মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী,
অফিসের জন্য বাসা থেকে বের হই সকাল ৯ টায়। পৌছুতে পৌছুতে বেলা ১১ টা। আবার অফিস থেকে সন্ধ্যা ৭ টা সাড়ে ৭টার দিকে বের হলে বাসার আসতে আসতে রাত ১০ টা। অফিস গুলশানে, কাজেই কোনদিন যদি মতিঝিলে মিটিং থাকে, তাহলে তো সারা দিন ই শেষ। আমি আসলে বলতে চাচ্ছি, রাস্তা ঘাটের জ্যামের কারনে কি পরিমান সময় আমরা পথেই লস করি। এবং এই জানজটের কারনে আমাদের কতটা প্রডাক্টিভিটি নষ্ট হয়। এর কি কোনই পরিত্রাণ নাই ?
ঢাকা শহরে রাস্তার দুরবস্থা, বর্ষাকালে রাস্তা খোড়াখুড়ি, ট্রাফিকদের অবহেলা এবং ট্রাফিক আইন মেনে না চলা, সবকিছুই এর জন্যে দায়ি। সরকার চাইলে নতুন কোন ফ্লাইওভার না করেই শুধুমাত্র অবৈধ গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত দখল, ট্রাফিক আইনের পুর্ন ইমপ্লিমেন্টেশন, বা রাস্তায় চলার জন্য অনুপযোগি গাড়ি সরিয়ে দেয়া টাইপ এর কিছু পদক্ষেপ নিয়েই কিন্ত ঢাকার জানজট কমিয়ে দিতে পারে অনেকখানি। কিন্তু তাতে করে মন্ত্রী মিনিস্টারদের দুর্নিতীর স্কোপ অনেক কমে যাবে। তারা কি আর সেই সুযোগ ছাড়বে ?
ঢাকাকে বসবাসের উপযোগি করার জন্য ডিসেন্ট্রালাইজেশন খুবি জরুরি, এই বাপ্যারটা একজন সাধারন মানুষ ও বোঝে। বোঝে না শুধু আমাদের আমলারা। পৃথিবীর কোন দেশে ক্যান্টন্মেন্ট ক্যাপিটালের ভিতরে হয় নাই। ক্যান্টন্মেন্ট, সচিবালয়, সরকারি অফিস বা কিছু ইউনিভার্সিটি ঢাকার একটু বাইরে সরিয়ে দিয়েই কিন্ত ডিসেন্ট্রালাইজেশনের প্রথম স্টেপ টা নেয়া যেতে পারে। এই ব্যাপারে সরকারের কি কোনই মাথাব্যাথা নাই ? আমরা আম জনতাও কি নিজেদের ট্যাক্সের টাকা তাঁদের পকেটে গুঁজে দিয়ে মুখ বুজে পড়ে থাকবো ?
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আবেদন, স্পেশাল প্রটোকল না নিয়ে একদিন আমাদের মত বাসে, সিএনজিতে ঢাকা শহর ঘুরে দেখুন। হয়তো আপ্নিও অনুধাবন করতে পারবেন আমাদের সাধারন জনতার কষ্ট টা....
ইতি,
হাজারো ভুক্তভুগি আম জনতা