আমি তন্ময় হয়ে তখন 'বল বীর' পড়তাম আর
ভাবতাম, কতটা শব্দসম্ভারে মানুষ এতটা পারে, স্বপ্নরোদ
কতটা পাহারায় মন কাড়লে ঘুরে ফিরে যোজন দূর
কবিতার হলাহল এতটা মায়াবী প্রতিশব্দে বিরূপ হয়, সহসা
দ্রোহ পুষে হৃদয়ে কবিতা এগুয়ে যায়, সীমানায় বেধেঁ সাম্যের
পুরোহিত স্বাধীনতা আনে ভাঙা শেকলের গানে
আমি তখনও অতিঅবাক, আমার অক্ষমতায় গেঁথে ফেলি
কান্ডারী-মানুষ, যে প্রতিটি সায়াহ্নসন্ধ্যা ব্যয় করেছে
অপরূপ এ কাব্যসম্ভারে
ঋণের কতটা দায়ভাগ, কবি!
তোমাকে যদি ছেড়ে'দি সাহিত্যের এপাশ-ওপাশ
শুধুই বর্ষা নামবে, জানো! অভিমানে 'মতিহার' পোড়াবে চিঠি
তপ্ত কামনায়-
এই কামনারা কবি সেদিন তোমাকে ছাড়েনি
ক্ষমা বিউগলে শনিবারের জমিদার ছড়ি ভেঙে কালো দুনিয়ায়
তোমার বিরূদ্ধে মাতম তুলে স্তব্ধ করেছিলো মসির ধার
শুধু বিশুদ্ধ সঙ্গীত আমাকে দাও
কবিতায় যে বর্ণিল ফোটা, সেখান থেকে টুপটাপ কিছু নিঃস্বর্গ
নিয়ে, আমি তস্কর অপবাদে লাফাতে পারি, এফোঁড় ওফোঁড়
নিভন্ত মরিচিকায়
তোমার চুলের সাথে পিরাণ রেখে
বীণার বুলবুলি, আমি জানি এ অকবিতায় ক্ষুদ্র হবে খুব
রাতাচারী পাতার বাঁশীতে, ভোরের আযানে থমকে যাবে
বুনোগঞ্জ, ভোরের আলোয় আমি খুকু হবো, আমি কবিতার
অক্ষর হবো, কবি;
ঝুলপকেটে আড়বাঁশী নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লালচে
মাজারে নুয়ে পড়া ফুল হবো, শাওনসন্ধ্যায়।।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৯