somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জার্মান প্রবাস কথন - সেঙ্কট রোমান, ব্র্যাক ফরেস্ট( যেথায় অধমের কর্মস্থল ও বসবাস )

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায় দেড় বছর ধরে জীবন ও জীবিকার তাগিদে জার্মানীর ব্ল্যাক ফরেস্টের মাঝামাঝি অবস্থিত সেঙ্কট রোমার নামক ছোট এক গ্রামে আমার বসবাস । চারদিকে সবুজের সমারোহ আর উচুনিচু পাহাড়ে ঘেরা ছোট এ গ্রামকে আসলে পছন্দ না করে থাকতে পারে এমন মানুষ খুব কমই আছে। মজার ব্যাপার হল, এই গ্রামের মোট জনসংখ্যা ২০০ এর মত মাত্র । সমতল ভুমি থেকে প্রায় ৫৫০ মিটার উচ্চতায় আমাদের বসবাস। সব ধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা থাকলেও অনেকেই যখন বলি আমার কোন মোবাইল নাম্বার নেই , বিশ্বাস করতে চায় না। কারন আমাদের ল্যান্ডফোন থাকলেও আমাদের গ্রামে মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই, ব্ল্যাক ফরেস্টের মাঝামাঝি আর কম জনসংখ্যার জন। আর এ নিয়ে কারো কোন আফসোস নেই। বরং আমাদের চার তারা হোটেল এর গেস্টদের জন্য এটা একদিক দিয়ে ভাল দিক । যারা তাদের কর্ম ব্যাস্ত লাইফ থেকে একটু নিরিবিরি ঝামেলাবিহীন ছুটি কাটাতে চায় তাদের জন্য মোবাইল ফোনবিহীন কয়েকটা দিন আসলেই ভাল কাটে। তা ছাড়া ইন্টারনেট, ল্যান্ড লাইন সবই আছে। অনেকতো কথা চল এবার চলুন ছবিতে দেখে নেই সেই ছোট গ্রামটি ।



উপর থেকে আমাদের হোটেল আর একই পাশে বাসায় আমার বসবাস ।



পাহাড়ের উপর থেকে



আমাদের আউটডোর সুইমিংপুল শুধুমাত্র সামারের জন্য





এবার চলুন উইন্টারের কিছু ছবি দেখি



তুষারে ঢাকা আমার কর্মস্থল





ছবি দুটো গত শীতে এক সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে দেখি এই অবস্তা। দুঃখজনক হলেও সত্য এ বছর এখন ও তুষারের দেখা পাই নি।



কিছুদিন আগেই গেল ফুল মুন। আমার জানালায়ও এসেছিল ফুল মুন। চাদের আলোয় ব্র্যাক ফরেস্ট ।



ভাগ্যবশত একদিন এক ঝলক বৃস্টির পরে রংধনুর এসেছিল আমার জানালায়। রংধনুর রংগে ব্র্যাক ফরেস্ট ।

আমাদের হোটেলের নিজেদের হরিনের খামার ও গরুর খামার রয়েছে। হোটেলের হরিনের মাংস ও গরুর মাংশ আসে সরাসরি আমাদের খামার থেকে। চলুন দেখে নেই কিছু ছবি।


মাঝে মাঝেই আশে পাশের পাহাড়ে উঠতে ঘুরতে যাই। অন্য আর একদিন না হয় আপনাদের পাহাড়ে ঘুরতে নিয়ে যাব। আজকে না হয় পাহাড়ের উপর থেকে তোলা একটা ছবি দেখেন।



আজকে এ পর্যন্তই , উপরের সব কয়টা ছবিই আমার তোলা না। কিছু কিছু ছবি আমাদের হোটেলের ওয়েব থেকে নেয়া। সবাই ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ
৩২টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×