ফেস বুকে চ্যাট করতে করতে বাংলাদেশের এক মন্ত্রী ও আমেরিকার এক মন্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ট বন্ধুত্ব হলো। দুজন একে অপরকে নিজের দেশ ভিজিটের আমন্ত্রণ জানালেন। বাংলাদেশের মন্ত্রী আগে তার আমেরিকান বন্ধুর বাড়ী বেড়াতে যাবে বলে মনস্থির করলেন। অতপরঃ সত্যি সত্যিই একদিন বাংলাদেশের মন্ত্রী আমেরিকায় তার বন্ধুর বাসায় বেড়াতে গেলেন। আমেরিকার মন্ত্রীতো তার বাংলাদেশী বন্ধুকে পেয়ে অনেক খুশি হয়েছেন। আমেরিকার বন্ধুর এমন প্রাসাদপোম বাড়ী আর শান শওকত দেখে চমকে গেলেন বাংলাদেশী মন্ত্রী। মনে হলো তিনি স্বপ্নে দেখছেন। বারবার চোখ মুছতে মুছতে পুরো বাড়িটা ঘুরে দেখে তার মনে নানা প্রশ্ন উদয় হলো একপর্যায়ে বাংলাদেশী মন্ত্রী তার বন্ধুকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসই করেই ফেললেন।
বাংলাদেশের মন্ত্রীঃ আচ্ছা বন্ধু তুমি এতকিছু কিভাবে করেছ?
আমেরিকার মন্ত্রীঃ কেন তুমি এমন বাড়ী আগে কখনো দেখনি?
বাংলাদেশের মন্ত্রীঃ না, বাপের জনমেও না।
আমেরিকার মন্ত্রীঃ ওহ মাই গড! রিয়েলি?
বাংলাদেশের মন্ত্রীঃ ইয়েছ, মাই ফ্রেন্ড।
আমেরিকার মন্ত্রীঃ ওকে মাই ফ্রেন্ড, লেট মি শো দ্যা ম্যাজিক!
এরপর আমারেকিার মন্ত্রী বাংলাদেশের মন্ত্রীর হাত ধরে ঘরের একটি জানালা খুলে বললেন; এই পুরো নদীটির ১০ পার্সেন্ট আমার দখলে। আমার ক্ষমতা আর দাপটের জন্য এই পাসেন্টেজের যে অর্থ আমি পেয়ে থাকি তাই দিয়ে আমি এসব করেছি। যদিও এটা সরকারী সম্পত্তি, তবুও একটি বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে আমি এর কিছু অংশ ভোগ করে থাকি।
বাংলাদেশের মন্ত্রীঃ থ্যাংক ইউ ফ্রেন্ড, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।
এরপর আমারেকিার মন্ত্রী আসলেন বাংলাদেশের মন্ত্রীর বাসায়। আমেরিকার মন্ত্রীতো তার বাংলাদেশী বন্ধুর বাড়ি দেখে প্রায় মুর্ছা যাচ্ছিলেন। এত চাকচিক্য আর শান শওকাত একজন বাংলাদেশী মন্ত্রীর থাকতে পারে, তা তিনি ভাবতেই পারছেন না। অবশেষে আমারেকিার মন্ত্রীর মনে এসব কিছুর রহস্য জানতে কৌতুহুল জাগলো।
আমেরিকার মন্ত্রীঃ বন্ধু, এসব তুমি কিভাবে করলে?
বাংলাদেশের মন্ত্রীঃ কেন, তোমার বাপের জনমেও বুঝি এমন বাড়ি দেখনি?
আমেরিকার মন্ত্রীঃ দেখিছি, কিন্তু তোমারটার মত এত চাকচিক্যময় দেখিনি।
বাংলাদেশের মন্ত্রীঃ ও,আচ্ছ! তাহলেতো তোমাকে ম্যাজিকটা দেখাতেই হয়!
আমেরিকার মন্ত্রীঃ দয়াকরে বল বন্ধু, আমার আর তর সইছে না।
এরপর বাংলাদেশের মন্ত্রী আমেরিকার মন্ত্রীর হাত ধরে ঘরের একটি জানালা খুলে বললেন; এই পুরো নদীটির ১০০ পার্সেন্ট আমার দখলে। আমার ক্ষমতা আর দাপটের জন্য এই পাসেন্টেজের যে অর্থ আমি পেয়ে থাকি তাই দিয়ে আমি এসব করেছি। এটা যদিও সরকারী সম্পত্তি, তবুও সরকার যেহেতু আমার বাপ লাগে তাই বলতে পারো এই পুরো নদিটা আমারই।
আমেরিকার মন্ত্রীতো থ হয়ে গেলেন। মনে মনে বললেন, পালাই পালাই আমিও কবে না হয় আমার বন্ধুর ১০০ পার্সেন্ট দখলে চলে আসি। তাহলে আমার আম ছালা দুই-ই যাবে।
ঘোষণাঃ এটা সম্পূর্ণ একটি কাল্পনিক ঘটনা, যার কোন সত্যতা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১২ দুপুর ১:৫৬