মধ্যবয়সী কবিসকল রেডব্রীজ পেরিয়ে শুধু সন্ধ্যাটাকে বাঁশপাতা ঠোঙায় মুড়িয়ে, বটবৃক্ষের সান্নিধ্যে এসেছিল যখন, তখন পরিচ্ছন্ন সবকটা রাস্তায় আড়াআড়িভাবে গোধূলি লিখছিল শোকের তুলিতে আর একটি ১৫!
আমরা গোল হয়ে বসে আয়েশিভঙ্গিতে চায়ে চুমুক দিতে দিতে সবুজ, প্রকৃতি আর নির্জনতার সাথে জীবিত বুদ্ধের নিঃসঙ্গতার বয়ান শুনছিলাম। সাগর রহমান, এস এম সুলতানের কাছ থেকে ধার নেওয়া চুলে তা দিতে দিতে ভোরে লেখার কারণ সমুহ ব্যাখ্যা করার ফুরসতে সমসাময়িক ধারাবাহিকের ফিরিস্তি দিচ্ছিলেন। কন্ঠের যাদুকর মোস্তফা জামান গিটারের টুংটাংএ আলতো করে রবিন্দ্রনাথ তুলছিলেন। সাইম খন্দকার তার স্বভাবসিদ্ধ প্রগলভতায় কার্ল মার্কসের সহজ অনুবাদের উপায় আওড়াচ্ছিল;
আমি বাগানের সবুজ কুলুঙ্গিতে একটি সমাধিস্থ তথাগত দেখছিলাম। সারিবদ্ধ গ্রন্থাগারের পাশ ঝুঁলে আছে বটবৃক্ষের ছায়ায়। শ্রবণ এবং আঘ্রাণের সবটা শুধুমাত্র একটি শব্দে বিম্বিত হলো কিছুক্ষণ, সেখানে সমাজ নেই, রাজনীতি নেই, ধর্ম কিংবা আঞ্চলিকতা নেই; শুধু গোল হয়ে আছে দুটি অক্ষর: পড়!
১৫-০৮-২০২১
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৫