এটা এমন দেশ যেদেশে তরুণদের ভূমিকা হচ্ছে ২২-২৫ বছর বয়সেও মঞ্চাসীন নেতার মুখে "তোমরাই আমাদের ভবিষ্যৎ, তোমরাই ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দেবে" এই কথা শোনা আর নিরাশ মুখে হাত তালি দিতে দিতে ব্যানার নিয়ে পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা।
হ্যাঁ ,সেই "ভবিষ্যৎ" এতোই দূরে যে ততদিনে চোখে চশমা আর হাতে লাঠি উঠে যাবে তাই সংসদে ৪০ এর নীচে কোন মন্ত্রী নেই।
এটা এমন দেশ যেদেশে ২০-২৫ বছর বয়স (যথেষ্ট পরিমাণ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্তেও) তোমার বিয়ে করাটা ভালো চোখে দেখা হয়না কিন্তু তাই বলে আবার তুমি গার্লফ্রেন্ড জুটিয়ে ঘুরবা এটাও কিন্তু তোমার সমবয়সীরা ছাড়া বাকিদের চোখে "অপরাধ"।
বলি বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের যে হরমোনটা আমাদের শরীরে আছে যদি সম্ভব হয় ইনজেকশন দিয়ে সেটা বের করে ফেলা হোক, আমরা ছেলে-ছেলে মেয়ে-মেয়ে ঘুরবো।
এটা এমন দেশ যেখানে তুমি এইচএসসিতে গোল্ডেন পাওয়ার পরও সীটের অভাবে ভালো সরকারী ভার্সিটিতে চান্স পাবানা, কিন্তু তাই বলে যদি হতাশ হয়ে পড়ালেখা ছেড়ে দাও তখন আবার তুমি সমাজের চোখে "নষ্ট ছেলে" এবং "বখাটে"।
তারপরও আমরা ঠিকই দেশকে ভালোবাসি। আমাদের বাবা-চাচারা শেষমেশ বিরক্ত হয়ে দেশের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের পরিবার বাঁচাতে ব্যস্ত আমরা তখনও ফেসবুকে পাতার পর পাতা লিখে যাই দেশ নিয়ে, বসে থাকি কখন দেশের জন্যে কোন ইভেন্টে ডাক পড়বে আর কাকফাটা রোদেও আমরা ঝাঁপিয়ে পড়বো নির্ভয়ে।
সমাজে আমাদের যেকোন ছোট অপরাধও বিশাল করে দেখা হয়। কারন আমাদের বয়স "২০-২৫" আমরা বখাটে,অকালপক্ক, নষ্ট ছেলে।
এতোকিছুর পরও আমরা এই নষ্ট ছেলেগুলো যখন একসাথে হই সাগর পাড়ে কিংবা ভার্সিটির বাস কিংবা ট্রেনের ছাদে আমরা ঠিকই প্রাণখুলে গাই "এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রানী সে দেশ আমার জন্মভূমি"

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



