এই মগা, শোন।
- দোস্ত, তুমি কি আমারে মগা কইলা?
আরে না, বগা কইতে গিয়ে টাইপিং মিসটেকের মত মাউথ মিসটেক করে তুমারে মগা বলে ফেলছি। তবে তুমি টেনশন নিও না, পরেবার ডাকার সময় আমি শুদ্ধ উচ্চারনে কোকিল কন্ঠে কিন্তু বাঘের গর্জনে তোমাকে গাধারাম বগা বলে ডাকপ।
-আচ্ছা বুঝছি, তুমি আমার উপরে ক্ষ্যাপা। কিন্তু কেন ?
তোমার মত বদনার উপরে ক্ষ্যেপে কোন লাভ নাইতো। আচ্ছা শোন, তোমার জন্য একটা আস্যাইনমেন্ট আছে।
-ছুটির সময় আবার কিসের আস্যাইনমেন্ট। ছুটির সময় হইল ঘুমানো আর নাডামি করার সময়। তোমারে কি পাগলা কুত্তায় কামড়াইছেনি?এইরাম আস্যাইনমেন্ট আস্যাইনমেন্ট করে ঘেউ ঘেউ করতাছ কেন?
জীবন মানেই হইল কতগুলা আস্যাইনমেন্টের সমষ্টি। একটা আস্যাইনমেন্ট শেষ করপা আরেকটা আস্যাইনমেন্ট লাইনে থাকপে। তবে কথা হইল, কুত্তা পাগল হইলেও আমারে কামড়াবে না। কারন কুত্তারে আমি ১ সেন্টেরও ভয় পাই না কিন্তু কুত্তা আমারে ভয় পায়। তবে পাগলা বাঘে আমারে কামড়াইতে পারে কারন আমি বাঘেরে ভয় নাই। আর কুত্তা যদিও আমারে কামড়াইত, তাইলে আমি তোমার সাথে কথা না বলে কুত্তাসপিটাল মানে কুত্তার হসপিটালে যাইতাম। এখন কথা হইল গিয়ে, তুমি আমারে মুড়ি কিনে দিবা।
-- মুড়ি দিয়ে তুমি কি করবা ?
বাংলা নববর্ষের সময়তো পান্তাভাত খেয়ে নববর্ষ উদযাপন করি, এইবার চিন্তা করছি আমি মুড়িভাত খেয়ে আংরেজী নববর্ষ উদযাপন করব। সাদা ভাত রান্না করে সেই ভাতকে মড়মড়ে মুড়ি দিয়ে মুড়িয়ায়িত করলে সেইটা মুড়িভাত হয়ে যাপে। সাথে বিভিন্ন হাবিজাবি ভাজির সাথে মুড়িকন্টও থাকপে। মুড়ি নিয়ে আসতে পারলে তোমার দাওয়াত, নাইলে বহিষ্কার।

তবে আফসুসের কথা সেই বদপোলা আমার জন্য মুড়ি নিয়ে আসল না আর আমাকেও মুড়িভাতহীন নপবর্ষ পালিন করতে হইছে। আফসুস । পরে নিউ ইয়ার ইভে পান্তাভাত আর দই এর ফডু তুলে এম-এম-এস আকারে সবগুলা টেক্সটমেসের রিপ্লাই দিছি