জেনারেল জিয়া বাংলাদেশের সৈন্য বাহিনীর জন্য ও ততকালীন বাংলাদেশের জন্য বেশ বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন; তিনি কুট কৌশলে সামরিক সরকারের প্রধান হন, পরে তিনি, উনার রাজনৈতিক পিতা আইয়ুব খানের পুরানো ফরমুলায় ক্ষমতায় থাকার প্ল্যান করেন; সেই অনুসারে তিনি বিএনপি গঠন করেন, সেই অনুসারে বিএনপি'র গঠনতন্ত্র লিখান; ততকালীন ইলেকশান কমিশন বিএনপি'র গঠনতন্ত্র হয়তো বুঝতো না, বা জেনারেলের ভয়ে লেফট-রাইট করতেন; বিএনপি'র গঠনতন্ত্র কোনভাবে গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র হতে পারে না: দলের সব সিনিয়র পোস্টেই নিয়োগ দেন ও দেবেন সভাপতি।
জিয়া বিএনপি বানায়েছিল নিজের দরকার অনুসারে, উনি ডা: বদরুদ্দোজা, বিচারপতি সাত্তার, শাহ আজিজের জন্য বিএনপি বানায়নি; বা ফালু, মালু, কালুদের জন্য কোন শুন্যস্হান রাখেননি; তিনি ছিনেন জেনারেল, দলটি জেনারেল চালাবে, অন্য কেহ দলের মুল যায়গায় আসতে হলে উনার মাতানুরেই হতে হবে, এবং উনার মতো জেনারেলের জন্য এটাই স্বাভাবিক; কিন্তু জেনারেল সময় পেয়েছিলেন ৫ বছর মাত্র; সেই বিএনপি চালাচ্ছেন এক অজেনারেল ৩২ বছর; এখ সেই অজেনারেলের হাতে জেনারেলের ক্ষমতা!
এখন বিএনপি মরা বিড়াল, লেজে প্রাণ আছে; এখন উহার উপর অপারেশন চালানোর সুযোগ; শেখ হাসিনা বুঝার আগে অপারেশন চালালে, না বুঝে শেখ হাসিনাও খুশী হবে, ইলেকশান কমিশন এক ঢিলে কয়েক পাখী মারতে পারবে: খালেদা জিয়া অবসরে যাবে, মানুষ একটি রাজনৈতিক দল পাবে, ইলেকশান কমিশনের সবাই প্রমোশান পাবে। বিএনপি'র গঠনতন্ত্রকে গণতান্ত্রিকভাবে সাজানোর দরকার।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ থেকেও দাপটে থাকে; সুতরাং যা করার এখুনি সময়। এদেশের মানুষ হাজার হলেও এদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন, যদিও এখন আরব দেশে দাসগিরি করছে, দর্জি হয়েছে ঘরে বসে, কিন্তু একটা ভালো রাজনৈতিক দল তো তারা পেতে পারে, তাই না?