরতে পারবে। শিমুলের দুইহাত বকুলকে ক্রমশ গ্রাস করতে থাকে। ফোনের লাজুক ছেলেটা এতটা আগ্রাসী হবে কে ভাবতে পেরেছিল আগে। এখন কি করে বকুল?
ওদিকে অহল্যাকে ভোগ শেষে আসল রূপে ফেরে দেবরাজ। ঋষি গৌতমও ফিরে এসেছে। দেবরাজের উপর শোধ নিতে অক্ষম ঋষি রাগ ঝাড়ে অবলা স্ত্রীলোকের উপর। যুগ যুগ ধরে চলছেও তো এভাবেই। দেবরাজ ফিরে গেছে দেবলোক। ভুল যৌনতার ঘোর কাটিয়ে উঠার সুযোগটুকুও জোটে না অহল্যার কপালে। গৌতমের শাপে পাথর হয়ে পড়ে থাকে। অপেক্ষার অনন্তকাল কেটে যায় কবে আসবে রঘুপতি।
এ শিমুল না হয়ে অন্য কেউ নয়তো, অন্য কোন পুরুষ। কিছু আগের শীত শীত কাটিয়ে ঘাম ছাড়ে বকুলের শরীর দিয়ে। পথ বেশি বাকি নেই, ফ্ল্যাট বাড়ি রাতের অমানিশা ঢেকে দেবে। তারপর সকাল এসে তোমাকেই শাপ দেবে নারী। তারচেয়ে ছলনাময়ী হবো। কি করতে হবে বুঝে যায় বকুল। এক ঝটকায় আড়ষ্টতা কাটিয়ে ভারী ঠোঁট এগিয়ে দেয় সে।
অহল্যার প্রতিশোধ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

