কেস -১
মোতালেব সাহেব অনলাইনে একটি ঘড়ি অর্ডার করলেন। ধরা যাক, স্টোরটির নাম দেশী-ঘড়ি। সেখানে Casio এর একটি ঘড়ি, যার দাম ৫০০০ টাকা। তিনি কার্ডে পেমেন্ট করলেন। ৭ দিন পর পার্সেল চলে এলো। কিন্তু সেটা অন্য ঘড়ি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলে বলে, রিটার্ন করতে। সেটার জন্য আবারো দৌড়ঝাপ শুরু। আরো সাতটি দিনের অপেক্ষা।
কেস -২
সম্পূর্ণ নতুন আইফোন ১০, মাত্র ১০০০০ টাকা। এটা দেখেই জহির সাহেব সাইটটিতে যোগাযোগ করলেন। প্রতারকরা বললো, আসল মাল। এখন ডিসকাউন্ট চলছে তাই এত কম দাম। তিনি টাকাটা বিকাশ করলেন। এরপর কেউ আর ফোন ধরে না।
কেস -৩
মিস টিনা, ফেসবুকে একটা পোস্ট দেখে একটি পোশাক অর্ডার করলেন। পেমেন্ট করলেন বিকাশে। বেশ কিছুদিন পরে কুরিয়ার এলো। ভিতরে এক টুকরো পাথর ! । ফেসবুক পেজটি আসমানে চলে গেছে।
কেস -৪
অনলাইনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নানান ওষুধ। যেগুলোর জন্য ডাক্তারের প্রেসক্রিপশান প্রয়োজন। রানা একপাতা ঘুমের ওষুধ কিনলো। একটা খেয়েই চিরঘুমে তলিয়ে গেল সে।
কেস - ৫
অফার অফার অফার ! ৬৭ % মূল্য ছাড়ে টি ভ্যালি থেকে আসল চা অর্ডার করলেন তমাল সাহেব। চা আসতে আসতে কয়েক মাস লেগে গেল। কাস্টমার কেয়ার বলে, " অনেক অর্ডারের কারনে সমস্যা হচ্ছে স্যার "। এরপর হুট করেই দাম বাড়িয়ে দিলো সাইটটি। অতিরিক্ত টাকার সাথে অতিরিক্ত ধৈর্য এবং সময়ের বিনিময়ে চা পেলেন তমাল সাহেব। অর্ডার ছিলো গ্রিন টি। এলো নরমাল টি। বাংলাদেশে সব সম্ভব !
কেস -৬
অনলাইনে আরডুইনো অর্ডার করলো পার্থ। চালাতে গিয়ে দেখে, সেটা চলছে না। ফলে সে কাস্টমার কেয়ারের শরণাপন্ন হলো। সেখান থেকে বলা হলো, " আমরা নষ্ট প্রোডাক্টের জন্য দায়ী নই। আমরা ভালো প্রোডাক্টই দিয়েছি। তাই কোনো রিটার্ন হবে না "। দেশের শিক্ষার্থীরা আরেকটি আরডুইনো কেনার টাকা কোথায় পাবে ??
পাঠক, উপরের মতো হাজারো কেস আছে অনলাইনে বাংলাদেশের সাইটগুলোতে। যেখানে গ্রাহক অনেক ক্ষেত্রে লুণ্ঠিত হয়। হাতেগোনা কয়েকটি সাইট আছে যেগুলো ভালো। বাকিগুলো প্রতারিত হওয়ার পরেই চিনবেন।
বাংলাদেশে অনলাইন কেনাকাটা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন???
চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩১