আমার পরিচিত একজনের ছোট ভাই পুলিশের সিপাহী পদের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল টেস্টের জন্য অপেক্ষা করছিল। আজ সকালে (১১.০১.১৩) মেডিকেল টেস্টের কিছুক্ষণ আগে ঐ ক্যানডিডেট আমার ঐ পরিচিত ব্যক্তি মানে তার বড়ভাইকে তার একটা শারীরীক সমস্যার কথা জানায় যেটা হয়তো তার চুড়ান্ত মনোনয়োনের জন্য বাধা হতে পারে।
সমস্যাটা হলো তার ডানপাশের অন্ডকোসটা বামপাশের টার চেয়ে বেশ বড়। এটা নিয়ে কি করা যায় সে বুদ্ধি পরামর্শর জন্য আমাকে ফোন করে। আমি কোন উপায় দেখছিলাম না। ভরতিচ্ছু ঐ ছেলেটারতো টেম্পরেচার বাড়তেই আছে, কি হয়..না কি হয়..তীরে এসে কি তরী ডুবে যাবে? এই সাতসতের চিন্তায় গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। ছোট ভাইয়ের এই চিন্তা দূর করার জন্য লোকটিও কোন উপায়ন্তর দেখছিল না।
হঠাৎ আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এল, বললাম – তার সমস্যা হলো একটা বড় আরেকটা ছোট তাইতো? বলল- হ্যা। ঠিক আছে- ওখানে কি মাইজালি (পিপড়ার চেয়ে বড় একধরনের পোকা যার কামড়ে তাৎক্ষনিকভাবে ফুলে ওঠে) আছে? লোকটি বলল- তা পাওয়া যাবে। আচ্ছা তাহলে- একটা মাইজালি এনে ওর ছোট অন্ডকোসে একটা কামড় দিয়ে দেন দেখবেন দুটোই সমান হয়ে যাবে। লোকটি আমার এই বুদ্ধি সাথে সাথে গ্রহণ করলো। আমিতো অবাক- আসলে মানুষের উপায় না থাকলে যা হয়।
সে পর্যন্ত আর আমি যেতে দেইনি। ছেলেটাকে একটা বুদ্ধি শিখিয়ে দিলাম। যেমন- তুমি বলবে যে স্যার আমিতো প্রতিদিন সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাই তাই কিছুদিন আগে হঠাৎ ডানপাশে কাত হয়ে পড়ে যেতে গিয়েছিলাম, তখন ওখানটাতে বেশ চাপ লাগে এবং ফুলে যায়। বুদ্ধিটা তার খুবই পছন্দ হলো। পাশাপাশি আমি আমার পরিচিত একজনকে দিয়ে একটু ফোন করে দিয়েছিলাম। এখন আর কোন সমস্যা নাই, আপাতত ছেলেটা চুড়ান্ত মনোনয়োনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। তার সফল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।