১.
মশাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রশ্ন এসেছে, " কোন রক্ত খেতে বেশি মজা? "
মামশা লিখেছে মানুষের রক্ত।
বাবুমশা লিখেছে লাল রং।
বাবামশা লিখেছে কোকাকোলা।
পরীক্ষার ফলাফলঃ
মামশা ফার্স্ট। বাবুমশা বাবু কোটায় চান্স পেয়েছে। বাবামশা মাইনাস ৪২০ পেয়ে ফেল।
২.
সুজন মশার কামড়ে অতিষ্ঠ।
"মশার বাচ্চার গুষ্টি উদ্ধার করেই ছাড়বো আজ ! ", এই বলে সুমন এক বোতল বিষ খেয়ে নিল। মনে মনে বললো," এবার রক্ত খেয়ে দেখ শয়তান ! "
৩.
শিশু মশা যাবতীয় ট্রেনিং এর পরে আজ রক্ত খেতে বেরিয়েছে। কিন্তু পেট না ফুলিয়েই বাসায় এলো। তাই ওর মা জিগ্যেস করায় বললো, "রক্ত না খেয়েই যে হাততালি পেলাম না মা ! আমি বুঝি খুব ভালো উড়তে পারি ? "
৪.
রানা ও সামিয়ার কথোপকথনঃ
সামিয়াঃ তোমার গাল এতো লাল কেন?
রানাঃ কই কিছু না তো। এ তো চু...
সামিয়াঃ চুমু !!! কুত্তা তোর সাথে ব্রেকআপ।
রানাঃ আরে বাবা পুরোটা শুনবে তো !
ইতোমধ্যে সামিয়ার গমন কমপ্লিট।
"হায়রে কেউ কি বুঝলো না ওটা মশার চুমু ! ", রানার বিলাপ।
৫.
নতুন মশারি কিনেছেন রফিক সাহেব। তবে মশার জ্বালা থেকে আর বাঁচলেন কই ! সারা রাতে মশার চুমু খেয়ে উনার অবস্থা খারাপ। সকালেই গেলেন মশারির দোকানদারের কাছে।
রফিক সাহেবঃ কি ছাইপাঁশ মশারি দিয়েছ শুনি? সারারাতের ঘুম হারাম হয়ে গেল আমার !
দোকানদারঃ মাছের জালের দোকানে মশারি পাওয়া যায় না স্যার।
৬.
মশার নতুন জায়গায় পোস্টিং হয়েছে। এখানের মানুষের ঘুম একটু বেশি। তাই মনের সুখে রক্ত খাচ্ছে। শহুরে মশা আগে গরু দেখেনি। তাই গরুর গায়ে বসতেই গরু দিল, লেজ দিয়ে এক ধাক্কা । মশা তো কুপোকাত। সে ভাবলো, "বাপরে এ যে কালু ডাকাতের হাতের থেকেও কঠিন হাত। আমি বরং পালাই ! "
৭.
বিপিন সবে তাদের গাঁয়ে কী ভাবে মশা মারবার ব্যবস্থা হচ্ছে সেই কথা তুলেছে। হঠাৎ দরজায় ঘনাদার আবির্ভাব।
“কী কথা হচ্ছিল হে?”
আমরা অত্যন্ত সংকুচিত হয়ে বলি, “নাঃ, এমন কিছু নয়, এই মশা মারবার কথা বলছিলাম।”
বিপিন তাড়াতাড়ি আরাম কেদারায় ছেড়ে সসম্মানে ঘনাদার জন্য জায়গা করে দেয়।
ঘনাদা তাতে সমাসীন হয়ে শিশিরের কাছে একটা সিগারেট চেয়ে নিয়ে ধরিয়ে বললেন, “ওঃ, মশা!”
আমরা কতকটা আশ্বস্ত হই। যাক, ঘনাদার দৃষ্টি তা হলে মশা পর্যন্ত পৌঁছােবে না!
কিন্তু পরমুহূর্তেই বোমা ফাটল–যে সে বোমা নয়, একেবারে অ্যাটমিক!
“হ্যাঁ, মেরেছিলাম একবার একটা মশা।”
সোর্সঃ
১. নিজে বানানো।
২. সংগৃহীত।
৩. সংগৃহীত।
৪,৫,৬ নিজে বানানো।
৭. প্রেমেন্দ্র মিত্রের ঘনাদার "মশা" নামক গল্পের অংশ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮