পারা লাগানো কাচে নিজেকে খুব একটা দেখা হয় না । চশমাটার সাথে আমিও একটু একটু করে ভারি হচ্ছি ।এই আমি নিজের সাথে একটু দূরত্ব রেখেই চলি।
আজ অফিস থেকে ফিরেই আর্টসেল এর উৎসবের উৎসাহে গান টা চালিয়ে দিলাম।আমার অনেক প্রিয় একটা গান।
কতদুরে গেলে , দূরত্ব ঘোচাবে
নিভে যাওয়া মানুষ , জ্বলবে আলো হয়ে
সেখানে তোমাকে , জানাবো গোপনে
স্বপ্ন মানে পাশে থাকা।
আমার জীবনের সবচেয়ে ঘটনাবহুল এই বছর এর একটা মুখবন্ধ।
ছাত্র জীবন শেষ করে চাকর হলাম ,পত্তুম পত্তুম ভাব লাগ্লেও আসলে বেপারটা এখন আর সুবিদা মনে হচ্চে না ,ভাগ্য বলে আসলেই মনে হয় কিছু আছে ,তাই চাকরিটা যাচ্ছে না ।
সামুতে বুড়া মকবুল হইলাম
বাবুনি তোমার বিয়ে , সুখে থেক।চাকরিটা শেষ পর্যন্ত পেয়েছি।
রাস্তার কত সস্তা হোটেলে
বদ্ধ কেবিনে , বন্দি দুজনে
রুদ্ধশ্বাস কত প্রতীক্ষা
৮ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ।
সাত বছর আগে বাবার চলে যাওয়া তারপর থেকে তোমার ক্লান্তিহীন পরিশ্রম। শাড়ির বুটিক আর কত কি সামলে আমার মত খরুচে গাধা কে মানুষ করা ।কিভাবে করেছ জানিনা শুধু জানি আমি কখনই পারব না।অবশেষে তোমার কাছ থেকে সংসার টা নেয়ার আনন্দ যে কি টা কখনই লেখায় প্রকাশ হবার নয়। সবাই বলে মা রা এরকমি হয় ।অসম্ভব তোমার মত কেও হতে পারবে না।আজ রাত ১২ টা এক মিনিটে হয়ত তোমার পা ছুয়ে বলতে পারব না মা তোমাকে ভালোবাসি কারন আমি যে অনেক আধুনিক।
তুমি পড়তে জাননা তাই কখনও হয়ত জানবে না তোমার ছেলে একলক্ষ মানুষের সামনে তোমার পা ছুয়ে গর্বের সাথে বলেছিল, তুমি পড়তে জান না তো কি হয়েছে এক লক্ষ মানুষ তোমার কথা পড়ছে।
শুভ নববর্ষ মা ।
উৎসর্গ
শহীদ জননী জাহানারা ইমাম