somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসমাপ্ত গল্প

১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক্ষন মেয়েটার কোন সাড়া শব্দ নেই। লম্বা সময়ের যাত্রায় রাতের বাসে বেশির ভাগ যাত্রীই ঘুমিয়ে কাটায়। মেয়েটাও ঘুমাচ্ছিল। সেই বাস ছাড়ার কিছু সময় পরেই ঘুমিয়ে পড়ে। কিছু সময় পরপর উঠে চারপাশে দেখে আবার ঘুমিয়ে পড়ছে। মেয়েটা একটু অদ্ভুত ধরনের। নাহ্ অদ্ভুত বলতে পোশাক আশাক না, চলাফেরাও না। কিন্তু... এই রাতের শেষ বাসে একা উঠেছে মেয়েটি। সঙ্গে একটা হাত ব্যাগ শুধু দেখা যাচ্ছে। কোন ভয় নেই অস্থিরতা নেই অস্বাভাবিক রকম শান্ত। হয়তো কিছুটা বিষন্ন। কেমন যেন একটা অদৃশ্য দেয়াল তুলে রেখেছে সে চারপাশে। এত দীর্ঘ সময়ের যাত্রা অথচ একটা কথাও বিনিময় হয়নি তার সঙ্গে।

বাসটা যখন যাত্রা বিরতী নেয় তখন হঠাৎই খানিকটা চঞ্চলতা দেখা গেল মেয়েটার মধ্যে। বেশ তাড়াহুড়া করেই নেমে গেল। যখন ফিরলো, দেখে মনে হলো একটু যেন সাজগোজ করেছে। কপালের টিপটা এতক্ষন ছিল না। মনে হচ্ছে হালকা প্রসাধনী করে এসেছে, চোখে কাজলের রেখা। বেশ লাগছে দেখতে। তখন থেকে কেমন যেন একটা চঞ্চলতাও অনুভূত হচ্ছিল। তারপর আরো বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেল। ঘুম ঘুম চোখেই বুঝতে পাছিলাম গন্তব্য কাছাকাছি।

কিন্তু কোথায় যেন একটা অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল। কি যেন একটা বিষয় ঠিক মিলছিলনা। অনেকটা সময় পরে মনে হলো মেয়েটা যে একটু বেশিই চুপচাপ। যেন নিশ্বাসও চলছেনা। যদিও সারাটা পথ মেয়েটি একটা কথাও বলেনি তারপরেও এই নৈঃশব্দ যে একটু বেশি অস্বাভাবিক লাগলো। গন্তব্য এসে গেছে অথচ মেয়েটির মধ্যে যেন কোন চঞ্চলতা নেই। কি পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে আছে। খুব খেয়াল করে শেষ বার মেয়েটির মুখটা দেখতে গিয়ে মনে হলো মেয়েটি মৃত।

হ্যা, মেয়েটি মারা গেছে। না বলাটা ঠিক হলোনা, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। তার হাতে মুঠি করা একটি কাগজ পাওয়া গেল। সেখানে তার বাসার ঠিকানা, একটি মোবাইল নম্বর পাওয়া গেল। আর তার পায়ের কাছে দেখা গেল ওষুধের কিছু খোসা। বলা বাহুল্য সেগুলো খালি ছিল।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩১
৯টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×