আজ সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের আওয়ামী প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “এটা রাষ্ট্রপাতির একটি শুভ উদ্যোগ। উনাকে আমরা বলে এসেছি,"সাংবিধানিকভাবে যাদের তিনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবেন, তার প্রতি আওয়ামী লীগের সমর্থন থাকবে"।” ইসি পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতি নতুন করে আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের প্রয়োজন মনে করলে সংসদে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আশরাফ।
তিনি বলেন, “"তবে আমরা আশা করছি- রাষ্ট্রপতি এমন কোনো প্রস্তাব দেবেন না- যা আমাদের কাছে প্রহণযোগ্য নয়।"
একদিকে বলছেন সমর্থন থাকবে , আইন প্রণয়ন বা সংশোধনের প্রয়োজন মনে করলে সংসদে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে আবার অন্য দিকে বলছেন “"আমরা আশা করছি- রাষ্ট্রপতি এমন কোনো প্রস্তাব দেবেন না- যা আমাদের কাছে প্রহণযোগ্য নয়"।” এমন পরস্পর বিরোধী বক্তব্য কেন? তাহলে রাষ্ট্র পতি এখন কোন দিকে যাবেন ? দেশের সর্ব উচ্চ প্রতিষ্ঠান রাষ্টপতি যদি ব্যর্থ হন আর পরে কে এই সমযোতার দায়িত্ব নিবে ??
অন্যদিকে, বিএনপি গতকাল রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে,” "তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের আগে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন বিএনপি মেনে নেবে না"।“
বুঝায় যায়, শাঁকের করাতে পড়েছেন রাষ্ট্রপতি। আমাদের রাজনীতিবিদদের এমন একগুঁয়ে মানসিকতা আমাদের কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে ?? আবার ও কি আমরা আর একটি ১/১১ দেখব? জনগনের কাছে যদি কোন আলাদিনের চেরাগ থাকত (!!) আর তাতে যদি এমন একটি দৈত্য থাকত যে এদের এক ঘাটে জল খাওয়াতে পারে (!!) তাহলেই হয়ত এমন দিন আমরা বার বার দেখতাম না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:০৯