somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ব্যাপারে নির্লিপ্ত নয় : সিরাজুর রহমান

২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিবিসি বাংলার সাবেক প্রধান সিরাজুর রহমান এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পেশাদার হলেও অন্য দেশগুলোর সেনাবাহিনীর মতো দেশের সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপারে ভ্রুক্ষেপহীন নয় । এ কারণে, তারা দেশের জনগণের সঙ্গে সরকারের আচরণের ব্যাপারে সব সময় নির্লিপ্ত থাকতে পারে না।
পিলখানায় মর্মান্তিকভাবে সেনাবাহিনীর যে ৫৭ জন দক্ষ অফিসারকে মেরে ফেলা হলো - সেই ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তার জায়গায় কাদেরকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে? তারা কোন মতাবলম্বী সে বিষয়টি দেশের সাধারণ মানুষ জানে না। আমি এ সম্পর্কে যা শুনেছি -সেটা হচ্ছে সেনাবাহিনীর যে ৫৭ কর্মকর্তার পদ খালি হয়েছিল সেখানে আওয়ামী লীগ এবং ভারতপন্থীদের দিয়ে ভরাট করার চেষ্টা হয়েছে। তবে ঠিক সবগুলো হয়েছে কিনা তা জানি না। একই সাথে বিজিবিকে যেন পর্দার মধ্যে রাখা হয় সে ব্যবস্থাও কিন্তু করা হল। এভাবে বেশ কিছু ঘটনা ঘটে গেল অলক্ষ্যে।

সিরাজুর রহমান তার সাক্ষাতকারে আরো বলেন, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে এমন বহু দেশপ্রেমিক সদস্য রয়েছেন - যারা মনে করেন- জাতীয় জীবনে সেনাবাহিনীর একটি পূর্ণ ভূমিকা থাকা উচিত। যে ভূমিকাটা তারা রাখতে পারছেন না। আর সে কারণে সেনবাহিনীর মধ্যে বহু সদস্য অশান্ত এবং ক্ষুব্ধ। সেনাবাহিনীর বহু সদস্য দেশে গণতন্ত্রের জন্য- স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও বহু মানুষ একই কারণে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ যারা ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে আছে বা বাইরের সাধারণ মানুষ -সকলেই গণতন্ত্রকামী একথা সবাই স্বীকার করে। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র দমনের জন্য, একটি একদলীয় বাকশালীয় ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য বর্তমানে আবার যে চেষ্টা চালানো হচ্ছে -এসব বিষয় সেনাবাহিনীর লোকেরা যে জানেন না -সে কথা কিন্তু ঠিক নয়। কারণ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ছুটিতে বাড়িতে যায়, সেখানে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা কথা শোনেন, তারা পত্রপত্রিকা বা মিডিয়া থেকে জানতে পারেন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে ।
কাজেই বাংলাদেশের গোটা সমাজব্যবস্থায় যে একটা টালমাতাল ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে সে ব্যাপারে সেনাবাহিনী পুরোপুরি সজাগ রয়েছে- একথা আমরা বলতে পারি।
তাছাড়া ভারত যে কথা বলেছিল যে বাংলাদেশের কোন সেনাবাহিনী থাকবে না- এবং তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে অনেক সেনাকর্মকর্তা বা সেনা সদস্য ভাবতে শুরু করেছেন -তাহলে তাদের অবস্থাটা কি হবে! বর্তমান সরকারের সময়ের নানা কর্মকাণ্ড এবং সেনাবাহিনীর বর্তমান সামগ্রিক পরিস্থিতি সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর অনেকেই উদ্বিগ্ন। কাজেই সেনাবাহিনীর মধ্যে যে টালমাতাল ভাব এবং বহু অসন্তোষ আছে এটা আমরা ধরে নিতে পারি।

আমি এখানে আরো একটা উদাহরণ তুলে ধরছি। সেটি হচ্ছে, গত সপ্তাহ দুয়েক হবে-সেনাবাহিনীর জনৈক এক মেজরকে ধরে নিয়ে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সম্ভবতঃ তিনি বেরিয়ে এসেছেন বা আসেননি ঠিক বলতে পারছি না। কারণ আমি ইন্টারনেটে এ ব্যাপারে দেখেছি বহু কথা চালাচালি হচ্ছে। তাছাড়া ইতোমধ্যে একজন সার্ভিং মেজরকে একটি গোয়েন্দা ইউনিট অ্যারেস্ট করে অপর একটি গোয়েন্দা ইউনিটের কাছে সোপর্দ করেছে। এ ধরনের ব্যাপারগুলো যখন হয় তখন সেটি ভিন্ন বার্তা বহন করে । তাছাড়া আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন - সেনাবাহিনীর মধ্য থেকে যখন কোন অভ্যুত্থান ঘটে বা কোন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় -তখন সেটি হয় মেজর থেকে কর্নেল পর্যন্ত কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে। সাধারণ অভ্যুত্থান কিন্তু জেনারেলরা করেন না, ফিল্ড মাশার্লরা করেন না বা সিপাহীরাও করেন না।
তো গত ক'দিনে আমি যে আলামতগুলো দেখেছি এই হচ্ছে তার বাস্তব চিত্র । তবে কেউ অভ্যুত্থান করার চেষ্টা করছিল কি না বা বিদ্রোহ করার চেষ্টা করছিল কি না- এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন সঠিক খবর নেই, আমি কোন সঠিক খবর জানতে পারিনি।

সাক্ষাতকারটি বিস্তারিত দেখতে পারেন এখানে ক্লিক করে
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×